বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সনদের শিক্ষকদের তালিকা করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ)। ডিআইএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সনদ জাল করে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন ১ হাজার ১৫৬ জন।
এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৬ জন জাল সনদের শিক্ষককে সনাক্ত করেছে ডিআইএ। এদের মধ্যে ৭৯৩ জন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, ২৯৬ জন কম্পিউটার সনদ ও ৬৭ জন বিএড-সাচিবিক বিদ্যাসহ অন্যান্য সনদ জালের দায়ে অভিযুক্ত।
জাল সনদধারীদের মধ্যে ৭১৭ জন বিভিন্ন স্কুল কলেজে কর্মরত। ৩৩৯ জন আছেন বিভিন্ন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যাদের বেশিরভাগই এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার) ভুক্ত। ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে দিতে গেছে।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) অনুসন্ধানে এসব জাল সনদধারীর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বেতনের টাকা ফেরত নিতে এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে ডিআইএ।
বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিআইএ শিক্ষকদের সনদগুলো যাচাই করে জাল সনদধারীদের সনাক্ত করা হয়েছে। জাল সনদধারীদের তালিকা প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। এসব শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও এমপিও বাবদ প্রতি মাসে নেয়া টাকা কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত নেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক আছেন ৪৪৩ জন। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজে কর্মরত ৩২৩ জন। মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে আছেন ১২০ জন।
ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন ৩৬৬ জন। তাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজে কর্মরত ২৫৬ জন, যাদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ দুই বিভাগের মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন ১১০ জন, যারা ৪ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি টাকা জাল সনদে এমপিও বাবদ আত্মসাৎ করেছেন।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে জাল সনদে কর্মরত ৯৬ জন। যাদের মধ্য স্কুল কলেজে কর্মরত ৪৪ জন এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫২ জন। তাদের কাছ থেকে ৩ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি টাকা ফেরত নেয়ার সুপারিশ করেছে ডিআইএ।
শিক্ষা ও চাকরি বিষয়ক দরকারি তথ্য নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে ( facebook.com/EduDailyOfficial ) লাইক দিয়ে রাখুন এবং
ইউটিউব চ্যানেলে ( youtube.com/edudaily24 ) সাবস্ক্রাইব করুন।