বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পাবে আরো ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। এর আগে আরও ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এই বিমার আওতায় নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ১ লাখ শিক্ষার্থীকে এই শিক্ষা বীমার আওতায় নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরকে। প্রতিটি জেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একটি করে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে অধিদফতরে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নতুন করে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিটি জেলা থেকে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একটি দাখিল পর্যায়ের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিতে হবে। বাছাই করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ছেলে ও মেয়েদের কো-এডুকেশন) তথ্য নির্ধারিত ছকে আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ব্যবসা করা সরকারি ও বেসরকারি সব জীবন বিমা কোম্পানিকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্প বিক্রির নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বিমা করপোরেশনের মাধ্যমে এক বছর পাইলটিং করার পর এই বিমা পরিকল্পটি সব কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’র আওতায় তিন থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বছরে ৮৫ টাকার প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাভুক্ত করা হয়। অভিভাবকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বা নির্দিষ্ট কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা হারে শিক্ষার্থীদের ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা বিমা সুবিধা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্পটি কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বিমা পরিকল্পটির আওতায় বিমাভুক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা কারা পাবে
বছরে ৮৫ টাকা দিয়ে ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য এ পলিসি গ্রহণ করা যাবে। বাবা-মা বা একজন আইনগত অভিভাবকের মাধ্যমে বিমায় যুক্ত হতে হবে শিক্ষার্থীকে। অভিভাবকের বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬৪ বছর। শিশুর ১৮তম জন্মদিনে পলিসির মেয়াদ শেষ হবে। তিন বছর বয়সী শিশুর জন্য বিমা করা হলে মেয়াদ হবে ১৫ বছর। আর ১৭ বছর বয়সী শিশুর জন্য বিমা করলে তা হবে এক বছর। পলিসি মেয়াদের মধ্যে অভিভাবক বা বাবা-মা দুর্ঘটনায় পঙ্গু হলে পলিসির বাকি মেয়াদে বিমার আওতায় মাসে ৫০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা প্রবর্তন করা হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক, কারিগরি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিমার আওতাভুক্ত করে পরিকল্পটির পাইলটিং করা হয়েছে ইতোপূর্বে।