বেশ কয়েক দিন ধরেই বিদ্যানন্দের মজিদ চাচা ভাইরাল অনলাইনে। ফেসবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যানন্দের একাধিক পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে- একই গরু বিভিন্ন সময় জবেহ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের ছবি পোস্ট করে তাকে মজিদ চাচা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাকে সাহায্য করা হয়েছে বলে বিদ্যানন্দের পোস্টে বলা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে এমন আরো বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যানন্দের ব্যাপারে। সবশেষে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন বিদ্যানন্দ (Bidyanondo)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস।
সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের পুড়ে যাওয়া কাপড় দিয়ে গয়না তৈরি করার ছবি, একাধিকবার ‘মজিদ চাচা’ নামের ব্যবহার এবং একই গরুর ছবি বারবার ব্যবহার করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
১৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে উঠা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। মজিদ চাচা অর্থাৎ একই ব্যক্তিকে সংগঠনের কার্যক্রমে বারবার উপকারভোগী হিসেবে প্রচার করা নিয়ে ট্রল হচ্ছে সোশ্যালে। এ ব্যাপারে কিশোর কুমার বলেন, “মজিদ চাচা একটি রূপক বা প্রতীকী চরিত্র। একবার সত্যিকার একজন উপকারভোগীর নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই উপকারভোগীর নাম একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল থাকায় ওই সময় বলা হয়েছিল- বিদ্যানন্দ ইচ্ছা করেই ওই বিখ্যাত ব্যক্তিকে অপমানের জন্য এ কাজ করেছে। তারপর থেকে কেবল মজিদ চাচা নন, এমন অনেক প্রতীকী নাম প্রচার করা হয়েছে। আর বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত এনজিও। নিয়ম অনুযায়ী দেশের বাইরে থেকে অর্থ নিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা তো নয়।”
বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস তার ফেসবুক আইডিতে জানান, মজিদ চাচা একটি রূপক বা প্রতীকী চরিত্র। এছাড়া সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস একটি গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের বিভিন্ন গল্পে প্রতীকী অর্থে মজিদ চাচার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।