চুল্লিতে কাঠ পুড়ছে কয়লা তৈরি, হুমকির মুখে পরিবেশ
চুল্লিতে কাঠ পুড়ছে তৈরি হচ্ছে কয়লা, হুমকির মুখে পরিবেশ। গাজীপুরের কাপাসিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ যেন থামছেই না। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের অভিযানে কয়লা তৈরির এসব চুল্লি উচ্ছেদ করা হলেও পরে অন্য এলাকায় আবার স্থাপন করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই চলছে। উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের নরোত্তমপুর এলাকায় ৮টি চুল্লিতে ফলজ, বনজ গাছ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থাণীয় প্রভাবশালীদের সম্পৃক্ততা থাকায় ভয়ে এলাকার লোকজন কিছু বলতে সাহস পায় না। তাই এসব চুল্লির ব্যবসায়ীরা এতো বেপরোয়া। আশপাশের এলাকার ফলদ ও বনজ গাছ কেটে পুড়িয়ে চলছেন তারা।
চুল্লির বিষাক্ত ধোঁয়ায় হমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। এছাড়াও নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। নরোত্তমপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার বরমী এলাকার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মাসিক চুক্তিতে ওই জমি ভাড়া নিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন শত শত মন কাঠ পুড়ানো হচ্ছে এসব চুল্লিতে। ধোঁয়ার কারণে নাক-মুখ বন্ধ হয়ে যায়, দম নিতে কষ্ট হয়।
চুল্লিগুলোতে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাটি, ইট ও কাঠের গুড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব বড় আকারের চুল্লি। এর ভেতরে ২০০ থেকে ৩০০ মন কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ ছাড়া বাকি সব মুখ বন্ধ করা হয়। এরপর ভেতরে আগুন দিয়ে সেই মুখটিও বন্ধ করে দেন তারা।
টানা দশদিন পুড়ানোর পর চুল্লির ভেতর থেকে বের করা হয় কয়লা, যা ঠান্ডা করার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়।