প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তি অনলাইন আবেদন ২০২২ – ডিগ্রি ও স্নাতক উপবৃত্তি নোটিশ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তির আবেদন করতে হবে অনলাইনে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার স্নাতক ও সমমানে যেসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া ইতোমধে সম্পন্ন হয়েছে, সেসব শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা ২৮ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত।
এখানে অনলাইনে আবেদনের নিয়ম (VIDEO সহ), কী কী কাগজপত্র লাগবে ও দরকারি তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তি ২০২২
স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে ভর্তিতে দরিদ্র ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেবে সরকার। সে লক্ষ্যে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ২৩ আগস্ট ২০২২ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বৃত্তি (অর্থ সহায়তা) পাবে ডিগ্রি ও স্নাতক শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ/মাদরাসায় অধ্যয়নরত স্নাতক ও সমমান (ডিগ্রি) পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তিসহায়তা করা হয়। এরই মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়/মাদ্রসায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
আরও বলা হয়, ভর্তি সহায়তা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে শিক্ষার্থীকে (স্নাতক ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থী) ২৮ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
এ নির্দেশনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিষয়টি জানানোর অনুরোধও করা হয়েছে।
কত টাকা দেয়া হবে
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
অনলাইনে উপবৃত্তির আবেদনের নিয়ম ও ধাপ
আবেদনের নিয়ম : সর্বপ্রথমে প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক সুপারিশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফর্ম ডাউনলোড করুন। তারপর প্রিন্ট করে পূরণ করুন ও আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট থেকে সুপারিশ গ্রহণ করুন। অতঃপর ছবি, স্বাক্ষর, জন্মসনদ, অভিভাবকের এনআইডি, ও সুপারিশের কপি স্পষ্ট করে ছবি তুলুন।
১। প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন (যদি একাউন্ট না থাকে) ২। মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন ৩। লগইন করুন ৪। আবেদন করুন ৫। ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদন অবস্থা জানুন
- ধাপ ১ : http://estipend.pmeat.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “নিবন্ধন” ট্যাবে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।
- ধাপ ২ : পরবর্তী ধাপে পাসওয়ার্ড সেট করুন।(যেকোনো ৬ ডিজিটের পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন)
- ধাপ ৩ : পাসওয়ার্ড সেট হয়ে গেলে শিক্ষার্থী সাইন ইন/”প্রবেশ করুন” ট্যাবে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করে লগইন করুন।
- ধাপ ৪ : লগ ইন করার পরে শিক্ষার্থী তার ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন এবং “আবেদন করুন” এ ক্লিক করে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ধাপ ৫ : “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন সম্পাদন করুন। শিক্ষার্থীরা উপবৃত্ত ফর্মটি পূরণ করুন এবং “সংরক্ষণ করুন চালিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন এবং ট্যাব অনুসারে নির্দেশ অনুসরণ করুন।
- ধাপ ৬ : ট্যাব নির্দেশ শেষ হওয়ার পরে, শিক্ষার্থী হ্যাঁ বাছাই করবেন (সর্তকতা, একবার এপ্লিকেশন সাবমিট করার পর তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না)। পৃষ্ঠাটি ড্যাশবোর্ডে পুনঃনির্দেশিত হবে সেখানে ব্যবহারকারী আপ্লিকেশন উপস্থিতি দেখতে পাবেন।
অনলাইনে আবেদন করতে যা যা লাগবে (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র)
- ছবি
- স্বাক্ষর
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফরমে। এই ফরমের লিংক নিচে দেয়া আছে)
- পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
[ উল্লেখ্য, ব্যাংক একাউন্টের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন! কোনো শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করে (শুধুমাত্র বিকাশ, রকেট) একাউন্ট নম্বর দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। নিজের নামের সঙ্গে ব্যাংক একাউন্টে উল্লেখ থাকা নামের মিল থাকতে হবে। ]
▶️ আবেদন সম্পন্ন করার পর কলেজ নোটিশ অনুযায়ী আবেদন কপি জমা দিতে হবে! অবশ্যই কলেজ নোটিশ অনুসরণ করবেন।
- অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে যারা টেকনিক্যাল সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন অর্থাৎ আবেদন করতে পারছেন না, তারা কয়েকদিন পর (আবেদনের সময় থাকা সাপেক্ষে) আবার আবেদনের চেষ্টা করুন।
স্নাতক পর্যায়ের উপবৃত্তির আবেদনের তারিখ
২৮ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত।
উপবৃত্তি আবেদনের শর্ত
- উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
- অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
আবেদনের আগে ব্যবহার নির্দেশিকা পড়ুন
Click – ব্যবহার নির্দেশিকা
Click – প্রত্যয়ন/সুপারিশ ফরম
ভর্তি সহায়তা প্রাপ্তির সময়সীমা
- আবেদনের প্রাপ্তির ০৪-০৬ মাস পর অর্থ প্রেরণ করা হয়।
- শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার নির্বাচিত হলে তাঁর মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আবেদনের প্রত্যয়নপত্র / সুপারিশপত্র
Form pdf download link : http://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/public/files/recommendation.pdf
Online Application Instructions pdf download link : http://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/public/files/eadmission.pdf
Prime minister education assistance trust stipend scholarship 2022
ডিগ্রি ও স্নাতক উপবৃত্তি সংক্রান্ত নোটিশ ২০২২ :
স্নাতক পর্যায়ের উপবৃত্তি ২০২২ – অনলাইনে আবেদনের নিয়ম [ Video ]
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি বিতরণের পরিসংখ্যান
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি বিতরণের পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। এ লক্ষ্যে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়। বর্তমানে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
অর্থবছর | শিক্ষার পর্যায় | শিক্ষার্থীর সংখ্যা (জন) | ভর্তি সহায়তা (টাকায়) | সর্বমোট (টাকায়) |
২০১৪-২০১৫ | মাধ্যমিক | ৭০ | ১,৪০,০০০ | ২,৪১,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ১৬ | ৬৬,০০০ | ||
স্নাতক | ০২ | ৩৫,০০০ | ||
২০১৫-২০১৬ | মাধ্যমিক | ৪৩ | ৮৬,০০০ | ২,২৭,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ১০ | ৮১,০০০ | ||
স্নাতক | ০৪ | ৬০,০০০ | ||
২০১৬-২০১৭ | মাধ্যমিক | ১০২ | ২,০৪,০০০ | ৩,৫৮,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ১১ | ১,১৪,০০০ | ||
স্নাতক | ০৫ | ৪০,০০০ | ||
২০১৭-২০১৮ | মাধ্যমিক | ১৩৪ | ১,৬৮,০০০ | ৪,৫৭,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ২৭ | ১,৫৯,০০০ | ||
স্নাতক | ০৪ | ৩০,০০০ | ||
২০১৮-২০১৯ | মাধ্যমিক | ৮৬ | ২,৯৮,০০০ | ৫,৩৭,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ২৪ | ১,৫৪,০০০ | ||
স্নাতক | ০৩ | ৮৫,০০০ | ||
২০১৯-২০২০ | মাধ্যমিক | ৭৬ | ৩,৮০,০০০ | ১৩,২৬,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ৪৪ | ৮,৫৬,০০০ | ||
স্নাতক | ০৫ | ৯০,০০০ | ||
২০২০-২০২১ | মাধ্যমিক | ২৭৪ | ১৩,৭০,০০০ | ৩৩,৮৮,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ৫৬ | ১০,৮৮,০০০ | ||
স্নাতক | ৪৩ | ৯,৩০,০০০ | ||
২০২১-২০২২ | মাধ্যমিক | ৪২০ | ২১,০০,০০০ | ৪৩,৭৬,০০০ |
উচ্চ মাধ্যমিক | ৭৫ | ১৯,৩৬,০০০ | ||
স্নাতক | ১৯ | ৩,৪০,০০০ |