অবৈধ মোবাইল বন্ধ হবে না!
একযোগে সব অবৈধ মোবাইল বন্ধ হবে না বলে জানা গেছে। মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, যেকোনো মোবাইল সেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে তা বন্ধ না করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর মানে হলো, মোবাইল সেট বৈধভাবে আমদানি হোক কিংবা বিদেশ থেকে বা উপহার হিসেবে নেয়া হোক, সেটি ব্যবহারকারী চালু করে ব্যবহার শুরু করলে আর বন্ধ হবে না। এর আগে বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে আমদানি করা মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সচল হওয়ার পর তা শনাক্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখ থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে বিটিআরসি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে জানান, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাটি চালুর পর দেখা গেলো- বহু মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এখনো বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ফোনের ৭০ শতাংশ ফিচার ফোন। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তাদের জন্য সেট বৈধ করার জন্য অনলাইনে (www.neir.btrc.gov.bd) নিবন্ধন ভোগান্তির বিষয়। মোবাইলের আইএমইআই নম্বর (শনাক্তকরণ নম্বর) বের করে এসএমএস পাঠিয়ে মোবাইল বৈধ বা অবৈধ কিনা, সেটা যাচাই করাটাও তারা জানে না। তাই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধে (অবৈধ মোবাইল বন্ধ না করার ব্যাপারে) বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির হিসাবে, নেটওয়ার্কে সক্রিয় সেটের সংখ্যা ২৩ কোটির মতো। দেশে ইউনিক ইউজার ৫৪ শতাংশ। ইউনিক ইউজারের ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একাধিক সিম থাকলেও তাঁকে একজন গ্রাহক ধরে হিসাব করা হয়।
দেশে একটি স্মার্টফোন আমদানিতে মোট করভার ৫৭ শতাংশ। ফলে বৈধভাবে আমদানি ও অবৈধভাবে আনা ফোনের দামের পার্থক্য অনেক বেশি হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ৪১ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে।