এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাসের ইঙ্গিত!

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাসের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে! চলতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে কী পদ্ধতিতে তাদের পাস করানো হবে সেই প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। ১৩ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন কথা জানান।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চলতি শিক্ষাবর্ষের এ স্তরের পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীরা যাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ২০টি জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ, ১০টি জেলায় লকডাউন চলছে। অনেক দেশেও লকডাউন চলছে। বর্তমানে ভাইরাসের নানা ধরনের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো নিয়ে ঝুঁকি অনেক বেশি, বিশেষজ্ঞরাও সেসব নিয়ে কথা বলছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বাধ্য হয়েছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াতে। এরপরও আমরা পরিস্থিতি কতটা কোন দিকে যায় সেদিকে নজর রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে চালু রেখেছি। নানাভাবে সেটিকে চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা ৮০-৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর বেশি পৌঁছাতে পারিনি। কাজেই এতে ১৫-২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারিনি বলে অ্যাসাইনমেন্ট চালু করেছি। তা দিয়ে আমরা ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তারপরও শতকরা সাত ভাগ শিক্ষার্থী এখনও শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। আমাদের চেষ্টাগুলো অব্যাহত রয়েছে, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে যারা এবার এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা, উদ্বেগটা মূলত তাদের জন্য বেশি।’

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছিলাম স্কুল-কলেজ খুলে দিতে পারলে এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮০ দিন ক্লাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা নিতে পারব। এখন যদি সেটি না হয় আমরা তার বিকল্প নিয়ে চিন্তা করছি। আমি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের যেসব পড়া ও অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে তারা যেন সেটি বাসায় বসে শেষ করেন। বাড়িতে বসে স্বাভাবিকভাবে যতটুকু সম্ভব তা যেন করে যায়। এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না যাতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা কীভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, 'পরীক্ষা দিতে হবে কি-না তা পরের কথা, আগে সুস্থ থাকতে হবে। বর্তমানে আমরা আদৌ পরীক্ষা নিতে পারব কি-না! পরীক্ষা না নিতে পারলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তার সব কিছু নিয়েই আমাদের চিন্তাভাবনা রয়েছে।'

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.