খবর

গ্রামীণফোন কলরেট ৪৮ পয়সা

সব গ্রাহকের (প্রায় সাড়ে ৭ কোটি) জন্য গ্রামীণফোন কলরেট ৪৮ পয়সা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৪৮ পয়সা কল রেটে গ্রামীণফোন গ্রাহকরা কথা বলার সুযোগ পাবেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ ও অবদানের মাধ্যমে চিকিৎসক, গ্রাহক এবং ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ী পাশে দাড়াঁনোর ঘোষণা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ ও দরিদ্র মানুষকে নগদ টাকা দেওয়ার বাইরে নতুন এসব উদ্যোগ নিয়েছে।

নতুন উদ্যোগের আওতায় গ্রামীণফোন এক কোটি গ্রাহকের জন্য ১০ কোটি মিনিট বিনামূল্যে দেবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত ২৫,০০০ করোনা চিকিৎসকের জন্য তারা ১ টাকার বিনিময়ে মাসে ৩০ গিগাবাইট (জিবি) ইন্টারনেট দেবে। নিজেদের সকল গ্রাহকের (প্রায় সাড়ে ৭ কোটি) জন্য তারা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৪৮ পয়সা কল রেটে কথা বলার সুযোগ দেবে।

এ ছাড়া গ্রামীণফোনের অ্যাপ মাইজিপি থেকে সাপ্তাহিক সকল ইন্টারনেট প্যাকে ১০০ শতাংশ বোনাস দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য ১০ কোটি টাকার নিরাপত্তামূলক ঋণ কর্মসূচি বা ক্রেডিট স্কিম নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ (৮ মে ২০২০, শুক্রবার) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে গ্রামীণফােনের সহায়তা দাঁড়াচ্ছে ১০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা শুরু থেকেই করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে আসছে এবং সে অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখছে।

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের আগে কখনও এমন সংকটপূর্র অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়নি। এমন একটি সঙ্কট আসবে এবং সেটি এভাবে আমাদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, সেটা কেউই চিন্তা করতে পারেনি। তাই এখন সময় সবাই এক সঙ্গে এর মোকাবিলা করা।’

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ২৫ হাজার চিকিৎসক এক টাকা দামে প্রতি মাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেট পাবেন আগামী ছয় মাস। বিনামূল্যে ১০ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাবেন সেই সব গ্রাহক, যারা এপ্রিল মাসে রিচার্জ করতে পারেননি অথবা যাদের ব্যালেন্স নেই। তাদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। মিনিট দেওয়াও শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফােনের প্রধান বিপনন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাসার অংশ নেন।

এসব উদ্যোগের পাশাপাশি, দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় গ্রামীণফোন ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এ কার্যক্রমে গ্রামীণফোন ইতিমধ্যে ১ লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকার খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত হাসপাতালে ৫০ হাজার উন্নতমানের পিপিই দিয়েছে গ্রামীণফোন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button