এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র সাজেশন ২০২২ উত্তরসহ ও নমুনা প্রশ্ন (মডেল টেস্ট)
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র সাজেশন ২০২২ উত্তরসহ ও নমুনা প্রশ্ন / মডেল টেস্ট (HSC logic 2nd Paper suggestion 2022 & question pattern / model test) নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র বিষয়ের এই শর্ট সাজেশন দেয়া হয়েছে। এই সাজেশন ঢাকা বোর্ড সহ সব শিক্ষা বোর্ডের জন্য প্রযোজ্য। আশা করা যায়, সংক্ষিপ্ত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী এই সাজেশন অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে।
১৭ নভেম্বর ২০২২ সকাল ১১টায় এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬ নভেম্বর ২০২২ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (HSC) পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। গত বছর (২০২১) মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন। অর্থাৎ, এবারের পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২
পাবলিক পরীক্ষা | উচ্চমাধ্যমিক / এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ |
বোর্ড সমূহ | সাধারণ শিক্ষা বোর্ড (ঢাকা বোর্ড – রাজশাহী বোর্ড – যশোর বোর্ড – কুমিল্লা বোর্ড – চট্টগ্রাম বোর্ড – বরিশাল বোর্ড – সিলেট বোর্ড – দিনাজপুর বোর্ড ও ময়মনসিংহ বোর্ড ) |
পরীক্ষা শুরু | ৬ নভেম্বর ২০২২ থেকে |
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ |
ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে |
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র অধ্যায় সমূহ
- ১ম অধ্যায়: যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি
- ৩য় অধ্যায়: যুক্তির উপাদান (আংশিক)
- ৪র্থ অধ্যায়: বিধেয়ক
- ৫ম অধ্যায়: অনুমান
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়: অবরোহ অনুমান (আংশিক)
- ৭ম অধ্যায়: আরোহ অনুমান ও আরোহ অনুমানের ভিত্তি
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র সাজেশন ২০২২ উত্তর সহ (অধ্যায়ভিত্তিক)
প্রথম অধ্যায়
♡যৌক্তিক সংঙ্গা♡
- যৌক্তিক সংঙ্গা কী ?
= কোনো পদের পূর্ন জাত্যর্থকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করাকে যৌক্তিক সংঙ্গা বলে ৷ - সংঙ্গার নিয়ম কয়টি ?
= সংঙ্গার নিয়ম পাঁচটি ৷
1.প্রথম নিয়ম : সংঙ্গায় পূর্ণ জাত্যর্থকে উল্লেখ করতে হবে , তার চেয়ে বেশি ও নয় কম ও নয় ৷
যেমন : * মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তি সমপন্ন মরণশীল জীব ৷
বাহুল্য সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷
- মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তি সমপন্ন দ্বিপদ জীব ৷
অবান্তর সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷ - মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তি সমপন্ন কালো জীব ৷
অব্যাপক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷ - মানুষ হয় জীব ৷
অতিব্যাপক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷
- দ্বিতীয় নিয়ম : যে পদের সংঙ্গা দিতে হবে সেই পদটি থেকে সংঙ্গাটি স্পষ্টতর হতে হবে, সংঙ্গায় কোনো রূপক বা দুর্বোধ্য ভাষা ব্যবহার করা যাবে না ৷
যেমন : * মানুষ হয় সৃষ্টির মুকুট ৷
রূপক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷
- বটবৃক্ষ হয় জটাজট লাঞ্ছিত সতিতাতপ নিরোধক মহাস্থবির পাদক ৷
দুর্বোধ্য সংঙ্গা অনুপপত্তি
- তৃতীয় নিয়ম : যে পদের সংঙ্গা দিতে হবে
সেই পদের প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ
ব্যবহার করা যাবে না ৷
যেমন : * গাছ হয় বৃক্ষ
৷
চক্রক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷ - সংঙ্গায় নঞর্থক বা নেতিবাচক শব্দ
ব্যবহার করা যাবে না ৷
যেমন : *অন্ধকার হয় আলোর অভাব ৷
নঞর্থক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷ - যে পদের সংঙ্গা দিতে হবে সেই পদের
সাথে সংঙ্গার্থ পদ রূপান্তর যোগ্য হতে
হবে ৷
যেমন : * সকল মানুষ হয় জীব ৷
অতিব্যাপক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷
- মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তি সমপন্ন সভ্য জীব
৷
অব্যাপক সংঙ্গা অনুপপত্তি ৷ - সংঙ্গার সীমাবদ্ধতা
- পরমতম জাতির সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
পরমতম জাতি হলো সর্বোচ্চ জাতি ৷
যেমন : দ্রব্য ৷ - বিশিষ্ট বস্তুর সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
- বিশিষ্ট গুণবাচক পদের সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
- স্বকীয় নামবাচক পদের সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
- পরম নিয়মের সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
- মনের মৌলিক গুণের সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
- বিশ্ব-সত্তার কতকগুলো ধারণার সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
- বস্তুর মৌলিক গুণের সংঙ্গা দেওয়া যায় না ৷
দ্বিতীয় অধ্যায়
♡যৌক্তিক বিভাগ♡
- যৌক্তিক বিভাগ কী ?
=> কোনো একটি নীতি বা সূত্রের উপর
ভিত্তি করে উচ্চতর শ্রেণিকে নিন্মতর
শ্রেণিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে
যৌক্তিক বিভাগ বলে ৷ - বিভাগের নিয়ম কয়টি ?
=> বিভাগের নিয়ম ছয়টি ৷
- প্রথম নিয়ম : জাতীবাচক পদকে ভাগ
করতে হবে ৷ কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে
নয় ৷
এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে অঙ্গগত ও গুণগত
বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে ৷
যেমন : * একটি গাছকে তার মূল
,কাণ্ড,পাতা,ফুল ও ফল অংশে বিভক্ত
করলে
অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে ৷
- আমকে তার স্বাদ , বর্ণ , গন্ধে বিভক্ত
করলে গুণগত বিভাগজনিত অনুপপত্তি
ঘটে ৷
- দ্বিতীয় নিয়ম:বিভাগে সবসময়
একটিমাত্র মূলসূত্র বা মূলনীতি গ্রহণ
করতে হবে ৷
যেমন : সৎ , ফর্সা , শিক্ষিত ৷
সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ৷
3.তৃতীয় নিয়ম:বিভাজ্য
জাতিটিরব্যক্ত্যর্থ সমব্যাপক
হতে হবে ৷
যেমন:ত্রিভূজকে যদি সমবাহু ও
সমদ্বিবাহু ত্রিভূজে ভাগ করি তাহলে
অব্যাপক বিভাগ অপুপপত্তি ঘটবে ৷
*বিভক্ত উপজাতিগুলোর মিলিত সংখ্যা
জাতির সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে ৷
- চতুর্থ নিয়ম : বিভাগ পরস্পর বিচ্ছেদক হতে হবে যাতে পরস্পরের সাথে মিলে মিশে না যায় ৷
যেমন : মানুষকে সৎ , সুখী ও বিদ্বান – এই তিন ভাগে ভাগ করি তাহলে পরস্পরাঙ্গী বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটবে ৷ - পঞ্চম নিয়ম : বিভাজ্য জাতিটির ব্যক্ত্যরর্থ প্রত্যেকের বেলায় প্রযোজ্য হতে হবে ৷
যেমন : একজন ব্যক্তি , হাত , পা , চোখ ,নাক , কান ইত্যাদিতে ভাগ করি তাহলে বিভাগ ভ্রান্ত হবে ৷ এর নাম ব্যক্তির অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ৷
আবার , ব্যক্তি , সততা , বিদ্যা , চাতুর্য্য ইত্যাদিতে ভাগ করলে ব্যক্তির গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে ৷ - ষষ্ঠ নিয়ম : ক্রমিক বিভাগে ভাগ করতে , মধ্যবর্তী স্থরকে অতিক্রম করা যাবে না ৷
যেমন : জীবকে যদি শিক্ষিত মানুষ ও অশিক্ষিত মানুষে ভাগ করি তাহলে উৎক্রান্ত বা উল্লম্ফন বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে ৷
- দ্বি-কোটিক বিভাগ কী ?
=> দ্বি-কোটিক বিভাগ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া , যেখানে কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত দুটি বিরুদ্ধ উপজাতিতে বিভক্ত করা হয় ৷ - দ্বি- কোটিক বিভাগের প্রবর্তক কে ?
=> দ্বি-কোটিক বিভাগের প্রবর্তক প্রখ্যাত যুক্তিবিদ বেনথাম ৷ - দ্বি-কোটিক শব্দের অর্থ কী ?
=> দ্বি-কোটিক শব্দের অর্থ দুইভাগে ভাগ করা ৷ - দ্বি-কোটিক বিভাগের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ ?
- যৌক্তিক বিভাগের সীমা কী কী ?
=> ব্যক্ত্যর্থহীন কোনো পদের যৌক্তিক বিভাগ সম্ভব নয় ৷
=> বিশিষ্ট ব্যক্তির বা বস্তুর বিভাগ সম্ভব নয় ৷
=> নামবাচক পদকে ভাগ করা যায় না ৷
তৃতীয় অধ্যায়
♡ আরোহের প্রকারভেদ ♡
☸ আরোহ কী ?
=> কয়েকটি বিশেষ বস্তু বা ঘটনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে আমরা যে সার্বিক সিদ্ধান্ত অনুমান করি তাকে আরোহ বলে ৷
যেমন-
রহিম হয় মরণশীল ৷
করিম হয় মরণশীল ৷
কামাল হয় মরণশীল ৷
.’.সকল মানুষ হয় মরণশীল ৷
☸ আরোহ কত প্রকার ও কী কী ?
=> আরোহ দুই প্রকার ৷ যথা-
- প্রকৃত আরোহ
- অপ্রকৃত আরোহ ৷
☸ প্রকৃত আরোহ কাকে বলে ?
=> যে আরোহে আরোহমূলক লম্ফ রয়েছে তাকে প্রকৃত আরোহ বলে ৷
☸ অপ্রকৃত আরোহ কাকে বলে ?
=> যে আরোহে আরোহমূলক লম্ফ নেই তাকে অপ্রকৃত আরোহ বলে ৷
☸ প্রকৃত আরোহ কত প্রকার ও কী কী ?
=> প্রকৃত আরোহ তিন প্রকার ৷ যথা-
- বৈজ্ঞানিক আরোহ
- অবৈজ্ঞানিক আরোহ
- সাদৃশ্যমূলক অনুমান ৷
☸ অপ্রকৃত আরোহ কত প্রকার ও কী কী ?
=> অপ্রকৃত আরোহ তিন প্রকার ৷ যথা-
- পূর্ণাঙ্গ আরোহ
- যুক্তিসাম্যমূলক আরোহ
- ঘটনা সংযোজন ৷
☸ বৈজ্ঞানিক আরোহ
=> প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়মের উপর নির্ভর করে সার্বিক সংশ্লেশক যুক্তিবাক্য স্থাপন করা হয় তাকে বৈজ্ঞানিক আরোহ বলে ৷
যেমন-
রহিম হয় মরণলীল ৷
করিম হয় মরণশীল ৷
কামাল হয় মরণশীল ৷
.’.সকল মানুষ হয় মরণশীল ৷
¤¤ বৈজ্ঞানিক আরোহ সংশ্লেশক যুক্তিবাক্য স্থাপন করে ৷
¤¤ বৈজ্ঞানিক আরোহ বাস্তব ঘটনা পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভরশীল ৷
¤¤ বৈজ্ঞানিক আরোহ আরোহমূলক লম্ফ রয়েছে ৷
¤¤ বৈজ্ঞানিক আরোহে প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়ম রয়েছে ৷
☸ অবৈজ্ঞানিক আরোহ
=> কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্টা ব্যতীত কেবলমাত্র প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতার ওপর ভিত্তি করে বিশেষ দৃষ্টান্তের পর্যবেক্ষণ থেকে সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য প্রতিষ্টা করাকে অবৈজ্ঞানিক আরোহ বলে ৷
যেমন-
এ যাবৎ যত কোকিল দেখেছি কালো দেখেছি ; কালো ছাড়া অন্য রঙের কোকিল দেখি নি ৷
সুতরাং ‘সকল কোকিল হয় কালো’ ৷
☸ সাদৃশ্যানুমান
=> দুটি বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে একটি বিশেষ গুণের অধিকারী হলে অপরটিও ওই বিশেষ গুণের অধিকারী হবে , তাকে সাদৃশ্যানুমান বলে ৷
যেমন-
মানুষ ও উদ্ভিদের মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য বয়েছে ৷ জন্ম , বৃদ্ধি , মৃত্যু , খাদ্যগ্রহণ , বংশ বিস্তার ইত্যাদি বিষয়ে সাদৃশ্য আছে ৷
মানুষের প্রাণ আছে ৷
.’. উদ্ভিদের ও প্রাণ আছে ৷
☸ সাদৃশ্যানুমান এর ভগ্নাংশের সূত্রটি লিখ ?
=> মেইন বই এ দেওয়া আছে ৷’
☸ সাদৃশ্যানুমান কত প্রকার ও কী কী ?
=> সাদৃশ্যানুমান দুই প্রকার ৷ যথা-
- সাধু সাদৃশ্যানুমান
- অসাধু সাদৃশ্যানুমান ৷
=> যে সাদৃশ্যানুমানে মৌলিক ও গুরূত্বপূর্ণ বিষয়ে সাদৃশ্য দেখিয়ে সিদ্ধান্ত অনুমান করা হয় তাকে সাধু সাদৃশ্যানুমান বলে ৷
=> যে সাদৃশ্যানুমানে গুরূত্বহীন এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকে অসাধু সাদৃশ্যানুমান বলে ৷
যেমন-
কামাল দেখতে জামালের মত ৷
জামাল শিক্ষিত , অতএব, কামাল ও শিক্ষিত ৷
☸ পূর্ণাঙ্গ আরোহ
=> কোনো তথাকথিত আরোহের প্রতিটি দৃষ্টান্ত পরীক্ষার পর আমরা যে সার্বিক সিদ্ধান্ত অনুমান করি তাকে পূর্ণাঙ্গ আরোহ বলে ৷
☸ পূর্ণাঙ্গ আরোহ কী প্রকৃত আরোহ ?
☸ যুক্তিসাম্যমূলক আরোহ
=> যে যুক্তির সাহায্যে একটি বিশেষ ঘটনাকে প্রমাণ করা যায় সেই একই যুক্তির আলোকে সব কিছুকেই প্রমাণ করতে পারি , তাকে যুক্তিসাম্যমূলক আরোহ বলে ৷
*(যুক্তিসাম্যমূলক আরোহকে জ্যামিতিক আরোহ বলে ৷)
☸ যুক্তিসাম্যমূলক আরোহ কী প্রকৃত আরোহ ?
☸ ঘটনা সংযোজন
=> কতগুলো নিরীক্ষিত ঘটনাকে একটি সাধারণ ধারণার সাহায্যে মননিবেশ করার প্রক্রিয়াকে ঘটনা সংযোজন বলে ৷
☸ ঘটনা সংযোজনের সাথে বৈজ্ঞানিক আরোহের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লেখ ?
চতুর্থ অধ্যায়
♡ প্রকল্প ♡
☸ প্রকল্প
=> কোনো বিষয় সম্পর্কে আনুমানিক ধারণাই হচ্ছে প্রকল্প ৷
☸প্রকল্পের স্তর কয়টি ও কী কী ?
=> প্রকল্পের স্তর চারটি ৷ যথা-
- ঘটনার নিরীক্ষণ
- আনুমানিক ধারণা
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ
- পরীক্ষামূলক সমর্থন ৷
☸ প্রকল্পের স্তর
=> প্রকল্প গঠনের পর্যায় বা ধাপকে প্রকল্পের স্তর বলে ৷
☸ প্রকল্পের শর্ত
=> প্রকল্পের শর্ত বলতে প্রকল্পের মোলিক ও অপরিহার্য দিককে বুঝায় ৷ যে বিষয়গুলোর উপস্থিতিতে প্রকল্প গঠন করা হয় , তাকে প্রকল্পের শর্ত বলে ৷ অর্থাৎ প্রকল্পের মধ্যে যে বিষয়গুলো থাকবে সেগুলো হলো প্রকল্পের শর্ত ৷
☸ কাজ চালানো প্রকল্প
=> কোনো অভিনব ঘটনাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কোনো বৈধ-প্রকল্পের অভাবে আমরা কাজ চালানোর জন্য সাময়িকভাবে যে প্রকল্প তৈরি করি তাকে কাজ চালানো প্রকল্প (Working hypothesis) বলে ৷ কাজ চালানো প্রকল্পকে সাময়িক প্রকল্প বলে ৷ অর্থাৎ কোনো বিষয়ে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার সহায়তার উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে গৃহীত প্রকল্পকে কাজ চালানো প্রকল্প বলে ৷
☸ প্রকল্প বাস্তবভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন কেন ?
=> প্রকল্প হলো একটি আনুমানিক ধারণা ৷ কিন্তু প্রকল্প প্রাথমিক আনুমানিক ধারণা প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করেই ঘটনার কারণ নির্ণয় করা হয় ৷ তাই যেকোনো আনুমানিক ধারণা প্রকল্প নয় ৷ কোনো আনুমানিক ধারণাকে প্রকল্প হওয়ার জন্য কতকগুলো শর্ত পালন করতে হয় যার মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো প্রকল্পকে বাস্তবকারণভিত্তিক হতে হয়ে ৷ কেননা প্রকল্প বাস্তব কারণভিত্তিক না হলে সেটি দিয়ে ঘটনার কারণ নির্ণয় করা যায় না ৷ সেই প্রকল্প বাস্তবভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন ৷
☸ প্রকল্পকে যাচাইযোগ্য হতে হয় কেন ?
=> প্রকল্প প্রণয়ন করা হয় কোনো ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য ৷ কোনো ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয় তা সঠিক হতে পারে ; আবার ভুলও হতে পারে ৷ কোনো একটি প্রকল্প সঠিক না ভুল তা বোঝা যায় যাচাইকরণের মাধ্যমে ৷ তাই প্রকল্পের যথার্থতা নির্ণয় করার জন্য প্রকল্পকে যাচাইযোগ্য হতে হয় ৷
পঞ্চম অধ্যায়
♡কার্যকারণ সম্পর্ক প্রমাণ পদ্ধতি♡
☸ অন্বয় শব্দের অর্থ কী ?
=> অন্বয় শব্দের অর্থ মিল বা সাদৃশ্য ৷
☸ ব্যতিরেকী শব্দের অর্থ কী ?
=> ব্যতিরেকী শব্দের অর্থ পার্থক্য বা অমিল ৷
☸ অপনয়ন কী ?
=> কোনো ঘটনার কার্যকারণ বা প্রকৃত কারণ নির্ণয় করার সময় কারণের সাথে সংশিষ্ট অপ্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দেওয়াকে অপনয়ন বলে ৷
☸ অপনয়নের সূত্র কে আবিষ্কার করেন ?
=> যুক্তিবিদ বেইন ৷
☸ পরীক্ষণাত্মক পদ্ধতি কয়টি ও কী কী ?
=> পরীক্ষণাত্মক পদ্ধতি পাঁচটি ৷ যথা-
- অন্বয়ী পদ্ধতি ৷
- ব্যতিরেকী পদ্ধতি ৷
- যৌথ অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি ৷
- সহপরিবর্তন পদ্ধতি ৷
- পরিশেষ পদ্ধতি ৷
☸ কার্যকারণ প্রমান পদ্ধতি কী ?
=> কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করার জন্য যুক্তিবিদেরা যে সকল পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন সেগুলোকে কার্যকারণ প্রমাণ পদ্ধতি বলে ৷
☸ কারণ কী ?
=> কারণ হলো কতগুলো শর্তের সমষ্টি ৷
☸ সহ-পরিবর্তন কাকে বলে ?
=> সহ-পরিবর্তন বলতে পারস্পরিক পরিবর্তনকে বোঝায় ৷ অর্থাৎ , এক্ষেত্রে কারণের সাথে সাথে কার্যেরও পরিবর্তন ঘটে ৷
☸ ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে পরীক্ষণের পদ্ধতি বলা হয় কেন ?
=> ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে পরীক্ষণের পদ্ধতি বলা হয় ৷ কারণ –
- ব্যতিরেকী পদ্ধতিতে ইচ্চানুসারেপারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ৷
- ব্যতিরেকী পদ্ধতিতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা যায় ৷
- ব্যতিরেকী পদ্ধতির ঘটনা কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা যায় ৷
☸ যৌথ অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি কী ? এর সুবিধা অসুবিধা লিখ ?
☸ সহ-পরিবর্তন পদ্ধতি কী ?
☸ সহ-পরিবর্তন পদ্ধতি কত প্রকার ?
=> সহ-পরিবর্তন পদ্ধতি দুই প্রকার ৷ যথা-
- সরাসরি পরিবর্তন ৷
- বিপরীত পরিবর্তন ৷
☸ পরিশেষ পদ্ধতি কি ?
☸ প্রমাণ পদ্ধতির অপর নাম কী ?
=> পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি ৷
☸ ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা অসুবিধা লিখ ?
☸ ব্যতিরেকী পদ্ধতির অনুপপত্তি কয়টি ও কী কী ?
=> ব্যতিরেকী পদ্ধতির অনুপপত্তি তিনটি ৷ যথা-
- কাকতালীয় অনুপপত্তি
- একটিমাত্র শর্তকে কারণ হিসেবে গ্রহণজনিত অনুপপত্তি
- দূরবর্তী শর্তকে কারণ হিসেবে গ্রহণজনিত অনুপপত্তি ৷
ষষ্ঠ অধ্যায়
♡ব্যাখ্যা♡
☸ ব্যাখ্যা শব্দটির ইংরেজি শব্দ –
=> Explanation.
- Explanation শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Explanare থেকে এসেছে ৷
☸ ব্যাখ্যা কী ?
=> কোনো জঠিল ও অস্পষ্ট বিষয়কে সহজ ও স্পষ্ট করে তোলাকেই ব্যাখ্যা বলে ৷
☸ ব্যাখ্যা কত প্রকার ও কী কী ?
=> ব্যাখ্যা দুই প্রকার ৷ যথা-
- বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
- লৌকিক ব্যাখ্যা ৷
☸ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার রূপ কয়টি ও কী কী ?
=> বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার রূপ তিনটি ৷ যথা-
- বিশ্লেশণ
- শৃঙ্খল-যোজন
- অন্তর্ভুক্তি ৷
☸ অন্তর্ভুক্তি কী ?
=> যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় একটি কম ব্যাপক নিয়মকে একটি বেশি ব্যাপক নিয়মের অন্তর্ভুক্তি করে ব্যাখ্যা করা হয় তাকে অন্তর্ভুক্তি বলে ৷
☸ লৌকিক ব্যাখ্যা কাকে বলে ?
=> যে ব্যাখ্যায় অদৃশ্য অপ্রাকৃতিক শক্তির আশ্রয় নিয়ে ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা দেওয়া হয় তাকে মৌলিক ব্যাখ্যা বলে ৷
☸ বিশ্লেষণ কাকে বলে ?
=> কোনো সংযুক্ত বা মিশকার্যকে স্বতন্ত্র বা আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করাকে বিশ্লেশণ বলে ৷
☸ লৌকিক ব্যাখ্যায় “বাদুর” কী ?
=> লৌকিক ব্যাখ্যা বাদুর হলো পাখি ৷
☸ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বাদুর কী ?
=> বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যায় বাদুর হলো প্রাণি ৷
☸ লৌকিক ব্যাখ্যা কখনও কোনো ঘটনার কী সম্পর্ক আবিষ্কার করে না ?
=> কার্যকারণ সম্পর্ক বা কোনো নিয়ম ৷
১. ক্লাসে শিক্ষক যৌক্তিক সংজ্ঞা পড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘মানুষ’ পদের সংজ্ঞা দিতে বললেন। উত্তরে এক ছাত্র বললো, “মানুষ হলো জীব”। দ্বিতীয় আরেক ছাত্র বললো, “মানুষ হলো মনুষ্য জাতীয় জীব”। তাদের উত্তর শুনে শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে ক্লাসে বিস্তারিত আলোচনা করলেন।
ক. যৌক্তিক সংজ্ঞা দাও।
খ. রূপক সংজ্ঞা অনুপপত্তি কখন ঘটে?
গ. উদ্দীপকে দ্বিতীয় ছাত্রের যৌক্তিক সংজ্ঞায় কোন ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রথম ও দ্বিতীয় ছাত্রের প্রদত্ত সংজ্ঞার মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
২. সফিক একজন কৃষক। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া অল্প কয়েক খণ্ড জমিই তার সম্বল। অল্প জমিতে অধিক ফসল পাওয়ার আশায় তিনি জমিগুলোকে উর্বরতার ভিত্তিতে দুভাগে ভাগ করে উর্বর জমিতে তরমুজ এবং অনুর্বর জমিতে পুকুর খনন করে মাছের চাষ করলেন। তরমুজের ফসল খুব ভাল হয়েছে। তিনি তরমুজগুলোকে তাদের আকার, আকৃতি ও রঙের ভিত্তিতে ভাগ করেন।
ক. যৌক্তিক বিজ্ঞান কী
খ. অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি কখন ঘটে?
গ. উদ্দীপকে সফিকের জমি ভাগ করার পদ্ধতি যৌক্তিক বিভাগের কোন নিয়মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, তরমুজ ভাগ করার ক্ষেত্রে গনি মিয়া যৌক্তিক বিভাগের যথার্থ নিয়ম পালন করেছে? পাঠ্যবিষয়ের আলোকে যুক্তি দেখাও।
৩. ঘটনা-১ : আমি এ যাবৎ যত নারী দেখেছি তারা প্রত্যেকেই গুণবতী। সুতরাং সকল নারীই গুণবতী।
ঘটনা-২ : মানুষের মতো উদ্ভিদের জš§, বৃদ্ধি, মৃত্যু, বংশবিস্তার, খাদ্যগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে সাদৃশ্য আছে। মানুষের সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে। সুতরাং উদ্ভিদেরও সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে।
ক. আরোহ কী?
খ. অপ্রকৃত আরোহকে আরোহ বলা যায় না কেন?
গ. দৃষ্টান্ত-১ এ কি ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃষ্টান্ত-২ এ নির্দেশিত আরোহের যথার্থতা বিচার কর।
৪. দুই বন্ধু জামাল ও কামাল রাতে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। শেষ রাতে মশার কামড়ে দুই বন্ধুর ঘুম ভেঙে যায়। তারা দুজনই উঠে বসে। কিন্তু অবাক হয়ে যায় মশারী দেখতে না পেয়ে। বন্ধু জামাল ভাবলো সম্ভবত মশারাই মশারিটি নিয়ে গেছে। দ্বিতীয় বন্ধু কামাল ভাবলো সম্ভবত ঘরে নতুন ভাবি মজা করার জন্য মশারিটি খুলে নিয়ে গেছে।
ক. প্রকল্প কী?
খ. সব প্রকল্পকে বৈধ প্রকল্প বলা যায় না কেন?
গ. বন্ধু জামালের ধারণাটি বৈধ প্রকল্পের কোন শর্ত ভঙ্গ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে জামাল ও কামালের প্রকল্পটির তুলনামূলক বিচার কর।
৫. বোনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রিফাত কিছু গাঁদা ফুল কেনার জন্য স্থানীয় একটি নার্সারিতে যায়। কিন্তু ওই নার্সারির প্রত্যেকটি গাছেই গোলাপ ফুল ফুটেছিল। এ থেকে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে ওই নার্সারির সকল গাছই গোলাপ ফুলের গাছ।
ক. প্রকৃত আরোহ কাকে বলে?
খ. সাদৃশ্যানুমানের সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে রিফাতের সিদ্ধান্তে যে আরোহের ইঙ্গিত পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উল্লিখিত আরোহ কী যথার্থ আরোহ? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
৬. স্বপন ও সুজন সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিল ও গল্প করছিল। জঙ্গলের মধ্যে একটি গুহার সামনে আসতেই স্বপন বলল, এ গুহায় বিরাট এক দানব বাস করে। গত বছর কমল কাকার ছেলে কার্তিককে ধরে মেরে ফেলেছে।
তখন সুমন বলল, এ ঘটনা আমি বিশ্বাস করি না। হয়তো সে কোনো বাঘের শিকার হয়েছিল, আর বাঘেই তাকে খেয়ে ফেলেছে।
ক. ব্যাখ্যা কী?
খ. পরম নিয়মকে ব্যাখ্যা করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকে কার্তিকের মৃত্যু নিয়ে স্বপনের বক্তব্য যুক্তিবিদ্যায় কোন
ধরনের ব্যাখ্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? বর্ণনা কর।
ঘ. স্বপন ও সুজনের বক্তব্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণপূর্বক কোনটিকে তুমি যথার্থ বলে মনে কর?
৭. দৃশ্যকল্প-১ : শীতের সকাল। দীপ্তি শরীর গরম করার জন্য জ্বলন্ত আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দীপ্তি দেখল জ্বলন্ত আগুন থেকে আমরা যতই দূরে সরে যাই ততই তাপ কম লাগে এবং যতই নিকটে আসি ততই তাপ বেশি লাগে।
দৃশ্যকল্প-২ : কনিকা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গণিত পরীক্ষায় সে শূন্য (০০) নম্বর পেয়েছে। ভাবতেই পারছে না কেন এত ফল বিপর্যয় হলো। মা বলল, গণিত পরীক্ষার আগে তুমি ডিম খেয়েছ তাই শূন্য নম্বর পেয়েছ।
ক. পরীক্ষাত্মক পদ্ধতিগুলো কী কী?
খ. ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে পরীক্ষণের পদ্ধতি বলা হয় কেন?
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ কার্য-কারণ সম্পর্ক প্রমাণের কোন পদ্ধতিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃশ্যকল্প-১ এ মা যে যুক্তি দেখিয়েছেন তার যথার্থতা পাঠ্য বিষয়ের আলোকে মূল্যায়ন কর।
৮. ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা তার জš§দিনের উপহারগুলো রঙের ভিত্তিতে সুন্দরভাবে আলাদা আলাদা করে তাকে সাজিয়ে রেখেছে। অপরদিকে অর্পিতা একটি ফুলের বাগান করেছে। সেখানে সে গন্ধযুক্ত ফুল একদিকে আর গন্ধবিহীন ফুল অন্যদিকে লাগিয়েছে।
ক. শ্রণিকরণ কী?
খ. পরিবর্তনশীল বন্ধন শ্রেণিকরণ করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকে মুক্তার শ্রেণিকরণ কোন ধরনের শ্রেণিকরণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে অর্পিতার শ্রেণিকরণ মুক্তার শ্রেণিকরণ থেকে কি ভিন্ন? পাঠ্য বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্রের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
১ম অধ্যায়: যৌক্তিক সংজ্ঞা
২য় অধ্যায়: যৌক্তিক বিভাগ
৩য় অধ্যায়: আরোহের প্রকারভেদ (আংশিক)
৪র্থ অধ্যায়: প্রকল্প
৬ষ্ঠ অধ্যায়: ব্যাখ্যা
যেভাবে ডাউনলোড করবে: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে দেওয়া অধ্যায়গুলো ওপরে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ের নামের ওপর ক্লিক করলে উক্ত অধ্যায়ের সাজেশনমূলক প্রশ্নোত্তর পাওয়া যাবে।
১. সুজন ও জিনিয়া সকালে কলেজ লাইব্রেরির বারান্দায় বসে গল্প করছিল। গল্পচ্ছলে এক সময় মানুষ সম্পর্কে প্রসঙ্গ এলে জিনিয়া সুজনকে প্রশ্ন করল, “মানুষ কী?” উত্তরে সুজন বলল, “মানুষ হয় সভ্য জীব।” জিনিয়া বলল, “তোমার উত্তর সঠিক হয়নি, কেননা মানুষ হয় সামাজিক জীব।”
ক. যৌক্তিক সংজ্ঞা কাকে বলে?
খ. সংজ্ঞায় দুর্বোধ্য ভাষা ব্যবহার করা যায় না, কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সুজনের বক্তব্যে যৌক্তিক সংজ্ঞার কোন ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে মানুষ সম্পর্কে সুজন ও জিনিয়ার বক্তব্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।
২. একদিন প্রতিবেলায় আলিফ পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখল যে, পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। আলিফের দাদি বলল, মানুষের কুনজর পড়ার কারণে মাছগুলো মরেছে। কিন্তু আলিফ পুকুর পড়ে একটি বিষের বোতল ও মানুষের পায়ের ছাপ দেখতে পেল। তাই আলিফ ভাবল, কেউ পুকুরে বিষয় প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলেছে।
ক. প্রকল্প কী?
খ. একটি প্রকল্প কেন বৈধ হয়?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত আলিফের দাদির ভাবনা প্রকল্পের কোন শর্তকে লঙ্ঘন করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত আলিফের ভাবনাতে প্রকল্পের স্তরগুলো যথাযথ অনুসরণ করা হয়েছে- বিশ্লেষণ কর।
৩. সম্রাট নেপোলিয়ন যখনই নিজে উপস্থিত থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন তখনই সৈন্যদল যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, যখনই নিজে অনুপস্থিত থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন তখনই সৈন্যদল পরাজয় বরণ করেছে। অতএব, সম্রাট নেপোলিয়নের উপস্থিতিই যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের কারণ।
ক. ব্যতিরেকী পদ্ধতির সংজ্ঞা দাও।
খ. অন্বয়ী পদ্ধতিকে কেন সাদৃশ্য বা মিলের পদ্ধতি বলা হয়?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টিতে কোন পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়কে ‘আবিষ্কার ও প্রমাণের পদ্ধতি’ হিসাবে গণ্য করা যায়- তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
৪. জুহামের দাদা বাড়ির পাশের পুকুর দেখিয়ে বলেন, আমরা ছোটবেলা শুনেছি এই পুকুরে পানি ছিল না। পরে পুকুরের মালিক স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ছাগল বলিদান করার পর পানি আসে। বিজ্ঞানের ছাত্র জুহাম বলল, “এটি অবাস্তব। জগতের প্রতিটি ঘটনারই কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে। মাটি খনন করে একটি নির্দিষ্ট করে যেতে পারলেই পানি পাওয়া যায়।”
ক. ব্যাখ্যা কাকে বলে?
খ. ব্যাখ্যায় ঘটনার প্রকৃত কারণ কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
গ. জুহামের দাদার বক্তব্যে কোন ব্যাখ্যার প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জুহামের বক্তব্যে ব্যাখ্যা ও কার্যকারণের সম্পর্ক নির্ণয় কর।
৫. কাশেম শেখ একজন লাইব্রেরিয়ান। তিনি লাইব্রেরির বইগুলো বিষয় অনুসারে শ্রেণিকরণ করেন। তারপর ওই শ্রেণিকরণ অনুযায়ী বইগুলো বিভিন্ন আলমারিতে সাজিয়ে রাখেন। পাঠক বিষয় অনুযায়ী আলমারি থেকে বই সংগ্রহ করে এবং পড়াশুনা করে।
ক. শ্রেণিকরণ কত প্রকার?
খ. শ্রেণিকরণকে মানসিক প্রক্রিয়া বলা হয়, কেন?
গ. উদ্দীপকে কাশেম শেখ কোন শ্রেণিকরণের মাধ্যমে লাইব্রেরির বইগুলো শ্রেণিকরণ করেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শ্রেণিকরণের সাথে প্রাকৃতিক শ্রেণিকরণের কি কোনো পার্থক্য রয়েছে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৬. শামস্ বাসায় ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বোনকে দেখে খুবই অবাক হলো। এ সময় জোরে বাতাসে বইতে শুরু করেছে। তা দেখে তার বোন বলল, জানালাগুলো বন্ধ করে দাও। এখনই ঝড় আসতে পারে।
ক. সম্ভাব্যতা কী?
খ. সম্ভাব্যতার ভিত্তি বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে শামস্ এর সাথে তার বোনের দেখা হওয়ার বিষয়টি তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়কে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত শামস্-এর অনুভূতি এবং তার বোনের বক্তব্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।
৭. দৃশ্য-১ : জনাব আনিসুজ্জামান একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকায় তিনি পরীক্ষাগারে বিদ্যুৎকে এক জাতীয় তরল পদার্থ হিসেবে গণ্য করেন।
দৃশ্য-২ : আকরাম সাহেব শরীরে জ্বর-জ্বর অনুভব করছেন। এমতাবস্থায় তাঁর স্ত্রী রোজী এসে তাঁর হাতে একটা আইসক্রিম দিয়ে বললেন, “এটি খেয়ে নিন, তাহলে জ্বর সেরে যাবে।”
ক. কাজ চালানো প্রকল্প কাকে বলে?
খ. সংকট উত্তরক দৃষ্টান্ত বলতে কী বোঝায়?
গ. দৃশ্যকল্প-২ এ প্রকল্পের কোন শর্তটি অনুসরণ করা হয়নি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ জনাব আনিসুজ্জামানের কাজটির প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর।
৮. মাহিনের আব্বা ঢাকার রামপুরা টেলিভিশন সেন্টারের পাশে বাড়ি করার জন্য জমি ক্রয় করেন। জমিটি চারদিকে সমান এবং জমির পাশেই রাস্তা আছে। মাহিন বুঝতে পারল যে, এটি একটি বর্গাকৃতির জমি। কারণ বর্গক্ষেত্রের চার বাহুর সমান।
ক. সাদৃশ্যমূলক অনুমান কত প্রকার ও কী কী?
খ. “বৈজ্ঞানিক আরোহের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত”- কেন?
গ. উদ্দীপকে মাহিনের অনুমান কোন আরোহকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত অনুমানের সাথে বৈজ্ঞানিক আরোহের পার্থক্য নির্ণয় কর।