বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি যেমন হবে
আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২০-২০২১) থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীকে বাছাই করে ভর্তি করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা হবে। মানবিক, ব্যবসায় ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রশ্নপত্রে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত সমন্বিত পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি :
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে আলাদা আলাদা মেধাতালিকা হবে। একজন পরীক্ষার্থী আবেদনের সময় যে যে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্বাচন করবে, তার নাম শুধু সে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকাতেই থাকবে। আর পরীক্ষার্থী যদি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে ফরম নিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে তার নাম ফলাফলের ভিত্তিতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা মেধাতালিকায় আসবে। আর ভর্তি পরীক্ষা হবে সমন্বিতভাবে অর্থাৎ শিক্ষার্থীকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একবার অংশ নিতে হবে। অর্থাৎ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একাধিকবার অংশ নেওয়া লাগবে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- শাবিপ্রবিতে যারা ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তারা শাবিপ্রবির জন্য আলাদাভাবে এবং যারা যবিপ্রবি’তে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তারা যবিপ্রবি’র জন্য আলাদাভাবে আবেদন করবে এবং তাদের পরীক্ষা হবে একসাথে, সমন্বিতভাবে। শাবিপ্রবি’র ১৪০০টি আসনের বিপরীতে ৪৯,৪৪২ জন এবং যবিপ্রবি’র ৬১০টি আসনের বিপরীতে ১১,৪৩৮ জন আবেদন করেছে। শাবিপ্রবি’র মেধা তালিকা তৈরি হবে, যারা শাবিপ্রবিতে ভর্তি হতে চায় এবং সেজন্য শাবিপ্রবি’তে আবেদন করেছে; অর্থাৎ আবেদনকৃত ৪৯,৪৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে। অন্যদিকে যবিপ্রবির মেধা তালিকা তৈরি হবে, যারা যবিপ্রবিতে ভর্তি হতে চায় এবং সেজন্য যবিপ্রবিতে আবেদন করেছে; অর্থাৎ আবেদনকৃত ১১,৪৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে। যারা উভয় বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদাভাবে আবেদন করেছে। এ রকম আবেদনকারী ৫৬১৩ জন।