জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ (National cinema award) অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিল্পী ও কলা কুশলীদের মাঝে  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত ২০২২ সালে মুক্তি হওয়া সিনেমার ভিত্তিতে এই পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ২৭টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ‘ওরা ১১ জন’ খ্যাত বিশিষ্ট অভিনেতা কামরুল আলম খান খসরু এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, যিনি ‘রোজিনা’ নামে পরিচিত, চলচ্চিত্র শিল্পে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন তার ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ (‘শিমু’ নামেও পরিচিত) চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন। মুহাম্মদ কাইয়ুম প্রযোজিত ‘কুড়া পক্ষীর শুন্যে উড়া’ ও মোহাম্মদ তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘পরাণ’ যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে।

চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে তার প্রধান চরিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন, আর যৌথভাবে জয়া আহসান ‘দ্য বিউটি সার্কাস’ এবং রিকিতা নন্দিনী শিমু ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার ২০২২ পেয়েছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পী রোজিনা অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পী এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলা-কুশলী অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের বৃত্তান্ত তুলে পৃথক ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে পার্শ্ব চরিত্রে ‘পরাণ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মো. নাসির উদ্দিন খান এবং আফসানা করিম মিমি ওরফে আফসানা মিমি ‘পাপ পুণ্য’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।
শুভাশিস ভৌমিক ‘দেশান্তর’ ছবির জন্য নেতিবাচক চরিত্রে (খল চরিত্র) সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘বীরত্ব’ চলচ্চিত্রের জন্য যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা এমিলিয়া।
‘পায়ের ছাপ’ চলচ্চিত্রের একটি গানের জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রিপন খান (মাহমুদুল ইসলাম খান)।

‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের ‘এ মন ভিজে যায়’ গানের জন্য যৌথভাবে বাপ্পা মজুমদার এবং ‘হৃদিতা’ চলচ্চিত্রের ঠিকানা বিহীন তোমাকে গানের জন্য চন্দন সিনহা সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন।

‘পায়ের ছাপ’ চলচ্চিত্রের ‘এই শহরের পথে পথে’ গানের জন্য সেরা গায়িকা পুরস্কার পেয়েছেন আতিয়া আক্তার আনিসা।
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর জন্য প্রযোজক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া এবং শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ‘ঘরে ফেরা’ এর জন্য প্রযোজক এস এম কামরুল আহসান পুরস্কার পেয়েছেন।

অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ফরিদুর রেজা সাগর ও খোরশেদ আলম খসরু, ‘পরাণ’ চলচ্চিত্রের জন্য রবিউল ইসলাম জীবন শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন (পায়ের ছাপ), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মুহাম্মদ কাইয়ুম, এস এ হক অলিক (সংলাপ), মো. সাইফুল ইমাম (শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্র) সুজন মাহমুদ (সম্পাদক), হিমাদ্রি বড়–য়া (সেরা শিল্প নির্দেশনা), রিপন নাথ (শব্দগ্রাহক), তানসিনা শাওন (পোশাক ও সাজ-সজ্জা) এবং মো. খোকন মোল্লা (মেকআপ ম্যান) এবং ফারজিনা আক্তার (সেরা শিশু শিল্পী বিশেষ বিভাগ) পুরস্কার পেয়েছেন।