সাধারণ বীমা কর্পোরেশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ (Sadharan Bima Corporation job circular 2023) প্রকাশিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশন ৫ ক্যাটাগরির পদে ১৭৮ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর পদগুলো ৯ম থেকে ১৪তম গ্রেডের। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে (http://sbc.teletalk.com.bd) আবেদন করতে হবে ২৫ জুলাই ২০২৩ তারিখের মধ্যে।
১ থেকে ৪ নম্বর পদে সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ৫ নম্বর পদে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, চাঁদপুর, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, রাঙামাটি, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রার্থীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা/প্রতিবন্ধী কোটায় আবেদনকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।
আগ্রহী প্রার্থীদের http://sbc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই জানা যাবে সাধারণ বিমা কর্পোরেশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (http://www.sbc.gov.bd)।
অনলাইনে আবেদন করার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ৬০০ টাকা; ৩ ও ৪ নম্বর পদের জন্য ৫০০ টাকা এবং ৫ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে SMS এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
Sadharan Bima Corporation job circular 2023 pdf download link : http://www.sbc.gov.bd/sites/default/files/files/sbc.portal.gov.bd/notices/7c1d7844_e3a7_47d0_8c7b_167686c3d3c2/2023-06-22-09-55-c1cb0f7ef3ec5f3dcdbb05fe04951a9c.pdf
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সাধারণ বা নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এটি ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন আইন ১৯৭৩ এর অধীনে গঠিত হয়।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন একমাত্র রাষ্ট্রীয় সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান যা সরাসরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের সকল ধরণের সাধারণ বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসা করার জন্য বীমা কর্পোরেশন আইন ১৯৭৩ (এক্ট নং ৬) এর অধীনে ১৯৭৩ সালের ১৪ মে এটি গঠিত হয়। বর্তমানে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯ এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সাধারণ বীমা ব্যবসায় একমাত্র বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করতে থাকে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বীমা কোম্পানির অনুমোদন প্রাদান করে এবং সে লক্ষ্যে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (সংশোধীত) ১৯৮৪ প্রচার করে ।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের বীমা বাজারের ২০% প্রিমিয়াম শেয়ার এর দখলে। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন দেশের সবচেয়ে বড় বীমা প্রতিষ্ঠান। এর অনুমোদিত মূলধন ১০০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। সর্বশেষ অর্থবছরে এর মোট ডাইরেক্ট প্রিমিয়াম আয় প্রায় ৩৫১.৯২ কোটি টাকা এবং মোট রিইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম আয় প্রায় ৭৯২.৩০ কোটি টাকা।
নিন্মে উল্লেখিত কিছু বৈশিষ্ট্যই সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তির কথা প্রমাণ করে।
যেমন- এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের নিজস্ব সম্পদের কারণে মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি, বাংলাদেশের একমাত্র পুনঃবীমাকারী প্রতিষ্ঠান, অফিসসমূহ বিস্তৃত নেটওর্কের আওতাভূক্ত, প্রচুর প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি, বড় আকারের বিনিয়োগযোগ্য অর্থ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেটে থাকা প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি। বহুতল বিশিষ্ট সাধারণ বীমা টাওয়ার রাজধানীর বুকে একমাত্র গাড়ি রাখার টাওয়ার।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন বাংলাদেশ, শিল্প উন্নয়ন সংস্থা এবং লিজিং কোম্পানি, জাতীয় চা কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আরামিট লিমিটেড, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো প্রতিষ্ঠানসমূহের স্পন্সর শেয়ার হোল্ডার।
বিচক্ষণতার সাথে সকল প্রকার কার্যপদ্ধতি গ্রহণ করে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর বৃহত্তর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকে। শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রে নয়, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুটি কয়েক বৃহৎ কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯ এর ধারা ১৬(১) অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকারি সম্পত্তি বা সরকারি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোন ঝুঁকি বা দায় সম্পর্কিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা ব্যবসা সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১০০% (একশত ভাগ) অবলিখন (underwrite) করে এর ৫০% নিজের মধ্যে রেখে অবশিষ্ট ৫০% সকল বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বন্টন করে দেয়। উল্লেখ্য, এই আইনের ধারা ১৬(৩) অনুযায়ী ধারা ১৬(১) এর বিধান লঙ্ঘন করে গৃহীত বা ইস্যুকৃত যে কোন বীমা বাতিল বলে গন্য হবে।
পুনঃবীমা ব্যবসার ক্ষেত্রে, ঐ আইন এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করে যে কোম্পানির ৫০% পুনঃবীমা ব্যবসা বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর সাথে করতে হবে আর বাকী ৫০% পুনঃবীমা ব্যবসা কোম্পানি চাইলে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে অথবা দেশি-বিদেশি যে কোন বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে করতে পারবে।
বীমা আর পুনঃবীমা ব্যবসাই হল সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মূল স্তম্ভ। মোট প্রিমিয়াম আয়, বিস্তৃত অফিস নেটওয়ার্ক এবং দক্ষ জনশক্তির কারণে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নন-লাইফ বীমা দায়গ্রহণকারী প্রাতিষ্ঠান। এছাড়াও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের ঝুঁকির পুনঃবীমা করে থাকে।