মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে যেকোনো বাংলাদেশি : ম্যাথু মিলার

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে যেকোনো বাংলাদেশি, এমনটাই মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। এসময় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসসহ অন্য সকল কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরও বিস্তৃত করছে- এমন এক প্রশ্নের জাবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, আমি এখন নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছি না। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসানীতি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমরা শুরু করেছি।

আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার আরো বলেন, গত ২৪ মে ২০২৩ ভিসানীতি ঘোষণার সময় আমরা এটা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি। আমরা ভিসানীতির কথা বলেছি তবে কারও নাম উল্লেখ করিনি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনও বাংলাদেশির ক্ষেত্রে এই ভিসা নীতি কার্যকর হবে।

অন্য যেকোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি আমরা মনে করি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা এই নীতি প্রয়োগ করব। 

বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করব না। তবে আমি বলব, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক সম্পর্কের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি স্বাগতিক দেশ অবশ্যই সকল দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে।

পাশাপাশি কূটনীতিকদের ওপর যেন কোনো ধরনের হামলা না হয় তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। 

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দেয় জানিয়ে ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল বিদেশি দূতাবাস এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।