এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান এখানে দেয়া হলো। ২০২২ সালের এইচএসসি ১১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE)। এই অ্যাসাইনমেন্ট / এসাইনমেন্ট ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এই এসাইনমেন্টটি বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
২০২২ সালের এইচএসসি ১১তম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের বিষয় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভূগোল, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন।
এইচএসসি ২০২২ ১১তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে।
এসাইনমেন্ট : | এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ |
শ্রেণি : | দ্বাদশ (এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থী) |
সপ্তাহ : | ১১তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট |
শুরু : | ৭-২-২০২২ |
এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ : | … ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
এইচএসসি ১১তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২২
১১তম এসাইনমেন্টের শিরোনাম : একটি কম্পিউটার ল্যাবের সকল কম্পিউটার টুইস্টেড পেয়্যার ক্যাবলের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হওয়ায় ডেটা স্থানান্তরের গতি কম পাওয়া যায়। এতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কটির টাইপ, মাধ্যম এবং টপােলজির বিশ্লেষন।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
১. নেটওয়ার্কের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
২. ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যমসমূহের মধ্যে তুলনা করতে পারবে।
৩. নেটওয়ার্ক টপােলজি ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নির্দেশনা :
ক. কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ধারণা ও প্রকারভেদ ব্যাখ্যা
খ. ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমসমূহের ধারণা ব্যাখ্যা
গ. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টপােলজি এবং প্রকারভেদ ব্যাখ্যা
ঘ. ডেটা স্থানান্তরের গতি কমে যাওয়ার কারন হিসাবে মাধ্যমগুলাের সুবিধাঅসুবিধা বিশ্লেষণ
ক. কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ধারণা ও প্রকারভেদ ব্যাখ্যা
উত্তর :
দুই বা ততোধিক কম্পিউটারকে যখন একে অপরের সাথে যুক্ত করা হয় যাতে তারা নিজেদের মধ্যে ইনফরমেশন আদান-প্রদান করতে পারে তখন তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে ।
যখন একাধিক কম্পিউটার পরস্পরে কোনো wired বা wireless মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে তখন সেটাকেই বলা হয় নেটওয়ার্ক।
ন্যূনতম দুটি কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকলে এই তাকে আমরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে পারি।
নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র সংযুক্ত থাকতে পারে। কোন নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য কম্পিউটার বা বিভিন্ন যন্ত্র কে ওয়্যার বা ওয়্যারলেস উভয় মাধ্যমে সংযুক্ত করা যেতে পারে । নেটওয়ার্ক মাধ্যমে কাছাকাছি বা দূরে থাকা কম্পিউটারগুলো সংযুক্ত করা যায়।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ :
ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা হয়, যেমন-
পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) : এক মিটারের মধ্যে অবস্থিত একাধিক কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার জন্যে যে নেটওয়ার্ক সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাকে পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এ ধরণের নেটওয়ার্ক বিভিন্ন অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করে দ্রুত তথ্য আদানপ্রদান করা যায়, হার্ডওয়্যার রিসোর্স ব্যবহার করা যায়। MIT এর মিডিয়া ল্যাব এর থমাস জিস্যার ম্যান এবং তার সহযোগী গবেষণা করে সর্বপ্রথম PAN এর ধারণা দেন।
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN) : একটি বিল্ডিঙয়ের কোন একটি ফ্লোরে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার অথবা বিল্ডিঙয়ের বিভিন্ন ফ্লোরের মধ্যে অবস্থিত কম্পিউটার সমূহের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। LAN এর ব্যাপ্তি নিকটবর্তী বিল্ডিং সমূহে অবস্থিত কম্পিউটার সমূহের মধ্যেও হতে পারে। এই নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজসাধ্য ও ব্যয়বহুল নয়।
নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং সার্ভিস প্রদানের ধরণের উপর ভিত্তি করে একে দু’ভাগে ভাগ করা যায়- ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক ও পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক।
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN) : কোন নির্দিষ্ট শহরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার সমূহকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্যে টেলিফোন লাইন বা High Speed Remote এর সাহায্যে MAN পদ্ধতিতে কম্পিউটার সমূহ নেটওয়ার্কভুক্ত করা হয়। যেমনঃ একটি শহরে কোন একটি অফিসের কয়েকটি শাখা অফিস আছে। উক্ত শাখাসমূহে স্থাপিত কম্পিউটার সমূহের নেটওয়ার্ক এর আওতাভুক্ত করার জন্য MAN পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত কোন শহর, শিল্প এলাকা অথবা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় নেটওয়ার্কিং প্রক্রিয়া স্থাপন করার জন্য MAN পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) : সবচেয়ে বড় এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্ক হচ্ছে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। এটি একই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে স্থাপিত কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা হতে পারে অথবা ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন শহরের মধ্যে স্থাপিত কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা হতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন শহরে অবস্থিত LAN বা MAN কে এই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করা হয়। WAN এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে ইন্টারনেট।
খ. ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমসমূহের ধারণা ব্যাখ্যা।
উত্তর:
আমরা ডেটা বলতে বুঝি যে কোনো ধরনের লেখা (মেসেজ, ই-মেইল, টুইট ইত্যাদি), ছবি, ভিডিও ফাইল, অডিও ফাইল ইত্যাদি। এসব ডেটা যদি পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করা হয় অথবা এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় পাঠানো হয় তবে সেটাকে বলা হয় ডেটা কমিউনিকেশন। অর্থাৎ বলা যায়, এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটার বা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে তথ্যের আদান প্রদানকে বা তথ্য বিনময়কে ডেটা কমিউনিকেশন বলা হয়। ডেটা কমিউনিকেশনের কোনো কোনো পর্যায়ে সরাসরি কম্পিউটার জড়িত থাকে। আধুনিক কমিউনিকেশন সিস্টেমের প্রধান দুটি উপাদান বা কম্পোনেন্ট হচ্ছে- কম্পিউটার এবং ট্রান্সমিশন সিস্টেম। কম্পিউটারকে বলা হয় ডেটা প্রসেসিং ডিভাইস। কম্পিউটার কর্তৃক প্রসেসকৃত ডেটা একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে পৌছে যাওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ট্রান্সমিশন সিস্টেম। ট্রান্সমিশন সিস্টেমের প্রধান উপাদানগুলো হলো: মডেম, ট্রান্সমিটার ইত্যাদি।
ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান :
আধুনিক তথা ডিজিটাল কমিউনিকেশন সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরূপ:
১. উৎস (Source): যে যন্ত্র বা ডিভাইস থেকে ডেটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে। যেমন: কম্পিউটার, টেলিফোন ইত্যাদি।
২. প্রেরক (Transmitter): প্রেরক যন্ত্র, উৎস থেকে ডেটা নিয়ে মাধ্যমের কাছে প্রেরণ করে। প্রেরক ডেটার নিরাপত্তা রক্ষার্থে এক এনকোড করে নিতে পারে।
৩. কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম (Medium): যার মধ্য দিয়ে ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে যায় বা পরিবাহিত হয় তাকে মাধ্যম বা কমিউনিকেশন চ্যানেল বলে। মাধ্যম দুই ধরনের হতে পারে। তারযুক্ত মাধ্যম ও তারবিহীন মাধ্যম। যেমন-ক্যাবল, পাবলিক টেলিফোন লাইন, রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, অপটিক্যাল ফাইবার, স্যাটেলাইট ও মডেম ইত্যাদি।
৪. প্রাপক বা গ্রাহক (Receiver): কমিউনিকেশন মাধ্যম হতে যে যন্ত্র বা ডিভাইস ডেটা গ্রহণ করে নেয় এবং অত:পর তা গন্তব্যে পৌঁছে দেয় তাকে প্রাপক বা গ্রাহক বলে। যেমন: মডেম।
৫. গন্তব্য (Destinition):সর্বশেষ যে ডিভাইসে ডেটাসমূহকে পাঠানো হয় তাকে গন্তব্য বলে। গন্তব্য হিসেবে সার্ভার, পার্সোনাল কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
উৎস এবং প্রেরক অংশকে একত্রে বলা হয় উৎস সিস্টেম অন্যদিকে প্রাপক এবং গন্তব্য অংশকে একত্রে বলা হয় গন্তব্য সিস্টেম।
ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের সময় আমাদের কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। এই নিয়মনীতিগুলোকে প্রোটোকল বলে।
গ. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টপােলজি এবং প্রকারভেদ ব্যাখ্যা।
উত্তর : নেটওয়ার্ক টপোলজি নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল ডিভাইস বাঁ কম্পোনেন্ট কে নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) বলা হয়। যেমন : ক্যাবল, পিসি, রাউটার এই ডিভাইস বাঁ কম্পোনেন্ট গুলো যে সিস্টেমে নেটওয়ার্কের মধ্যে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, একেই টপোলজি সিস্টেম বলা হয়।
যেই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে একটু মূল তার কে কেন্দ্র করে কয়েকটি ওয়ার্ক্সস্টেশন বাঁ কম্পিউটার যুক্ত থাকে, সেই নেটওয়ার্ক সিস্টেম কে বাস টপোলজি (Bus Topology System) বলে। বাস টপোলজিতে একটি প্রধান ক্যাবল থাকে, যাকে ব্যাকবোন (Backbone) হিসেবে চিন্তা করা হয়। যখন নেটওয়ার্ক সিগন্যাল ব্যাকবোনে চলাফেরা করবে, তখন প্রাপক হিসেবে কম্পিউটার সিগন্যাল গ্রহণ করবে আর বাকিরা এটিকে অগ্রাহ্য করবে।
এই টপোলজি সিস্টেম ছোট হওয়ার কারনে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সহজ। এই সিস্টেমে কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলেও সম্পূর্ন নেটওয়ার্ক সিস্টেম অকেজো হয়ে যায়না।
বাস টপোলজির কিছু উপকারিতা
এর নেটওয়ার্ক সিস্টেম ছোট হওয়াতে এটি ব্যবহারে অনেকটাই ইজি।
এই সিস্টেমে ক্যাবলের পরিমান অনেক কম হওয়ার খরচের পরিমানও কমে যায়।
রিপিটার ব্যবহারের মাধ্যমে এর ব্যাকবোন (Backbone) কে সম্প্রসারণ করা খুব ইজি।
এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট হলে গেলেও পুরো সিস্টেম অকেজো হয়ে যায়না।
বাস টপোলজির কিছু অপকারিতা
এই সিস্টেমে কম্পিউটারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে ট্রান্সমিশনে কিছুটা সমস্যা হয়।
এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ডাটা ট্রান্সফার স্প্রিড কিছুটা স্লো হয়ে থাকে।
এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সমস্যা নির্ণয় অনেকটা জটিল।
রিং টপোলজি (Ring Topology System)
এই সিস্টেমে পাশাপাশি কয়েকটি কম্পিউটার রিংয়ের ন্যায় যুক্ত হয়ে ডাটা ট্রান্সফার করে থাকে বলে এই সিস্টেম কে রিং টপোলজি বলে। রিং টপোলজিতে ট্রান্সফারকৃত ডাটা বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাপক কম্পিউটার ডেটা গ্রহন না করে।
এই টপোলজি সিস্টেমে কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটা থাকেনা, এই সিস্টেমে প্রতিটা কম্পিউটার সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই টপোলজিতে যেহেতু প্রতিটা কম্পিউটার বৃত্তাকার অবস্থায় থাকে এবং প্রথম কম্পিউটারটি শেষ কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে, তাই এই সিস্টেমে মাঝখান থেকে যেকোন একটি কম্পিউটারে সমস্যা সৃষ্টি হলে আর ডেটা ট্রান্সফার হবেনা।
রিং টপোলজির কিছু উপকারিতা
এই টপোলজি সিস্টেমে কোন সার্বার বাঁ কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের দরকার হয়না।
এই টপোলজি নেটওয়ার্কে অবস্থিত প্রতিটা কম্পিউটার সমানভাবে গুরুত্ব বহন করে।
এই সিস্টেমে ইচ্ছেমত কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে খুব একটা সমস্যা হয়না।
রিং টপোলজির কিছু অপকারিতা
এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে যেকোন একটি কম্পিউটারে সমস্যা হলে ডেটা ট্রান্সফার হবেনা।
এই টপোলজিতেও নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সমস্যা নির্ণয় করা বেশ জটিল।
স্টার টপোলজি (Star Topology System)
স্টার টপোলজি (Star Topology System)
যেই নেটওয়ার্ক টপোজলিতে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে অন্য সকল কম্পিউটার গুলো বৃত্তাকারভাবে যুক্ত থেকে ডেটা ট্রান্সফার করে তাকে স্টার টপোলজি (Star Topology System) বলে। এ নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমেই সমস্থ ডেটা আদান প্রদান হয়।
এই টপোলজি সিস্টেমে কেন্দ্রীয় কম্পিউটার ছাড়া অন্য যেকোন কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দিলে সাধারনত ডেটা ট্রান্সফারে তেমন একটি সমস্যা হয়না।
স্টার টপোলজির কিছু উপকারিতা
এই টপোলজি সিস্টেমে কোন জামেলা ছাড়াই যেকোন মুহূর্তে নতুন কম্পিউটার যুক্ত করা যায়।
এই সিস্টেমে খুব সহজেই সমস্যা নির্ণয় করা যায়।
হঠাৎ কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট বাঁ সমস্যা হলে ডেটা ট্রান্সফারে কোন জামেলা সৃষ্টি হয়না।
এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটার টিকে সরিয়ে নেওয়া যায়।
স্টার টপোলজির কিছু অপকারিতা
কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা কম্পিউটারে কোন প্রকার জামেলা সৃষ্টি হলে সম্পূর্ন ডেটা ট্রান্সফার বন্ধ হয়ে যাবে।
এই টপোলজি সিস্টেমে অনেক বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বলে খরচের পরিমানও বেড়ে যায়।
কম্পিউটারে সংখ্যা খুব বেশি বৃদ্ধি করলে ডেটা ট্রান্সফার স্প্রিড হ্রাস পায়।
ট্রি টপোলজি (Tree Topology System)
ট্রি টপোলজিতে অনেক গুলো স্টার টপোলজি গাছের শাখা-প্রশাখার ন্যায় বিন্যস্ত থাকে বলে একে ট্রি টপোলজি বলা হয়। এই টপোলজি সিস্টেমে হোস্ট হিসেবে এক বাঁ একাধিক কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে।
ট্রি টপোলজি (Tree Topology System)
অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে প্রথম স্তরের কম্পিউটার গুলো, দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয় এবং দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর সাথে হোস্ট হিসেবে যুক্ত থাকে।
অফিস, আদালত এবং ছোট খাট আইটি বিজনেস গুলোতে এই টাইপের নেটওয়ার্ক টপোলজি সিস্টেম খুব বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।
ট্রি টপোলজির কিছু উপকারিতা
যেকোন আইটি অফিসগুলোতে এই টপোলজি পজিটিভ উপযোগি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই টপোলজিতে নতুন কোন সংযোগ বাদ দিলে ডেটা ট্রান্সফারে তেমন কোন সমস্যা হয়না।
কিছু অপকারিতা
এই টপোলজি সিস্টেম অনেকটা জটিল।
মেইন রুট বাঁ সার্ভারে কোন সমস্যা দেখা দিলে পুরো টপোলজি সিস্টেম অচল হয়ে যাবে।
হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology System)
কয়েকটি টপোলজি নিয়ে গঠিত টপোলজিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়। অর্থাৎ বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজি গুলো নিয়ে গঠিত নতুন এবং বিশাল টপোলজি সিস্টেম কে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়।
উদাহারণ হিসেবে পুরো ইন্টারনেট সিস্টেম কে হাইব্রিড টপোলজির সাথে তুলনা করা যায় – ইন্টারনেট হলো বিশাল একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম, যেখানে সব টাইপের টপোলজি গুলো বৃদ্ধমান আছে।
হাইব্রিড টপোজলির সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নির্বর করবে, হাইব্রিড টপোলজিতে ব্যবহৃত অন্যান্য টপোলজিগুলোর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলোকে কেন্দ্র করে।
মেশ টপোলজি (Mesh Topology System)
কোন নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মধ্যে যে ডিভাইস বাঁ কম্পিউটার থাকে, এই ডিভাইস বাঁ কম্পিউটারগুলোর মধ্যে যখন অতিরিক্ত সংযোগ দেওয়া থাকে তখন তাকে মেশ টপোলজি সিস্টেম বলা হয়।
এই টপোলজি সিস্টেমে অতিরিক্ত বাঁ অপ্রয়োজনীয় লিঙ্ক দেওয়া থাকে বলে অতিরিক্ত ডেটা ট্রান্সফারের নিশ্চয়তা দেওয়া যায়। এছাড়া এই সিস্টেমে নেটওয়ার্কের নেগেটিভ সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়।
মেশ টপোলজির উপকারিতা
খুব সহজে এই টপোলজি সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি হয়না।
ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে অন্য টপোলজি থেকে এই টপোলজিতে নিশ্চয়তার হার বেশি হয়।
অনেক সহজেই যেকোন সমস্যা সমাধান করা যায়।
অন্য টপোলজি গুলোর তুলনায় এই টপোলজিতে ডেটা ট্রান্সফার স্প্রিড অনেক দ্রুত।
অনেক বেশি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সিস্টেম।
মেশ টপোলজির অপকারিতা
এই সিস্টেমে নেটওয়ার্ক ইন্সটলেশন এবং কনফিগারেশন অনেক বেশি জটিল।
এই টপোলজিতে খরচের পরিমান সবচেয়ে বেশি।
ঘ. ডেটা স্থানান্তরের গতি কমে যাওয়ার কারন হিসাবে মাধ্যমগুলাের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ।
উত্তর:
১. নেটওয়ার্ক লেটেন্সি :
নেটওয়ার্ক লেটেন্সি উৎস থেকে গন্তব্যে একটি প্যাকেট পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সময় বোঝায়। এই সময় নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়:
শারীরিক দূরত্বের উপর :
নেটওয়ার্ক ডিভাইসের সংখ্যা যা অতিক্রম করতে হবে (এছাড়াও হপ সংখ্যা হিসাবে উল্লেখ করা হয়)
এবং অল্প পরিমাণে, প্রতিটি ডিভাইসের কর্মক্ষমতা
(দেখা “নেটওয়ার্ক কর্মক্ষমতা পরিমাপ: লেটেন্সি, থ্রুপুট এবং প্যাকেট ক্ষতির মধ্যে লিঙ্কনেটওয়ার্ক লেটেন্সি কি চালায় সে সম্পর্কে আরও জানতে।)
লেটেন্সি এবং ট্রান্সফার রেটগুলির মধ্যে সম্পর্ক ডেটা বহনকারী প্রোটোকলের উপর নির্ভর করে।
২. নেটওয়ার্ক কনজেশন :
নেটওয়ার্ক কনজেশন বলতে উৎস এবং গন্তব্যের মধ্যে প্রবাহিত করার জন্য প্যাকেট দ্বারা ব্যবহৃত পথের স্যাচুরেশনকে বোঝায় । পথের উপাদানটি হয় একটি সক্রিয় ডিভাইস (যেমন, রাউটার বা সুইচ) অথবা একটি শারীরিক লিঙ্ক (যেমন, কেবল) হতে পারে।
উপাদানটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা পৌঁছে গেলে, প্যাকেটটি সময়মত স্থানান্তর করা যায় না কারণ এটিকে একটি সারিতে রাখা হয় (যেমন, একটি রাউটারে) বা বাদ দেওয়া হয় যদি সেগুলি ধরে রাখার জন্য কোনও সারির ব্যবস্থা না থাকে। এমনকি নতুন সেশন সেট আপ করা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে ।
USB স্থানান্তরের গতি কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ :
HSC assignment 2022 11th week pdf download link (28 pages) : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/0c0fd8d6_4b65_4492_bd08_741bed5a0bc1/assignment-HSC2022-WK11.pdf
১০ম সপ্তাহের এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ কার্যক্রম ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ (বুধবার) থেকে শুরু হয়েছে।
এসাইনমেন্ট : | এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ |
শ্রেণি : | দ্বাদশ (এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থী) |
সপ্তাহ : | ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট |
শুরু : | ২-২-২০২২ |
এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ : | … ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্টের বিষয়গুলো হলো – ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন, অর্থনীতি, যুক্তিবিদ্যা, হিসাববিজ্ঞান, খাদ্য ও পুষ্টি, প্রকৌশল অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (ঐচ্ছিক-১ এবং ঐচ্ছিক-২)।
৯ম সপ্তাহের এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ কার্যক্রম ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ (বুধবার) থেকে শুরু হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে প্রকাশিত ৯ম এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক
পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য ৯ম সপ্তাহের
রসায়ন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ইসলাম শিক্ষা, শিশুর বিকাশ, লঘু সংগীত, উচ্চাঙ্গ সংগীত,
উচ্চতর গণিত, উৱপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন, আরবি, পালি, সংস্কৃতি, কৃষিশিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, প্রকৌশল অংকন ও
ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ বিষয়ের এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন রুবিক্সসহ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এসাইনমেন্ট : | এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ |
শ্রেণি : | দ্বাদশ (এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থী) |
সপ্তাহ : | ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট |
শুরু : | ২৬-১-২০২২ |
এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ : | … ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
Hsc 2022 assignment 9th week question pdf download link : https://drive.google.com/file/d/1WaJo8LntCHspyIWAaQ9yqUPBRXX3Lku_/view?usp=sharing
>> এইচএসসি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ (নমুনা) শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। চোখ রাখুন আমাদের সাইটে।
৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের বিষয়গুলো (২০টি) হলো- গুচ্ছ ৪-এর জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভূগোল, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা, গৃহ ব্যবস্থাপনা এবং পারিবারিক জীবন এবং গুচ্ছ ৫-এর উচ্চাঙ্গ সংগীত, উচ্চতর গণিত, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন, আরবি, পালি, সংস্কৃত, কৃষিশিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, প্রকৌশল অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, চারু ও কারুকলা, শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ।
⏩ ৫ম সপ্তাহে এইচএসসির (২০২২) এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে মোট ২০টি বিষয়ের উপর : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/f9118752_a83f_48c2_8b3d_4b7757115e8c/hsc-2022-week5.pdf
* উত্তর খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রকাশ হচ্ছে। সেটি সম্পন্ন করে নিজ নিজ কলেজের নির্ধারিত শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে। এসাইনমেন্ট বিতরণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা, গ্রিড এবং সপ্তাহভিত্তিক নির্ধারিত কাজ মাউশির ওয়েবসাইটে (www.dshe.gov.bd) প্রকাশিত হয়েছে।
⏩ দরকারি কন্টেন্ট পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন
https://youtube.com/channel/UCl80AR1Q6cqe36iCQxLrgrg
বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : ‘বিদ্রোহী’ কবিতার আলােকে কবির বিদ্রোহী সত্তার স্বরূপ নির্ধারণ এবং বর্তমান সময়ে কবিতাটির প্রাসঙ্গিকতা যাচাই ।
উত্তর : শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
প্রশ্ন : Fig-1 অ্যাসাইনমেন্ট-১ এর সমস্যাটি আবার চিন্তা করা যাক। এবার, Fig-1 এ 1.5 kg ভরটির সাথে যুক্ত সুতাটি টেবিলের মাঝের একটি ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করানাে আছে এবং 2 kg ভরটি আগের মতনই ঝুলানাে আছে। 1.5 kg ভরটি এবার সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় রাখা হয়েছে। ঘর্ষণ গুণাঙ্ক আগের মতোই 0.2।
(ক) সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান 1.5 kg ভরের জন্য নিউটনের সমীকরণ লেখ?
(খ) 1.5 kg ভরটি সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকার ফলে কাজ কত?
(গ) যদি 2 kg ভরটিকে স্থির অবস্থায় রাখতে হয় তাহলে 1.5 kg ভরটির দুতি কত হওয়া দরকার?
(ঘ) যদি ঘর্ষণ থাকার কারণে 1.5 kg ভরের দ্রুতি কমতে থাকে। তাহলে 2 kg ভরটির বেগ বনাম সময়ের গুণগত গ্রাফ আঁক?
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান / HSC Physics 1st paper assignment solutions (4th week) :
প্রশ্ন : মূল্যবােধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক কীভাবে মূল্যবােধ ও নৈতিকতাকে প্রভাবিত করে- বিশ্লেষণ করো।
নির্দেশনা (সংকেত ধাপ পরিধি) : মূল্যবােধ ও নৈতিকতার ধারণা আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক ও গুরুত্ব।
উত্তর : পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ে পাঠের মাধ্যমে মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য সম্পর্কে জ্ঞান ও স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। আধুনিক সমাজে নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুচারুরূপে পালন করার জন্য এ বিষয়গুলোর ধারণা থাকা উচিত। সমাজে বসবাস করতে গেলে অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। তাদের মধ্যে কিছু নিয়ম-নীতি মানুষ বিবেকবোধ থেকে মেনে চলে। আবার কিছু নিয়ম-নীতি মানুষ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মান্য করে।
মানুষ চাইলেই নিজের খেয়াল খুশি মতো যা ইচ্ছা করতে পারে না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সমাজে ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সকল নাগরিকগণ যার-যার যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। তাদের মাঝে একটি সাম্যের ভাব বহাল থাকে। যদি কেউই নিয়মকানুন না মানে, যার যা খুশি তাই করে, তাহলে সকলেরই অসুবিধা হয় এবং সমাজ ও রাষ্ট্র বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়।
মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো-
মূল্যবোধের ধারণা : মূল্যবোধ একটি মানবিক গুনাবলী। এটি একজন মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল। মূল্যবোধ সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা ও সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়। এটি অর্জনের বষয়, আরোপিত নয়। মূল্যবোধ এর নির্দিষ্ট কোন মাপকাঠি বা যৌক্তিকতা প্রমাণের সুযোগ নেই।
কারণ, একজনের কাছে যা আর্দশ, তা অন্য জনের কাছে বিরক্তির কারণও হতে পারে। তবে অনেকের মতে মানবিক গুনাবলী এবং সঠিক বিবেকবুদ্ধির বহি:প্রকাশই মূল্যবোধ। বিভিন্ন পন্ডিত মূল্যবোধকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সমাজবিজ্ঞানী এইচ এম জনসন এর মতে- “সামাজিক মূল্যবোধ হল একটি মানদন্ড”।
মার্কিন দার্শনিক ও সমাজ বিজ্ঞানী Clyde Kluckhohn বলেন, “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচার-আচরণের ধারা যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত”। সমাজবিজ্ঞানী এফ ই মেরিল বলেন “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। সুতরাং, সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব ধারণার চূড়ান্ত ব্যাপ্তি যা মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির জীবনে একান্ত কাম্য। সমাজের এসব মূল্যবোধ মানুষের জীবনের জন্য লক্ষ্য ও প্রাপ্তি স্থির করতে সাহায্য করে।
নৈতিকতার ধারণা : নৈতিকতা ব্যক্তিগত একটি বিষয়। পৃথিবীতে ভালো-মন্দ যাচাই করার কোন শ্বাশত মানদন্ড না থাকার ফলে একজনের দৃষ্টিতে যে বিষয়টি ভালো অন্য জনের দৃষ্টিতে তা খারাপ হতে পারে। তবে ভালো-মন্দের একটি গড়পড়তা মানদন্ড সব সমাজে প্রায় একই রকম। সততা, সদাচারী, সৌজন্যমূলক আচরণকারী, প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারি ব্যক্তিকে সব সমাজই নৈতিক গুনসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
এ রকম ব্যক্তি কোন বিষয়টি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য ভালো বা মন্দ তা নির্ণয় করতে পারে। এই ভালো ও মন্দের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারাটাই হল ব্যক্তির নৈতিকতা। নৈতিকতাকে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। উদাহরণস্বরূপডি এন সিডলি’র মতে “সঠিক ও বেঠিক এর মাঝে পার্থক্যই হল নৈতিকতা”।
আইন ও নৈতিকতার সম্পর্ক আইন ও নৈতিকার বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় এ দুটি প্রত্যয়ের মাঝে দুই ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারে। একটি হল মিল বা সুসম্পর্ক; অন্যটি অমিল বা পার্থক্য। আইন ও নৈতিকতার সুসম্পর্ক উদ্দেশ্যগত: আইন ও নৈতিকতা উভয়েরই উদ্দেশ্য হল সৎ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠন। আইনের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে সৎ, যুক্তিসংগত, নিয়মের মাঝে রাখা।
অন্যদিকে, নৈতিকতারও একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নীতিবান ব্যক্তি তার কর্মে ও কথায় সবসময় সৎ, সদাচারী, সৌজন্যমূলক ও সৎচিন্তাশীল হয়ে থাকে। এসব গুণ সমাজজীবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য অপরিহার্য। সাধারণত সমাজে যেসব বিষয়গুলো আইন বিরোধী, সেগুলো সাধারণত নীতিবিরোধীও হয়। যেমন, প্রতারণা বিষয়টি নীতিবিরোধী আবার তা আইন বিরোধীও। বাংলাদেশে কেউ প্রতারণা করলে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২০ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়।
এ ধরনের বিবেচনা থেকে অধ্যাপক আর জি গেটেল বলেন, “আইন ও নৈতিকতার মাঝে নিবিড় সম্পর্ক বিরাজমান।” প্রভাবগত: সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তিকে নীতি-নিষ্ঠ আখ্যা দেওয়া হয়। নীতি-নিষ্ঠতা মানুষের কাছ থেকে স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কিন্তু স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সীমাহীন চাহিদা, হিংসাত্নক মনোভাবের কবলে পড়ে অনেক সময় মানুষ নীতিবোধ বিসর্জন দেয়। আইনের হস্তক্ষেপে মানুষ অনেক সময় নীতিবোধ বিসর্জিত হওয়াটা বুঝতে শিখে।
স্বাধীনতা ধারণা : ’স্বাধীনতা’ নামক প্রত্যয়টি পৌরনীতি ও সুশাসন এর আলোচনায় খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। রাষ্ট্রে একজন নাগরিকের অস্তিত্ব বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত স্বাধীনতা থেকেই প্রকাশ পায়। স্বাধীনতা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Liberty’ স্বাধীনতাকে শাব্দিক অর্থে বলা যায় নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করা।
কিন্তু একজনের স্বাধীনতার সাথে অন্যের স্বাধীনতা ভোগের বিষয় যেহেতু জড়িত তাই পৌরনীতিতে স্বাধীনতা মানে যা খুশি তাই করা নয়। স্বাধীনতা মানে যৌক্তিক ও আইনসিদ্ধভাবে কোন কিছু করাকেই বুঝায়।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকগণ নানা ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। যেমন- চলাফেরার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম সংক্রান্ত স্বাধীনতা। জাতীয় স্বাধীনতা আবার একটু ভিন্ন। এটি অর্জন করা কঠিন। সাধারণত স্বাধীনতার আন্দোলন বা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে।
নাগরিক বা জাতি সে যা-ই হোক না কেন, এদের স্বাভাবিক অস্তিত্বের জন্য স্বাধীনতা অপরিহার্য। তাই দেখা যায় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সংবিধানেই নাগরিকদের স্বাধীনতা ভোগের বিষয়ে নানান ধরনের ধারা সংযুক্ত থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এইচ জে লাস্কি বলেছেন “স্বাধীনতা হল অধিকারের ফল”। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী টি এইচ গ্রিন বলেন, “যা উপভোগ করার এবং সম্পন্ন করার যোগ্য তা উপভোগ ও সম্পাদন করার ক্ষমতাকে স্বাধীনতা বলে”।
প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়। স্বাধীনতা হচ্ছে ব্যক্তির অধিকার। জীবনের সুকুমার বৃত্তিগুলোর বিকাশের জন্য এটি অপরিহার্য। আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে স্বাধীনতা ভোগের বিকল্প নেই। স্বাধীনতার বিপরীত হল পরাধীনতা বা স্বাধীনতাহীনতা। স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির জন্য অনেক জাতি যুগের পর যুগ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আবার আত্নপরিচয়ের এবং ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য নাগরিকদের স্বাধীনতা প্রদান করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
সাম্যের ধারণা : সাম্য শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রীসের নগররাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্লেটোর লেখনীতেও সাম্যবাদের কথা পাওয়া যায়। প্লেটোর সাম্যের ধারণা অবশ্য আধুনিক ধারণা থেকে ভিন্ন। আধুনিকযুগে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলোপ করে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন কার্ল মার্কস।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে জন লক, রুশোর মতো চিন্তাবিদদের লেখালেখি এবং আমেরিকার স্বাধীনতা ও ফরাসি বিপ্লব এর মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। ফরাসি বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সাম্য। সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব এই তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠা করা ছিল ফরাসি বিপ্লবের মূল্য লক্ষ্য। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে সাম্য বলতে মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের উপযোগী সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পাওয়াকে বুঝায়।
অর্থনীতি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : রমিজ বাজার থেকে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, ৭০টাকা ও ৬০ টাকা হলে যথাক্রমে ১৫ কেজি, ২০ কেজি ও ২৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করতে আগ্রহী। অন্যদিকে পেয়ারা বিক্রেতা উক্ত দামে বাজারে পেয়ারা সরবরাহ করতে চায় যথাক্রমে ২৫ কেজি, ২০ কেজি ও ১৫ কেজি। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ কর।
যুক্তিবিদ্যা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : যুক্তির উপাদান হিসেবে পদের ব্যার্থ ও জাত্যর্থের তুলনামূলক বিশ্লেষণপূর্বক একটি বাস্তব উদাহরণ দাও।
হিসাববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : নগদান বই ও ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্ত গরমিলের কারণ অনুসন্ধান করে ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুতকরণ:
২০২১ সালের ৩১ মে তারিখে সাগর অ্যান্ড কোং এর নগদান বই মােতাবেক ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত ৪৮,৬০০ টাকা। গরমিলের কারণসমূহ নিম্নরূপঃ
১। চেক ইস্যু করা হয়েছে কিন্তু ব্যাংক কর্তৃক ডেবিট হয়নি ৪,৫০০ টাকা।
২। আদায়ের জন্য ৮,৫০০ টাকার চেক ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে কিন্তু ব্যাংক
বিবরণীতে এখনাে লেখা হয়নি।
৩। অন্য একজন গ্রাহক কর্তৃক ইস্যুকৃত ১০,৫০০ টাকার একটি চেক ব্যাংক ভুলবশত অত্র হিসাবে ডেবিট করেছে।
৪। ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ আদায় করেছে ১০,০০০ টাকা ।
৫। ব্যাংক সার্ভিস চার্জ বাবদ ১,৫০০ টাকা ডেবিট করেছে।
৬। একজন পাওনাদারকে ১২,০০০ টাকার একটি চেক ইস্যু করে ভুলে নগদান বইতে
১,২০০ টাকা লেখা হয়েছে।
৭। আদায়ের জন্য ব্যাংকে প্রেরিত প্রাপ্য বিল বাবদ ব্যাংক ৫১,০০০ টাকা আদায় করেছে যা নগদানভুক্ত হয়নি; উক্ত বিলের লিখিত মূল্য ছিল ৫০,০০০ টাকা ।
ক) উল্লেখিত লেনদেন থেকে গরমিলের কারণ বর্ণনা করাে।
খ) উপযুক্ত তথ্যের আলােকে প্রচলিত পদ্ধতিতে একটি ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুত করাে।
গ) উপযুক্ত তথ্যের আলােকে সংশােধিত জের পদ্ধতিতে একটি ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুত করাে।
খাদ্য ও পুষ্টি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : নিজ পরিবার/ প্রতিবেশী/আত্মীয়দের যেকোনাে ৫জন ব্যক্তির তথ্য ছকে সন্নিবেশ করে সেটি পর্যালােচনার ভিত্তিতে ব্যক্তি বিশেষের ক্যালরির চাহিদার পার্থক্যের কারণ চিহ্নিতকরণ এবং তালিকায় প্রাপ্ত ক্যালরির চাহিদার সাথে অনুমােদিত চাহিদার সামঞ্জস্যতা নিরূপণ ।
এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ (১০ম সপ্তাহ) প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE)। এই অ্যাসাইনমেন্ট / এসাইনমেন্ট ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এই এসাইনমেন্টটি বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
৯ম সপ্তাহের এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ কার্যক্রম ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ (বুধবার) থেকে শুরু হবে।
—–
৯ম সপ্তাহের এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ কার্যক্রম ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ (বুধবার) থেকে শুরু হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে প্রকাশিত ৯ম এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক
পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য ৯ম সপ্তাহের
রসায়ন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ইসলাম শিক্ষা, শিশুর বিকাশ, লঘু সংগীত, উচ্চাঙ্গ সংগীত,
উচ্চতর গণিত, উৱপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন, আরবি, পালি, সংস্কৃতি, কৃষিশিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, প্রকৌশল অংকন ও
ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ বিষয়ের এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন রুবিক্সসহ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এসাইনমেন্ট : | এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২২ |
শ্রেণি : | দ্বাদশ (এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থী) |
সপ্তাহ : | ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট |
শুরু : | ২৬-১-২০২২ |
এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ : | … ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
Hsc 2022 assignment 9th week question pdf download link : https://drive.google.com/file/d/1WaJo8LntCHspyIWAaQ9yqUPBRXX3Lku_/view?usp=sharing
>> এইচএসসি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ (নমুনা) শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। চোখ রাখুন আমাদের সাইটে।
৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের বিষয়গুলো (২০টি) হলো- গুচ্ছ ৪-এর জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভূগোল, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা, গৃহ ব্যবস্থাপনা এবং পারিবারিক জীবন এবং গুচ্ছ ৫-এর উচ্চাঙ্গ সংগীত, উচ্চতর গণিত, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন, আরবি, পালি, সংস্কৃত, কৃষিশিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, প্রকৌশল অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, চারু ও কারুকলা, শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ।
⏩ ৫ম সপ্তাহে এইচএসসির (২০২২) এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে মোট ২০টি বিষয়ের উপর : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/f9118752_a83f_48c2_8b3d_4b7757115e8c/hsc-2022-week5.pdf
* উত্তর খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রকাশ হচ্ছে। সেটি সম্পন্ন করে নিজ নিজ কলেজের নির্ধারিত শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে। এসাইনমেন্ট বিতরণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা, গ্রিড এবং সপ্তাহভিত্তিক নির্ধারিত কাজ মাউশির ওয়েবসাইটে (www.dshe.gov.bd) প্রকাশিত হয়েছে।
⏩ দরকারি কন্টেন্ট পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন
https://youtube.com/channel/UCl80AR1Q6cqe36iCQxLrgrg
বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : ‘বিদ্রোহী’ কবিতার আলােকে কবির বিদ্রোহী সত্তার স্বরূপ নির্ধারণ এবং বর্তমান সময়ে কবিতাটির প্রাসঙ্গিকতা যাচাই ।
উত্তর : শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
প্রশ্ন : Fig-1 অ্যাসাইনমেন্ট-১ এর সমস্যাটি আবার চিন্তা করা যাক। এবার, Fig-1 এ 1.5 kg ভরটির সাথে যুক্ত সুতাটি টেবিলের মাঝের একটি ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করানাে আছে এবং 2 kg ভরটি আগের মতনই ঝুলানাে আছে। 1.5 kg ভরটি এবার সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় রাখা হয়েছে। ঘর্ষণ গুণাঙ্ক আগের মতোই 0.2।
(ক) সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান 1.5 kg ভরের জন্য নিউটনের সমীকরণ লেখ?
(খ) 1.5 kg ভরটি সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকার ফলে কাজ কত?
(গ) যদি 2 kg ভরটিকে স্থির অবস্থায় রাখতে হয় তাহলে 1.5 kg ভরটির দুতি কত হওয়া দরকার?
(ঘ) যদি ঘর্ষণ থাকার কারণে 1.5 kg ভরের দ্রুতি কমতে থাকে। তাহলে 2 kg ভরটির বেগ বনাম সময়ের গুণগত গ্রাফ আঁক?
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান / HSC Physics 1st paper assignment solutions (4th week) :
প্রশ্ন : মূল্যবােধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক কীভাবে মূল্যবােধ ও নৈতিকতাকে প্রভাবিত করে- বিশ্লেষণ করো।
নির্দেশনা (সংকেত ধাপ পরিধি) : মূল্যবােধ ও নৈতিকতার ধারণা আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক ও গুরুত্ব।
উত্তর : পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ে পাঠের মাধ্যমে মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য সম্পর্কে জ্ঞান ও স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। আধুনিক সমাজে নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুচারুরূপে পালন করার জন্য এ বিষয়গুলোর ধারণা থাকা উচিত। সমাজে বসবাস করতে গেলে অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। তাদের মধ্যে কিছু নিয়ম-নীতি মানুষ বিবেকবোধ থেকে মেনে চলে। আবার কিছু নিয়ম-নীতি মানুষ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মান্য করে।
মানুষ চাইলেই নিজের খেয়াল খুশি মতো যা ইচ্ছা করতে পারে না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সমাজে ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সকল নাগরিকগণ যার-যার যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। তাদের মাঝে একটি সাম্যের ভাব বহাল থাকে। যদি কেউই নিয়মকানুন না মানে, যার যা খুশি তাই করে, তাহলে সকলেরই অসুবিধা হয় এবং সমাজ ও রাষ্ট্র বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়।
মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো-
মূল্যবোধের ধারণা : মূল্যবোধ একটি মানবিক গুনাবলী। এটি একজন মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল। মূল্যবোধ সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা ও সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়। এটি অর্জনের বষয়, আরোপিত নয়। মূল্যবোধ এর নির্দিষ্ট কোন মাপকাঠি বা যৌক্তিকতা প্রমাণের সুযোগ নেই।
কারণ, একজনের কাছে যা আর্দশ, তা অন্য জনের কাছে বিরক্তির কারণও হতে পারে। তবে অনেকের মতে মানবিক গুনাবলী এবং সঠিক বিবেকবুদ্ধির বহি:প্রকাশই মূল্যবোধ। বিভিন্ন পন্ডিত মূল্যবোধকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সমাজবিজ্ঞানী এইচ এম জনসন এর মতে- “সামাজিক মূল্যবোধ হল একটি মানদন্ড”।
মার্কিন দার্শনিক ও সমাজ বিজ্ঞানী Clyde Kluckhohn বলেন, “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচার-আচরণের ধারা যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত”। সমাজবিজ্ঞানী এফ ই মেরিল বলেন “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। সুতরাং, সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব ধারণার চূড়ান্ত ব্যাপ্তি যা মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির জীবনে একান্ত কাম্য। সমাজের এসব মূল্যবোধ মানুষের জীবনের জন্য লক্ষ্য ও প্রাপ্তি স্থির করতে সাহায্য করে।
নৈতিকতার ধারণা : নৈতিকতা ব্যক্তিগত একটি বিষয়। পৃথিবীতে ভালো-মন্দ যাচাই করার কোন শ্বাশত মানদন্ড না থাকার ফলে একজনের দৃষ্টিতে যে বিষয়টি ভালো অন্য জনের দৃষ্টিতে তা খারাপ হতে পারে। তবে ভালো-মন্দের একটি গড়পড়তা মানদন্ড সব সমাজে প্রায় একই রকম। সততা, সদাচারী, সৌজন্যমূলক আচরণকারী, প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারি ব্যক্তিকে সব সমাজই নৈতিক গুনসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
এ রকম ব্যক্তি কোন বিষয়টি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য ভালো বা মন্দ তা নির্ণয় করতে পারে। এই ভালো ও মন্দের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারাটাই হল ব্যক্তির নৈতিকতা। নৈতিকতাকে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। উদাহরণস্বরূপডি এন সিডলি’র মতে “সঠিক ও বেঠিক এর মাঝে পার্থক্যই হল নৈতিকতা”।
আইন ও নৈতিকতার সম্পর্ক আইন ও নৈতিকার বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় এ দুটি প্রত্যয়ের মাঝে দুই ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারে। একটি হল মিল বা সুসম্পর্ক; অন্যটি অমিল বা পার্থক্য। আইন ও নৈতিকতার সুসম্পর্ক উদ্দেশ্যগত: আইন ও নৈতিকতা উভয়েরই উদ্দেশ্য হল সৎ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠন। আইনের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে সৎ, যুক্তিসংগত, নিয়মের মাঝে রাখা।
অন্যদিকে, নৈতিকতারও একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নীতিবান ব্যক্তি তার কর্মে ও কথায় সবসময় সৎ, সদাচারী, সৌজন্যমূলক ও সৎচিন্তাশীল হয়ে থাকে। এসব গুণ সমাজজীবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য অপরিহার্য। সাধারণত সমাজে যেসব বিষয়গুলো আইন বিরোধী, সেগুলো সাধারণত নীতিবিরোধীও হয়। যেমন, প্রতারণা বিষয়টি নীতিবিরোধী আবার তা আইন বিরোধীও। বাংলাদেশে কেউ প্রতারণা করলে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২০ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়।
এ ধরনের বিবেচনা থেকে অধ্যাপক আর জি গেটেল বলেন, “আইন ও নৈতিকতার মাঝে নিবিড় সম্পর্ক বিরাজমান।” প্রভাবগত: সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তিকে নীতি-নিষ্ঠ আখ্যা দেওয়া হয়। নীতি-নিষ্ঠতা মানুষের কাছ থেকে স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কিন্তু স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সীমাহীন চাহিদা, হিংসাত্নক মনোভাবের কবলে পড়ে অনেক সময় মানুষ নীতিবোধ বিসর্জন দেয়। আইনের হস্তক্ষেপে মানুষ অনেক সময় নীতিবোধ বিসর্জিত হওয়াটা বুঝতে শিখে।
স্বাধীনতা ধারণা : ’স্বাধীনতা’ নামক প্রত্যয়টি পৌরনীতি ও সুশাসন এর আলোচনায় খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। রাষ্ট্রে একজন নাগরিকের অস্তিত্ব বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত স্বাধীনতা থেকেই প্রকাশ পায়। স্বাধীনতা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Liberty’ স্বাধীনতাকে শাব্দিক অর্থে বলা যায় নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করা।
কিন্তু একজনের স্বাধীনতার সাথে অন্যের স্বাধীনতা ভোগের বিষয় যেহেতু জড়িত তাই পৌরনীতিতে স্বাধীনতা মানে যা খুশি তাই করা নয়। স্বাধীনতা মানে যৌক্তিক ও আইনসিদ্ধভাবে কোন কিছু করাকেই বুঝায়।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকগণ নানা ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। যেমন- চলাফেরার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম সংক্রান্ত স্বাধীনতা। জাতীয় স্বাধীনতা আবার একটু ভিন্ন। এটি অর্জন করা কঠিন। সাধারণত স্বাধীনতার আন্দোলন বা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে।
নাগরিক বা জাতি সে যা-ই হোক না কেন, এদের স্বাভাবিক অস্তিত্বের জন্য স্বাধীনতা অপরিহার্য। তাই দেখা যায় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সংবিধানেই নাগরিকদের স্বাধীনতা ভোগের বিষয়ে নানান ধরনের ধারা সংযুক্ত থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এইচ জে লাস্কি বলেছেন “স্বাধীনতা হল অধিকারের ফল”। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী টি এইচ গ্রিন বলেন, “যা উপভোগ করার এবং সম্পন্ন করার যোগ্য তা উপভোগ ও সম্পাদন করার ক্ষমতাকে স্বাধীনতা বলে”।
প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়। স্বাধীনতা হচ্ছে ব্যক্তির অধিকার। জীবনের সুকুমার বৃত্তিগুলোর বিকাশের জন্য এটি অপরিহার্য। আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে স্বাধীনতা ভোগের বিকল্প নেই। স্বাধীনতার বিপরীত হল পরাধীনতা বা স্বাধীনতাহীনতা। স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির জন্য অনেক জাতি যুগের পর যুগ সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আবার আত্নপরিচয়ের এবং ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য নাগরিকদের স্বাধীনতা প্রদান করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
সাম্যের ধারণা : সাম্য শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রীসের নগররাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্লেটোর লেখনীতেও সাম্যবাদের কথা পাওয়া যায়। প্লেটোর সাম্যের ধারণা অবশ্য আধুনিক ধারণা থেকে ভিন্ন। আধুনিকযুগে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলোপ করে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন কার্ল মার্কস।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে জন লক, রুশোর মতো চিন্তাবিদদের লেখালেখি এবং আমেরিকার স্বাধীনতা ও ফরাসি বিপ্লব এর মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। ফরাসি বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সাম্য। সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব এই তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠা করা ছিল ফরাসি বিপ্লবের মূল্য লক্ষ্য। বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে সাম্য বলতে মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের উপযোগী সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পাওয়াকে বুঝায়।
অর্থনীতি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : রমিজ বাজার থেকে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, ৭০টাকা ও ৬০ টাকা হলে যথাক্রমে ১৫ কেজি, ২০ কেজি ও ২৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করতে আগ্রহী। অন্যদিকে পেয়ারা বিক্রেতা উক্ত দামে বাজারে পেয়ারা সরবরাহ করতে চায় যথাক্রমে ২৫ কেজি, ২০ কেজি ও ১৫ কেজি। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ কর।
যুক্তিবিদ্যা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : যুক্তির উপাদান হিসেবে পদের ব্যার্থ ও জাত্যর্থের তুলনামূলক বিশ্লেষণপূর্বক একটি বাস্তব উদাহরণ দাও।
হিসাববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : নগদান বই ও ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্ত গরমিলের কারণ অনুসন্ধান করে ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুতকরণ:
২০২১ সালের ৩১ মে তারিখে সাগর অ্যান্ড কোং এর নগদান বই মােতাবেক ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত ৪৮,৬০০ টাকা। গরমিলের কারণসমূহ নিম্নরূপঃ
১। চেক ইস্যু করা হয়েছে কিন্তু ব্যাংক কর্তৃক ডেবিট হয়নি ৪,৫০০ টাকা।
২। আদায়ের জন্য ৮,৫০০ টাকার চেক ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে কিন্তু ব্যাংক
বিবরণীতে এখনাে লেখা হয়নি।
৩। অন্য একজন গ্রাহক কর্তৃক ইস্যুকৃত ১০,৫০০ টাকার একটি চেক ব্যাংক ভুলবশত অত্র হিসাবে ডেবিট করেছে।
৪। ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ আদায় করেছে ১০,০০০ টাকা ।
৫। ব্যাংক সার্ভিস চার্জ বাবদ ১,৫০০ টাকা ডেবিট করেছে।
৬। একজন পাওনাদারকে ১২,০০০ টাকার একটি চেক ইস্যু করে ভুলে নগদান বইতে
১,২০০ টাকা লেখা হয়েছে।
৭। আদায়ের জন্য ব্যাংকে প্রেরিত প্রাপ্য বিল বাবদ ব্যাংক ৫১,০০০ টাকা আদায় করেছে যা নগদানভুক্ত হয়নি; উক্ত বিলের লিখিত মূল্য ছিল ৫০,০০০ টাকা ।
ক) উল্লেখিত লেনদেন থেকে গরমিলের কারণ বর্ণনা করাে।
খ) উপযুক্ত তথ্যের আলােকে প্রচলিত পদ্ধতিতে একটি ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুত করাে।
গ) উপযুক্ত তথ্যের আলােকে সংশােধিত জের পদ্ধতিতে একটি ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুত করাে।
খাদ্য ও পুষ্টি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান
প্রশ্ন : নিজ পরিবার/ প্রতিবেশী/আত্মীয়দের যেকোনাে ৫জন ব্যক্তির তথ্য ছকে সন্নিবেশ করে সেটি পর্যালােচনার ভিত্তিতে ব্যক্তি বিশেষের ক্যালরির চাহিদার পার্থক্যের কারণ চিহ্নিতকরণ এবং তালিকায় প্রাপ্ত ক্যালরির চাহিদার সাথে অনুমােদিত চাহিদার সামঞ্জস্যতা নিরূপণ ।
>> ২য় সপ্তাহে এইচএসসির এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে ৬টি বিষয়ে : ইংরেজি ১ম পত্র, পদার্থবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন, অর্থনীতি, যুক্তিবিদ্যা ও হিসাববিজ্ঞান।
>> এইচএসসির ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ হয়েছে : ২১ জুন ২০২১
>>> ২য় সপ্তাহে এইচএসসির সব বিষয়ের এসাইনমেন্ট একসঙ্গে পাওয়া যাবে এই PDF ফাইলে, ডাউনলোড লিংক : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/349f66f5_460a_489e_9db1_ad7c47497009/Assignment-2ndWeek.pdf
*** ২য় সপ্তাহের অন্যান্য বিষয়ের এসাইনমেন্টের উত্তরও শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
ইতোমধ্যে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস (সংক্ষিপ্ত সিলেবাস) করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্তকরণ ও
ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য বিষয়ভিত্তিক মুল্যায়ন রুব্রিক্সসহ এসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম ১৪ জুন ২০২১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে।
>>> ১৩ জুন ১ম সপ্তাহে এইচএসসির ৬টি বিষয়ের এসাইনমেন্টে দেয়া হয়েছে : বাংলা, পদার্থবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন, অর্থনীতি, যুুক্তিবিদ্যা।
ASSIGNMENT COVER PAGE >> https://edudaily24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%95%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9c/
১) অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর সংকট হলাে সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়া।
মেয়ের বয়স পনেরাে শুনে লেখকের মামার মন ভার হলাে। কারণ তিনি মনে করলেন যে, ঐ মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। তখন আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতাে যে মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরাে। পনেরাে বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি,এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলাে।
কল্যাণী উচ্চশিক্ষিতা,রুচিশীল মেয়ে। শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তার শিক্ষাদীক্ষার কারণে বিবাহের সংকট দৃঢ়তার সাথে মােকাবেলা করেছেন।
২) অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী ছিল বেশ সুন্দরী ও প্রাণচঞ্জল। আর পিতা শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন স্পষ্টভাষী ও একজন সুপুরুষ ব্যক্তি, অন্যদিকে অনুপমের মামা বিয়ের পণ, যৌতুক সম্পর্কে কোন প্রকার ছাড় বা আপস করতে রাজি নন। এখানেই গল্পের কাহিনী জটিলতায় রূপ নেয়। রীতিমতাে বেশ আয়ােজনের মধ্যে দিয়ে যদিও বিয়ের কাজ শুরু হয়েছিল,কিন্তু এক পর্যায়ে দেনা পাওনা কারণে সব আনন্দ আয়ােজন এক মুহুর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অথ্যাৎ যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায়।এই গল্পে অনুপমের চরিত্রের সীমাহীন দুর্বলতা ও নিবুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। অনুপম ও তার মামা ভুমিকা যদি ইতিবাচক হতাে তাহলে কল্যাণীর সংসার সুখময় হতাে বলে আমি মনে করি। বিবাহ ভেঙে যাওয়ায় প্রধান কারণ হলাে অনুপমের দুর্বলতা ও তার মামা যৌতুক প্রবনতা।
৩) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলাে হলাে :
ক) শিক্ষার অভাব
খ) কুসংস্কার
গ) ধর্মীয় গোঁড়ামি
ঘ) পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা
নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় নিম্নে ব্যাখা করা হলাে : ”বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সত্য উচ্চারণ করলেও আজও আমাদের সমাজে তার যথাযথ স্বীকারােক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আজও মানুষের ধ্যান-ধারণার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে নারীদের প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়।
অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর কুসংস্কারে ডুবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর প্রথম বাধাটা আসে পরিবার থেকে। অভিধানে ‘উন্নয়নে নারী বা নারী উন্নয়ন’ একটি অতি আধুনিক সংযােজন। এই ধারণা বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দুটি বিষয়ই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রাখে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলােতেই যেখানে নারীদের পদযাত্রায় বারবার হোঁচট খেতে হয়, সেখানে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশের নারী হিসেবে বাঙালি নারীদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অথচ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। দশভুজা নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলােকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনাে পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। দেশে এখন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমানে সবক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর পদচারণা।
নারীর সমাধিকার ও নারীমুক্তির কথা যতই বলা হােক না কেন- উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল সব দেশেই নারীরা কম-বেশি সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সবক্ষেত্রে প্রায় একই। বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই নারী, কিন্তু নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুব অল্প সংখ্যক নারীর মধ্যেই। তাদের অনেকেই নিজের সিদ্ধান্তে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না এবং নিজের বস্তুগত ক্ষমতার পরিসরও স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে বাধাগ্রস্ত হন। নারীশিক্ষার বিষয়টি আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িত। নেপােলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব।’ এ বিষয়ে আরবিতেও। একটি প্রবাদ আছে, ‘একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা দেওয়া। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গােটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তােলা।’ তাই নারীশিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। তথাপি শিক্ষা ক্ষেত্রেও এ বৈষম্যের কোনাে শেষ নেই। যদিও শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে এখন নারীদের অংশগ্রহণ শতভাগ।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারাও তা স্বীকৃত। কিন্তু প্রায় ৫০ বছরেও তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্রের অভাব ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পিছিয়ে
দিচ্ছে নারীর উন্নয়ন যাত্রাকে। প্রচার মাধ্যমগুলােতে নারীর নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ হতে হবে। নারী কোনাে পণ্য নয়। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষের সমান স্বার্থ রক্ষাকারী আইন প্রবর্তন ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীশিক্ষা ও নারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। নারীকে তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর কাজকে ছােট করে দেখা চলবে না। নারীর কাজের মূল্যায়ন হতে হবে। সর্বোপরি, নারীর প্রতি ইতিবাচক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
ফ্রেডরিক অ্যাঙ্গেলস তার ‘অরিজিন অব দ্য ফ্যামিলি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘নারীমুক্তি তখনই সম্ভব যখন নারীরা সমাজের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সমগুরুত্ব নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।’ তাই নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও নারী-পুরুষ উভয়ের অন্তর্ভুক্তিতেই উন্নয়নের দেখা পাওয়া সম্ভব। এভাবেই নারীরা এগিয়ে যাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ হবে কণ্টকমুক্ত।
৪) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে সহায়ক ভুমিকা হলাে :
– সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালে চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি কোনাে দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে ।
– নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা দরকার ।
– কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
– মেয়ে ও ছেলেশিশুর মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। সবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে।
– নারীবান্ধব আইনগুলাের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।
– কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে ।
– নারীর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে আরও ক্ষমতায়ন প্রয়ােজন ।
এসাইনমেন্ট >> ‘নাগরিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে পৌরনীতি ও সুশাসনের ধারণা বিশ্লেষণপূর্বৰ্ক একটি নিবন্ধ রচনা করো। (এই এসাইনমেন্টের টপিক নেওয়া হয়েছে মূল বইয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে)
সুতরাং শব্দগত এবং মূলগত অর্থে পৌরনীতির ধারণা ছিল অনেকটা নীমিত ও সংকীর্ণ। বর্তমানে পৌরনীতিকে কেবল শব্দগত অর্থে আলােচনা করা হয় না। কেননা, বর্তমান আধুনিক রাষ্ট্রগুলাে থিনের নগররাষ্ট্র (City State) এর মতাে নয়, বরং এগুলো এখন জাতি রাষ্ট্র (Nation State) হিসেবেই পরিগণিত। প্রাচীন গ্রিনের নগররাষ্ট্রগুলাের অপেক্ষা বর্তমান আধুনিক জাতি রাষ্ট্রগুলাে আয়তনে বড় এবং জনসংখ্যাও বেশি এসব জাতি রাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবন এবং কার্যাবলি জটিল ও বমুখী। আধুনিক জাতি রাষ্ট্রে নাগরিকদের ভূমিকা ও কার্যাবলি, আচার আচরণ এবং তাদের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারাবাহিক পর্যালােচনার মাধ্যমে যে শাস্ত্র আদর্শ নাগরিক জীবনের জ্ঞান দান করে তাকেই পৌরনীতি বলে।
ই এম হেয়াইট (E.M. White) মনে করেন, “পৌরনীতি হল জ্ঞানের সেই শাখা যা এক জন নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়,জাতীয় ও মানবতার সাথে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করে । ” (Civics is that branch of human knowledge which deals with everything relating to a citizen- past, present and future; local, national and human.”)
ফ্রেডরিখ জেমন গোল্ড (Frederick James Could) বলেন, “পৌরনীতি হচ্ছে প্রতিষ্ঠান, আচরণ ও চেতনার অধ্যয়ন শাস্ত্র যার মাধ্যমে একজন পুরুষ বা নারী কোন একটি রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হিাবে কর্তব্য পালন করতে পারে এবং এর সুযােগ-সুবিধাগুলাে গ্রহন করতে পারে।” (Civics is the study of institutions, habits and spirit by means of which a man or women may fulfil the duties and receive the benefit of membership in a political community.”)
Webster’s International Dictionary তে বলা হয়েছে, “পৌরনীতি হল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সেই শাখা, যা নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য নিয়ে আলােচনা করে”। (Civics is that department of Political Science dealing with rights of citizenship and duties of citizen.”)
সুতরাং পৌরনীতি হল সে শাস্ত্র যা নাগরিক, নাগরিকের কার্যক্রম, অধিকার ও কর্তব্য, নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত দিক এবং নাগরিকের সংগঠনসমূহ, রাষ্ট্র ও বিশ্বমানবতা সংক্রান্ত সকল বিষয়ের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে ।
সুশাসনের ধারণা : সুশাসন প্রত্যয়টি পৌরনীতির সাম্প্রতিক সংযোজন। সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Good Governance’। সুশাসনকে স্পষ্টভাবে বুঝতে হলে শাসন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। Governance হল একটি বহুমাত্রিক ধারণা যা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র এবং প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ Government এর মতই Governance শব্দটি এসেছে ‘kuberngo’ নামক ল্যাটিন শব্দ থেকে, যার অর্থ পরিচালনা করা। সাধারণত Governance বা শাসন এমন একটি পদ্ধতিকে বোঝায়, যেখানে একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনাে সংস্থা, সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ধারণা হল সুশাসন৷ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন৷ ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন সর্বথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়৷ ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের
চারটি স্তম্ভ ঘােষণা করে৷ এ ৪টি স্তম্ভ হলো-
ক. দায়িত্বশীলতা,
খ. স্বচ্ছতা,
গ. আইনী কাঠামো ও
ঘ. অংশগ্রহণ।
ম্যাক করণী (Mac Corney) এ প্রসঙ্গে বলেন, “সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে জনগণের এবং শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বুঝায়”।
মারটিন মিনােগ (Martic Minogue) সুশাসন সম্পর্কে বলেন, “ব্যাপক অর্থে সুশাসন হচ্ছে কতগুলাে উদ্যোগের সমষ্টি এবং একটি সংস্কার কৌশল যা সরকারকে অধিকতর গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে তােলে।”
স্যান্ডেল মিল (Londell Mill) মনে করেন, সুশাসন একটি জাতির রাজনেতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে এবং জন প্রশাসন এবং আইনী কাঠামাের মধ্যে এটি। কিভাবে কাজ করে তা জানায়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, সুশাসন সরকার পরিচালনা অপেক্ষা একটি বিস্তৃত ধারণা যা একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ডে সামাজিক নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহারের প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত।”
পরিশেষে বলা যায় যে, সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, দায়িত্বশীলতা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে জনগণের কল্যাণ শাসনকার্য পরিচালনাই হচ্ছে সুশাসন৷ সুশাসন সেই শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণের তথা রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়৷
পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি : পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি ব্যাপক ৷ পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি সম্পর্কে নিয়ে আলােচনা করা হল –
১) নাগরিকতা বিষয়ক : পৌরনীতি ও সুশাসন মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। নাগরিকের উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা করা পৌরনীতি ও সুশাসনের প্রধান লক্ষ্য। পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সচেতনতা, সুনাগরিকতা, নাগরিকতা অর্জন ও বিলােপ, নাগরিকতার অর্থ ও প্রকৃতি, সুনাগরিকের গুণাবলি প্রভৃতি সম্পর্কে আলােচনা করে ৷
২) মৌলিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত : মানব সভ্যতার ইতিহাসে পরিবার হল আদি ও অকৃত্রিম প্রতিষ্ঠান৷ কালের বিবর্তন ধারায় পরিবারের সম্প্রসারণ হয়েছে এবং গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র ও অন্যান্য বহুবিধ সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। পৌরনীতি ও সুশাসন পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিকাশ, রাষ্ট্রের কার্যাবলি প্রভৃতি মৌলিক প্রতিষ্ঠান পৌরনীতি ও সুশাসনের অন্তর্ভুক্ত।
৩) রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলােচনাপৌরনীতি ও সুশাসনের সাথে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ শুৎপ্রােতভাবে জড়িত। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের ধারণা, রাষ্ট্রের উৎপত্তি, রাষ্ট্রের কার্যাবলি, রাষ্ট্র সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ, রাষ্ট্রের উপাদান, সংবিধান, সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ, সংবিধানের বৈশিষ্ট্য, সরকার, সরকারের শ্রেণিবিভাগ, সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ, জনমত, জনমতের বাহন, নির্বাচকমন্ডলী, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন প্রভৃতি পৌরনীতি ও সুশাসনের আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
8) সামাজিক ও রাজনৈতিক বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলােচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসন সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলােচনা করে৷ আইন, আইনের উৎস ও প্রকৃতি, আইন ও নৈতিকতা, স্বাধীনতা, স্বাধীনতার প্রকৃতি, স্বাধীনতার রক্ষাকবচ, সাম্য ও স্বাধীনতা, সাম্যের প্রকারভেদ প্রভৃতি সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে।
৫) রাজনৈতিক ঘটনাবলিপৌরনীতি ও সুশানন রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে আলােচনা করে। যেমন বাংলাদেশে পৌরনীতি ও সুশাসন পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহী বিদ্রোহ, ১৯৪০ সালের আগের প্রস্তাব, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান ইত্যাদি রাজনৈতিক পর্যায় সম্পর্কে আলােচনা করে।
৬) সুশাসন সম্পর্কে আলােচনা ও পৌরনীতি ও সুশাসন রাষ্ট্রের সুশাসনের বমাত্রিক ধারণা সম্পর্কে আলােচনা করে৷ সুশাননের উপাদান, সুশাননের সমস্যা, সুশাসনের সমস্যার সমাধান, সুশাসনের সমস্যা সমাধানে সরকার ও জনগণের ভুমিকা সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে।
৭) নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলােচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের বর্তমান স্বরূপ সম্পর্কে আলােচনা করে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবনের আদর্শ ও স্বরূপের ইঙ্গিত প্রদান করে।
৮) নাগরিকের স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিক নিয়ে আলোচনা ও পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের সামাজিক ও
রাজনৈতিক কার্যাবলির সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় সংস্থার (যেমন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি) গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করে। নাগরিকের জাতীয় বিষয় (যেমন, স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন জাতীয় নেতার অবদান, দেশ রক্ষায় নাগরিকের ভূমিকা, জাতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ) সম্পর্কে আলােচনা করে৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন এবং বিভিন্ন ঘটনাবলি সম্পর্কেও পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে।
৯) বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সমস্যার সমাধানও পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। যেমন ইভটিজিং, দুনীতি, ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স (ই-গভর্নেন্ম), দারিদ্র বিমােচনের মত বিষয়গুলির আলােচনা পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিকে সমৃদ্ধ করেছে।
১০) সুশাসন ও ই-গভর্নেন্স : পৌরনীতি ও সুশাসন বর্তমান সময়ে সুশানন ও ই-গভর্নেন্স নিয়ে আলােচনা করে সরকার কিভাবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ নির্বাচন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়ে পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে৷।
পরিশেষে বলা যায় যে, পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি ও বিষয়বস্তু ব্যাপক ও বিস্তৃত। নাগরিকের জীবন ও কার্যাবলি যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
>>> এইচএসসি ২০২২-এর ১ম এসাইনমেন্ট (৬টি বিষয়ে) প্রকাশিত হয়েছে। ১৪ পৃষ্ঠার এই এসাইনমেন্ট (pdf) পাওয়া যাবে এই লিংকে : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/6d140342_0ffc_4b92_a7c2_7ea7b70b0667/Grid-Asignment-6Subjects.pdf
>> এইচএসসির ১ম এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১
>> ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ : ১ম সপ্তাহের উত্তর
>> সপ্তম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ : ১ম সপ্তাহ
>> অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ – ১ম সপ্তাহ – বাংলা ও ইসলাম
>> সাপ্তাহিক এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন ছক ২০২১
BOESL দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ২০২৪ কবে ছাড়বে, আবেদন, নিবন্ধন যেভাবে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য ২০২৪ [নতুন image & video]
সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৪ PDF (সরকারি ক্যালেন্ডার ২০২৪)
২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল, অটোপাসের সিদ্ধান্ত
এসএসসি পদার্থ বিজ্ঞানের সকল সূত্র – অধ্যায় ভিত্তিক SSC Physics formula
নগদ কি বন্ধ হয়ে যাবে? কি বলছে কর্তৃপক্ষ
*#62# কিসের কোড, call forwarding এ অপরিচিত নাম্বার? কি করবেন
VPN কি, ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা ও সুবিধা
ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসারের কাজ কি, বেতন কত, যোগ্যতা?
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কি চালু থাকবে?
BOESL দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ২০২৪ আবেদন, নিবন্ধন খরচ, বেতন, নোটিশ PDF
ভূমি সংক্রান্ত অনলাইন শুনানি
ভূমি অভিযোগ কেন্দ্র : অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত ফোন নাম্বার
স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের নিয়ম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য ২০২৪ [নতুন image & video]
এসএসসি পদার্থ বিজ্ঞানের সকল সূত্র – অধ্যায় ভিত্তিক SSC Physics formula
BOESL দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ২০২৪ কবে ছাড়বে, আবেদন, নিবন্ধন যেভাবে
[সুখবর] ঈদের ছুটি ২০২৩ : ৫ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা
সরকারি ক্যালেন্ডার ২০২৩ [ছুটির তালিকা সহ govt calendar 2023 Bangladesh]
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৪ PDF
বর্তমানে যাকাতের নিসাব কত টাকা ২০২৪ [স্বর্ণ ও টাকার যাকাত কত, হিসাবের নিয়ম]
আপনার মতামত লিখুন :