কাপড়ের মাস্ক পরার পরমর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনা রোধে কাপড়ের মাস্ক পরার পরমর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কাপড়ের মাস্ককে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সহজ সমাধান হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘মাস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অত্যাবশ্যক। সাধারণ কাপড়ের মাস্ক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সহজ একটা সমাধান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বলার মাধ্যমে এ রোগের সংক্রামক ঘটাতে পারে। কিন্তু একটা সাধারণ কাপেড়র মাস্ক ব্যবহার করে কাশি, হাঁচি বা জীবাণু ছড়ানো থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারি। তবে যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা আছে; বা অজ্ঞান বা অক্ষম বা মাস্ক খোলার জন্য অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তারা এ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু ডাক্তার আর নার্সদের জন্য। যারা রোগীর সংস্পর্শে আসেন তাদের জন্য। সাধারণ মানুষ সবাই কাপড়ের মাস্ক পরিধান করবেন। এর সুবিধা হলো পরিধানে আরামবোধ হয়, নাকমুখ ঢাকা থাকে। তবে কাপড়ের একাধিক স্তর থাকতে হবে। এবং বাঁধাহীন ভাবে ব্যবহার করা যায়। কাপড়ের মাস্কের সুবিধা হলো এটি ধুয়ে পরিষ্কার করে আবার ব্যবহার করা যায়। মাস্কের পাশাপাশি সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’

২ জুন ২০২০ (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে তিনি এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, আজকের (২ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনকরে ৩৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭০৯ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো ২,৯১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৫২,৪৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় গত ৮ মার্চ এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ।