বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পাস নম্বর কত, মান বণ্টন

সম্প্রতি ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে । এখন লিখিত পরীক্ষার পালা। বিসিএস পরীক্ষায় তিন ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যায়। জেনারেল ক্যাডার, টেকনিক্যাল ক্যাডার, বোথ ক্যাডার। আবেদন করার সময় আপনি যদি জেনারেল ক্যাডারে আবেদন করে থাকেন, তাহলে আপনাকে মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। জেনারেল ক্যাডারে যে ছয়টি বিষয়ের ওপর ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে তা নিম্নরূপ।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও মান বণ্টন

  • ১। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
  • ২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
  • ৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
  • ৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
  • ৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
  • ৬। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি = ১০০ নম্বর

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পাস নম্বর কত

প্রতিটি ২০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৪ ঘণ্টা এবং প্রতিটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। প্রতিটি বিষয়ে পাশ নম্বর ৫০%। মজার বিষয় হলো, প্রতিটি বিষয়ে ৫০% মার্ক না পেলেও আপনি লিখিত পরীক্ষায় পাস করবেন। কীভাবে? ৯০০ নম্বরের মধ্যে সব বিষয় মিলিয়ে ৪৫০ নম্বর পেলেই আপনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।

তবে প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩০% অর্থাৎ আপনাকে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ নম্বর এবং ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। এখন কথা হলো, কেউ যদি কোনো বিষয়ে ৩০% এর কম পান তাহলে তিনি কি ফেল করবেন? না, তিনি ফেল করবেন না। যে বিষয়ে তিনি ৩০% এর কম নম্বর পাবেন সেই বিষয়ের কোন নম্বর ওনার মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে না। মনে করুন, কোনো পরীক্ষার্থী সাধারণ বিজ্ঞান পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ২৯ নম্বর পেলেন, তাহলে ওনার এই নম্বর বাকি পাঁচটা বিষয়ের মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে না। ফলে সাধারণ বিজ্ঞানের এই ২৯ নম্বর বাদেই যদি পরীক্ষার্থী বাকি পাঁচটা বিষয়ে ন্যূনতম ৪৫০ নম্বর পান, তাহলে তিনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।

আপনি যদি টেকনিক্যাল ক্যাডারে আবেদন করে থাকেন, তাহলেও আপনাকে মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। টেকনিক্যাল ক্যাডারে যে ছয়টি বিষয়ের ওপর ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে তা নিম্নরূপ।

১। বাংলা প্রথম পত্র= ১০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। স্নাতকে পঠিত বিষয়= ২০০ নম্বর

টেকনিক্যাল ক্যাডারেও ৯০০ নম্বরের মধ্যে সব বিষয় মিলিয়ে ৪৫০ নম্বর পেলেই আপনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন। তাছাড়া জেনারেল ক্যাডারের জন্য যেসব নিয়ম প্রযোজ্য, টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

আপনি যদি উভয় (জেনারেল ও টেকনিক্যাল) ক্যাডারের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে আপনাকে মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বোথ ক্যাডারে যে সাতটি বিষয়ের ওপর ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে তা নিম্নরূপ।

১। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০) = ২০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০) = ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০) = ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি = ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০) = ১০০ নম্বর
৬। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি = ১০০ নম্বর
৭। স্নাতকে পঠিত বিষয় = ২০০ নম্বর

এখন কথা হলো, যারা শুধু জেনারেল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য পরীক্ষা দেবেন, তাঁরা ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা দেবেন এবং ৪৫০ নম্বর পেলেই ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন। কিন্তু বোথ ক্যাডারদের তো ১১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে সে ক্ষেত্রে তাদের পাস নম্বর কত হবে?

বোথ ক্যাডারের ক্ষেত্রে প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ৯০০ নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। এই ৯০০ নম্বরের মধ্যে প্রার্থী যদি ৪৫০ নম্বর পান, তাহলে তিনি জেনারেল ক্যাডারে ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।

১। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি= ১০০ নম্বর

এরপর উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মোট ২০০ (১০০+১০০) নম্বর বাদ দিয়ে এগুলোর পরিবর্তে স্নাতক পর্যায়ে পঠিত বিষয়ের ২০০ নম্বর যোগ করুন। এবার নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ৯০০ নম্বরের মধ্যে প্রার্থী যদি ৪৫০ পান, তাহলে তিনি টেকনিক্যাল ক্যাডারের ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।

১। বাংলা প্রথম পত্র= ১০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। স্নাতকে পঠিত বিষয়= ২০০ নম্বর

এভাবে যদি তিনি একই সঙ্গে জেনারেল ক্যাডার এবং টেকনিক্যাল ক্যাডারে ভাইভার জন্য নির্বাচিত হোন, তাহলে তিনি বোথ ক্যাডারে ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।

বোথ ক্যাডারে আবেদন করে ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে টেকনিক্যাল পরীক্ষায় (স্নাতকে পঠিত বিষয়) ফেল করলেও আপনার মোট নম্বর যদি ৫৫০ নম্বর হয়, তাহলে আপনি বোথ ক্যাডারেই পাস করবেন। আর ৪৫০ নম্বর হলে শুধু জেনারেল ক্যাডারে পাস করবেন। এভাবে বোথ ক্যাডারে আবেদন করে শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারেও পাস আসা সম্ভব। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, সব পরীক্ষায় আপনাকে উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই হবে।

সূত্র : প্রথম আলো । ২৯ জুলাই ২০১৯

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.