ভর্তি পরীক্ষা : ক্যালকুলেটর ছাড়া ফিজিক্সের ম্যাথ (২য় পর্ব)

Rate this post

কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা: কাজের পরিমাণ নির্নয়,বিভব শক্তি ক্ষমতা নির্নয় যে ম্যাথগুলা দুই চার লাইনে করা যায় সেগুলা করতে পারো। দক্ষতা নির্নয় এ দশমিকে মান দেয়া থাকে বলে না করলেও চলে। বিভব শক্তি থেকে গতিশক্তির রূপান্তর, কাজ শক্তি উপপাদ্য, ধনাত্মক -ঋণাত্মক কাজ, ঘর্ষন বল ব্যাপারগুলাতে নিজের ধারনা পরিস্কার করে নাও।
মহাকর্ষ: “G” এর মান দেয়া থাকলে ক্যালকুলেটর ছাড়া অসম্ভব।ম্যাথ কম করলেও হবে এখান থেকে। মুক্তিবেগ, কেপলারের সুত্র,অভিকর্ষ কেন্দ্র, সুর্য পৃথিবীর ভর-ঘনত্ত, ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরন, ভু অভ্যান্তরে কিংবা উপরের দিকে গেলে “g” এর মানের পরিবর্তন ব্যাপারগুলা গুরুত্ব দিয়ে পড়ো।
সরল ছন্দিত স্পন্দন: কৌনিক বেগ, কৌনিক ত্বরন, কম্পাঙ্ক নির্নয় পর্যায়কাল নির্নয়ের ম্যাথগুলা দেখা যায়। দোলনকাল নির্নয় এর ক্ষেত্রে বর্গমুল বের করতে হয় যা ক্যালকুলেটর ছাড়া করা যায়না, তাই না করলেও চলে। সরল স্পন্দিত ছন্দনের বিভিন্ন রাশিগুলার প্রকাশ একক,সরল দোলকের সুত্রাবলী, “L-t^2” লেখচিত্র সম্পর্কে ধারনা বাড়াও।
স্থিতিস্থাপকতা: পীরন বিকৃতি কিংবা পয়সনের অনুপাতের পিচ্চি ম্যাথগুলা দেখা যায়। ইয়ং এর গুণাঙ্ক নির্নয় একটু টাফ হয়ে যায় ক্যালকুলেটর ছাড়া।স্থিতিস্থাপকতার সবগুলা রাশির মান একক মাত্রা,বিভিন্ন রকমের পীড়ন, বিকৃতি, গুণাঙ্ক সমূহ, এবং গ্রাফগুলা ভাল করে দেখে রাখো।
বই এর যত্তগুলা গ্রাফ আছে, সবগুলার মানে বুঝার চেষ্টা করো। বিভিন্ন সুত্রের গানিতিক প্রকাশ, যেগুলা ধ্রুবক আছে সবগুলা মান মুখস্ত করার চেষ্টা করো।
(চলবে…)
– নাজিরুল ইসলাম নাদিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এডু ডেইলি ২৪

Education, News and Information-based portal

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *