বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বের গভীরতা উদযাপন করতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীন-বাংলাদেশ সংগীত প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসর। দুই দেশের সংস্কৃতিকে কাছাকাছি আনার ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল 'সুরের বাঁধনে পঞ্চাশ বছর'। শুক্রবার বিকেলে ঢাকার বিসিএস প্রশাসন একাডেমি'র অডিটোরিয়ামে সারাদিন জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এবারের আসর।
দিনের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হয় শিরোপার সংগীত লড়াই। চীনা ও অ-চীনা (বাংলাদেশি) এই দু'টি গ্রুপে দু'জন স্বর্ণপদক, দু'জন রৌপ্যপদক এবং ছয় জন ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। । বাকি প্রতিযোগীরা বিশেষ পুরস্কার পান। অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক পান বাংলাদেশি তরুণ আবু সাইদ ও চীনা তরুণী সুন লিপিং। রৌপ্য পদক জেতেন বাংলাদেশি তরুণী তাসমিয়া রহমান ও চীনা তরুণী লিউ লুসি।
অনুষ্ঠানে ছিলেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি'র উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ-ই-আলম, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সহসভাপতি ওয়াং বেনছিয়ান, বাংলাদেশ ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ান চিয়াহেং এবং বাংলাদেশে তিনটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা এবং বাংলাদেশি পরিচালকরা।
আয়োজকরা জানান, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল চীন ও বাংলাদেশের চীনা গানপ্রেমীদের প্রতিভার বিকাশ এবং পারস্পরিক যোগাযোগের একটি মঞ্চ উপহার দেওয়া, যাতে গানে-গানে বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি এ বছর বাংলাদেশ ও চীনের কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী এবং দু'দেশের জনগণের বর্ষ। সবাই একসঙ্গে মৈত্রীর গান গাইতে এবং দুই দেশের তরুণদের সংস্কৃতি ও সংগীতের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য এই আয়োজন।
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃচীনা-বিদেশি ভাষা বিনিময় ও সহযোগিতা কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে, শান্ত-মারিয়াম-হোংহো কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির যৌথ আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশে চায়না এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদশে চীনা প্রবাসী সমিতির সহযোগিতায় এটি আয়োজিত হয়েছে। বিকেলের ফাইনাল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ও চীনাদের কণ্ঠে চীনা গানের পরিবেশনাও মুগ্ধ করে উপস্থিত দর্শকদের।
সূত্র: সিএমজি