বহুপাক্ষিকতা পুনরুজ্জীবিত করা এবং বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা সংস্কার ও উন্নত করতে ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস অব নিউট্রালিটি’র সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতা চাও ল্যচি। বুধবার তিনি এ আহ্বান জানান।
তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় সংসদের স্পিকার দুনিয়াগোজেল গুলমানোভার আমন্ত্রণে আয়োজিত সদস্যদেশগুলোর সংসদীয় নেতাদের দ্বিতীয় বৈঠকে ভিডিওবার্তায় বক্তব্য রাখেন চাও।
তিনি বলেন, পাঁচ বছরেরও আগে গঠনের পর থেকে ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস অব নিউট্রালিটি’ পারস্পরিক বোঝাপড়া, বিশ্বাস এবং সহযোগিতা বাড়ানোর একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এ বছর একযোগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় ও জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আর জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিকতার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভ বা জিজিআিই ঘোষণা করেন—যা সার্বভৌম সমতা, আন্তর্জাতিক আইন, বহুপাক্ষিকতা, জনগণকেন্দ্রিক শাসন এবং বাস্তব পদক্ষেপের ওপর জোর দেয়।
গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট, সিকিউরিটি ও সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভের পর জিজিআই হলো চীনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা আরও ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এসেছে।
চাও বলেন, ন্যায়নিষ্ঠ ও সমান বৈশ্বিক শাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রয়েছে পার্লামেন্টগুলোর।
তিনি সব দেশকে চারটি বৈশ্বিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন, বহুপাক্ষিকতা জোরদার, এবং জাতিসংঘনির্ভর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থনের আহ্বান জানান।
চীন ও তুর্কমেনিস্তানকে ‘ভালো বন্ধু ও অংশীদার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে চাও ল্যচি বলেন, চীন তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং যৌথ অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চায়।
২০২০ সালের আগস্টে তুর্কমেনিস্তানের উদ্যোগে গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস অব নিউট্রালিটি গঠিত হয়। এর ১৮টি প্রতিষ্ঠাতা দেশের একটি চীন।
সূত্র: সিএমজি