এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির খবর, আবেদনের সুযোগ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির খবর, আবেদনের সুযোগ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির খবর : অবশেষে বদলির সুযোগ পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শূন্যপদে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে বদলির ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এসংক্রান্ত পরিপত্র জারি হতে পারে। শুধু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা তাঁদের চাকরিজীবনে একবারই এই বদলি হতে পারবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলিসংক্রান্ত ফাইলের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রণালয়। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে এ সপ্তাহের মধ্যেই পরিপত্র জারি হতে পারে।

 

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া যেভাবে

পরিপত্র জারি হলেও সারা বছরই শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন না। এসংক্রান্ত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হবে। এরপর একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলিযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।

এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন।

তবে পরবর্তী সময়ে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের বদলি আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা সমস্যায় পড়েছেন।

২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্যপদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদরাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়েছিল।

 

বদলির সাধারণ শর্ত

  • শুধু সম পদে কর্মরত দুজন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পারিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে;
  • চাকরির আবেদনে উল্লিখিত নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে।
  • অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না।
  • চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে।

বদলির আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

  • বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
  • মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে।
  • প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে অনলাইনে পারস্পারিক বদলির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে।
  • অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই–বাছাইপূর্বক নিষ্পত্তি করতে হবে।
  • বদলিকৃত শিক্ষকদের ইনডেক্স পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হবে।
  • বদলিকৃত শিক্ষকদের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জেষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।