সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ২০২২
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আগামী সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার থেকে এই ছুটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ আগে শুধু শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল, এখন থেকে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও ছুটি থাকবে। ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ২ দিন কার্যকর করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আলাদা নির্দেশনা জারি করে স্কুল-কলেজগুলোকে নির্দেশনা দেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
এছাড়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২৪ আগস্ট থেকে সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি!
এর আগে, ১২ আগস্ট ডা. দীপু মনি জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি থাকছে। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এখন থেকেই এই ছুটি কার্যকর করা হবে কিনা, এ ব্যাপারটি নিয়ে আমরা ভাবছি।
শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, যে দেশ যত বেশি উন্নত হয়েছে, তাদের কারিগরি শিক্ষার হার তত বেশি। কারণ, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত কোনো লোক বেকার থাকে না। কিন্তু আমাদের পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে কারিগরি শিক্ষাদানের জন্য দক্ষ শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে। ল্যাব তৈরির জন্য টাকা দিয়েছে সরকার। তবে দক্ষ প্রশিক্ষক না থাকায় ১৩টি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দের টাকা ফেরত দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টিএসসি স্থাপনের বিষয়ে ভাবছি। কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে হবে। কারিগরি শিক্ষার যখন জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে, তখন এই সেক্টরের শিক্ষকদেরও মান-মর্যাদা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান বন্ধ ছিল। তাই শিখন ঘাটতি নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে আমাদের গবেষণা বলছে, করোনার কারণে আমাদের কোনো শিখন ঘাটতি হয়নি। বরং শাপে বর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্ব-শিখনের দক্ষতা তৈরি হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। অনিবার্য কারণ না থাকলে এসএসসি পরীক্ষা এই নির্ধারিত সূচিতেই হবে।