এক নজরে পল্লীকবি
জসীম উদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন- ১ জানুয়ারি, ১৯০৩ সালে; মাতুলালয়, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর।
তাঁর পৈতৃক নিবাস- গোবিন্দপুর গ্রাম, ফরিদপুর।
জসীম উদ্দীনকে কী বলা হয়- পল্লীকবি।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পল্লীগীতি সংগ্রহক পদে নিযুক্তি লাভ করেন কার অনুকূল্যে- ড. দীনেশচন্দ সেনের।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার নিযুক্তি হন কোন বিভাগে ও কত সালে- বাংলা বিভাগে, ১৯৩৮সালে।
তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তপানের কোন বিভাগে কর্মরত ছিলেন- প্রচার বিভাগের Additional Song Publicity Organiser পদে।
জসীম উদী্নকে কোথায় সমাহিত করা হয়-১৪ মার্চ, (১৯৭৬), ফরিদপুরের আম্বিকাপুর।
জসীম উদী্নদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে- রাখালী (১৯২৭)
তাঁর ছাত্রাবস্থায় যে কবিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য তালিকাভূক্ত হয়-‘কবর’ কবিতা।
কবর কবিতাটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- কল্লোল পত্রিকায়।
কবর তাঁর কোন কাব্যভুক্ত কবিতা- প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)
‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যের বিষয় কী- পাশাপাশি অবস্থিত গ্রামের দুটি কিশোর-কিশোরীর জীবনের প্রেমের উন্মেষ, বিকাশ ও তার বিষাদময় বিয়োগান্তক পরিণতি।
‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যের তিনটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রের নাম করুন- রুপাই, সাজু, ও দুখাই ঘটক।
‘নকশী কাঁথা’টি কে বুনিয়েছিল-সাজু।
‘নকশী কাঁথা’টি কোথায় রাখা হয়েছিল- সাজুর কবরের উপর।
‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যের মূল বিষয় হচ্ছে-দুটি ভিন্নসম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরীর জীবন প্রেমের উন্মেষ, বিকাশ ও তার বিষাদময় বিয়োগান্তক পরিণতি।
‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’ কাব্যের নায়ক-নায়িকার নাম- সোজন ও দুলী।
জসীম উদ্দীনের রচিত কবিতাগুলো কী কুশলতার সঙ্গে অঙ্কিত হয়েছে- গ্রামীণ জীবনের নিখুঁত চিত্র।
জসীম উদ্দীনের কবিতাগুলোতে গ্রামীণ জীবনের নিখুঁত চিত্র যে কুশলতার সাথে অঙ্কিত হয়েছে তাতে কিসের ছাপ সুস্পষ্টত আধুনিক শিল্প-চেতনার ছাপ।
জসীম উদ্দীনের বিখ্যা- গাথাকাব্যগুলো হচ্ছেতনকসী কাঁথার মাঠ (১৯২৯), সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪), মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩) ইত্যাদি।
তাঁর রচিত জনপ্রিয় খন্ড কবিতার সংকলনগুলো – রাখালী (১৯২৭), বালুচর (১৯৩০), ধানক্ষেত (১৯৩৩), রূপবতী (১৯৪৬), মাটির কান্না (১৯৫৮) ও সুচয়নী (১৯৬১)।
জসীম উদ্দীনের রচিত সুখপাঠ্য গদ্যগ্রন্থগুলো – যাঁদের দেখেছি (স্মৃতিকথা ১৯৫২), ঠাকুর বাড়ির আঙিনায় (স্মৃতিকথা-১৩৬৮), জীবন কথা (আত্নজীবনী ১৯৬৪) ইত্যাদি।
জসীম উদ্দীনের রচিত ভ্রমণকাহিনীগুলো-চলে মুসাফির (১৯৫২), হলদে পরীর দেশ (১৯৬৭), যে দেশে মানুষ বড় (১৯৬৮), প্রভৃতি।
তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থগুলোত হাসু (১৯৩৮), এক পয়সার বাঁশী (১৩৫৬), ডালিমকুমার (১৯৫১)।
তাঁর রচিত নাটকগুলো-পদ্মাপাড় (১৯৫০), বেদের মেয়ে (১৯৫১), মধুমালা (১৯৫১), পল্লীবধূ (১৯৫৬), গ্রামের মায়া ইত্যাদি।
তাঁর রচিত একমাত্র উপন্যাসের নাম- বোবা কাহিনী (১৯৬৪)।
তাঁর রচিত গানের সংকলনের নাম – রঙ্গিলা নায়ের মাঝি (১৯৩৫), গাঙ্গের পাড় (১৯৬৪), জারিগান (১৯৬৮) ইত্যাদি।
নকসী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) কাব্যটি কী নামে ইংরেজিতে অনুদিত ও প্রকাশিত হয়- ফিল্ড অব দি এমব্রডারি কুইণ্ট।
নকশী কাঁথার মাঠ কে অনুবাদ করেন- ই.এম মিলফোর্ড।
তিনি কোন আন্দোলনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেনত বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনের।
তিনি কী কী সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেনত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি ও সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি স্বরুপ একুশে পদক (১৯৭৬)।
কোন শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় জসীমউদ্দীন ‘কবর’ কবিতা রচনা করেন- বি.এ।
‘বেদের মেয়ে’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে? কোন জাতীয় গ্রন্থ- জসীম উদ্দিন ‘নাটক’।
‘ডালিম কুমার’ জসীম উদ্দীনের কোন জাতীয় গ্রন্থ- শিশু গ্রন্থ।
জসীম উদ্দীনের কযেকটি কাব্যগ্রন্থের নাম- বালুচর, মাটির কান্না, এক পয়সার বাঁশী, হাসু, ধান ক্ষেত ইত্যাদি।
‘চলে মুসাফির’ এবং ‘যে দেশে মানুষ বড়’ গ্রন্থটি রচয়িতা কেত কোন জাতীয গ্রন্থ- জসীম উদ্দীন, ভ্রমণ কাহিনী।
‘বোবা কাহিনী’ এর রচয়িতা কে? কোন শ্রেণী গ্রন্থ- জসীম উদ্দীন, উপন্যাস।
জসীম উদ্দীনের ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ কেন জাতীয় গ্রন্থ- কাব্যগ্রন্থ।
তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৩ মার্চ, ১৯৭৬ সালে।