২০২২ সালে স্কুলে ভর্তি লটারিতে : বিজ্ঞপ্তি নভেম্বরে

নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে স্কুলে ভর্তি লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। আগের বারের মতো এবারও সারাদেশের বেসরকারি ও সরকারি স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। টেলিটকের (http://gsa.teletalk.com.bd) মাধ্যমে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা ও বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই (নভেম্বর মাসে) প্রকাশ করা হবে।

৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নীতিমালা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নতুন বছরের স্কুলে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালায় ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এবারের স্কুল ভর্তি নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা না হলেও দু'একটি নতুন সিদ্ধান্ত রয়েছে। যেমন আগে সরকারি চাকরিজীবী কেউ বদলি হলে তার নতুন কর্মস্থলের কাছাকাছি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে সন্তানের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হতো। এবারের নীতিমালায় সে সুবিধার সঙ্গে সরকারি চাকরিজীবী কেউ মারা গেলে বা অবসরে গেলে, সেই শিক্ষার্থীর পরিবার অন্যত্র স্থানান্তর হলে সেখানেও সন্তানের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। এ সুবিধা একবারের জন্য দেওয়া হবে।

আরো জানা গেছে, জেলা পর্যায়ের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য একাধিক জেলায় আবেদন করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে ভর্তির আগে বা পরে পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজ ও নির্বাচিত জেলার স্কুলে আলোচনা করে তারা ভর্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবে। এবারও আগের মতোই বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফি ২০০ টাকা ও সরকারিতে ১৭০ টাকা রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানো হচ্ছে না। ভর্তি নীতিমালার অন্যান্য বিষয় আগের মতোই থাকছে।

স্কুলের ভর্তি ফরম কবে থেকে

৭ নভেম্বরের বৈঠকের রেজুলেশন চূড়ান্ত করার পর মাউশি থেকে ভর্তির আবেদন ফরম বিক্রি এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ করতে সময় নির্ধারণ করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো। রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম বিতরণ হবে ডিসেম্বরের শুরুতে। আবেদন কার্যক্রম চলবে অনলাইনে। আবেদন ফরম বিতরণের পর অন্তত সাত কার্যদিবস সময় দিতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ ও লটারির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করবে।

মাউশি পরিচালক (বিদ্যালয়) গণমাধ্যমকে জানান, করোনার কারণে ভর্তি নীতিমালায় লটারিসহ কয়েকটি বিষয় গত বছরের মতো রাখা হয়েছে। শিগগিরই নীতিমালা জারি করা হবে। এরপরই শুরু হবে ভর্তি ফরম বিক্রি ও জমা।

ভর্তি ফি কত

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫,০০০ টাকার অতিরিক্ত ফি আদায় করতে পারবে না। একই এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮,০০০ টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা নিতে পারবে।

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.