খবর

সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করায় কাপাসিয়ায় খলিলকে সংবর্ধনা

এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করায় কাপাসিয়ায় খলিলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ‘গন্তব্য যেখানেই হোক, সাইকেল-ই-সেরা সঙ্গী’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ভ্রমণ করতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরের তাজউদ্দিন আহমদ চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন মো. খলিল হোসেন (২৬)।

খলিল গত ১২ জানুয়ারি ভ্রমণ শুরু করে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ আটত্রিশ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে উপজেলার সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।

‘শিক্ষা,ক্রীড়া এবং সেবা দিয়ে গড়ে তুলবো আমাদের সমাজ’ এই শ্লোগানে এগিয়ে চলা কাপাসিয়ার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন” তার এ ভ্রমণে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।

এর আগে দুপুরের দিকে খিরাটি এ কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ২০ জন সাইক্লিস্ট খলিলের সফরসঙ্গী হিসেবে যোগদান করে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে যাত্রা শেষ করেন। এসময় গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাইকেল রাইডাররা খলিলের সঙ্গে ছিলেন।

ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টাইগার ফ্যান খ্যাত শোয়েব আলী, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন শিশির এবং ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

‘শিক্ষা,ক্রীড়া এবং সেবা দিয়ে গড়ে তুলবো আমাদের সমাজ’ এই শ্লোগানে এগিয়ে চলা কাপাসিয়ার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন” তার এ ভ্রমণে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য: সাইকেল দিয়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা খলিলের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে। মোঃ আবুল হোসেন- মাজেদা বেগম দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে খলিল তৃতীয়। খলিল অনার্স শেষ করেছেন।

৬৪ জেলা ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. খলিল হোসেন বলেন, চিন্তাটা প্রথমে মাথায় আসে সোস্যাল মিডিয়ায় যখন দেখি অনেক মানুষ দেশ- বিদেশে ভ্রমণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আমিও না হয় সাইকেল চালিয়ে পুরো দেশ ঘুরলাম। সেই চিন্তা থেকেই বেরিয়ে পড়া। সাইক্লিং আমার ভীষণ পছন্দের। দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখা এবং উপভোগ করা যায়।

পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের দেশটাকে ঘুরে দেখা ইচ্ছা এবং তরুণ প্রজন্মকে জানাতে চাই, নিজের দেশের নাগরিক হয়ে একবার হলেও দেশটিকে ঘুরে দেখা দরকার। হোক সাইকেল চালিয়ে বা গাড়িতে করে না হয় পায়ে হেঁটে।

এ বিষয়ে ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী জানান, আমাদের ফাউন্ডেশনের শ্লোগাণের সাথে মিল রেখে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এছাড়াও ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তাদের দুরে রাখতে চাই। এছাড়াও সকলের সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *