এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: বহুকাল আগে মানুষ মাটির কূপের পানি পান করতো। যা এখন রীতিমতো বিলীন। বর্তমান সময়ে মানুষের বাড়িতে সচল মাটির কূপ পাওয়া দুষ্কর।
কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসেও পুরো পরিবারের সবাইকে দৈনন্দিন সকল কাজে ব্যবহার করতে হয় মাটির কূপের পানি।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়দ ইউনিয়নের বেলাশী গ্রামের ভিটেমাটিহীন তাজউদ্দীনকে এভাবেই টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আধুনিক যুগে এসেও তার বাড়িতে নেই বিদ্যুতের সংযোগ।
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরেই নিজের খননকৃত কূপের পানি সকল কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে তাকে। নিজের জায়গা জমি না থাকায় থাকতে হয় অন্যের জায়গায়। অন্যের জায়গায় কোন রকমে ছোট্ট দুটি মাটির ঘরেই বসবাস তাদের। অন্যের জায়গায় স্থায়ীভাবে টিউবয়েল স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার অনুমতি মেলেনি। তাই আধুনিক যুগে যেন অন্ধকারেই জীবনযাপন অতিবাহিত করছেন তাজুদিনের পরিবার।
তাজউদ্দিনের পরিবারের লোকজন ছাড়াও আশপাশের মানুষেরা আসেন তার বাড়ির কূপের পানি পান করতে। অনেক সময় রাস্তা দিয়ে চলাচলকৃত মানুষরাও শখের বসে আসেন একগ্লাস কূপের পানি পান করতে। এমনকি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসলেও তারা এক প্রকার আনন্দ নিয়েই পান করেন এই পানি।
সাংবাদিকদের তাজউদ্দিন আরো জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত এই কূপের পানি পান করতেছি। আমাদের পরিবারের কোনো সদস্যের এ পানি থেকে কোন রোগের সৃষ্টি হয়নি। এমন কি রান্নাবান্নায় কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি।
তাজুদ্দিনের প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন জানান, আমরা প্রায় সময়ই এই কূপের পানি পান করি। এই মাটির কুপের পানি ডালিমের রসের মতো মিষ্টি।