কাপাসিয়ায় চাঁদার টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে জাহিদুলকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
এ ঘটনায় জড়িত মো: গাফফার (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতা

এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় চাঁদার টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে মো: জাহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত মো: গাফফার (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল ‘হানির দোকান মোড়’ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় জাহানারা বেগম নামে এক নারীর বাড়ি নির্মাণের সুবাদে নিহত জাহিদুল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। আদায়কৃত টাকা জাহিদুলের বন্ধুদের না দিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। এই চাঁদার টাকা নিয়ে নিজেদের মাঝে বিরোধ চলছিল।
জাহিদুল ইসলামকে ফোন করে কৌশলে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে চাঁদার টাকার ভাগ বাটোয়ারা চায়। এক পর্যায়ে আড়াল-সনমানিয়া সড়কের পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপায়। বাঁচার জন্য দৌড়ে সড়কে উঠলে ওখানেও তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়।
খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দ্রুত মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পর কাপাসিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সনমানিয়া এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে গাফফার নামে এক যুবককে আটক করেছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, সংঘবদ্ধ একটি মাদক চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। মাদক ব্যবসা এবং চাঁদার টাকার ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত জাহিদুলের স্ত্রী সিফা আক্তার জানায়, তার বন্ধু মজিবুর তার স্বামীকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন সময় তার কাছে টাকা দাবি করত ও মেরে ফেলার হুমকি দিত। এ ঘটনার সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে মাইনুল, মুন্না, সৈকত ও মারুফরা সরাসরি জড়িত। তিনি জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন। নিহত জাহিদুলের পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও অপর আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে।