পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু, পাকিস্তানের ৩ শহরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু, পাকিস্তানের ৩ শহরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
অবশেষে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হলো। পাকিস্তানের ৩ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আইএসপিআর-এর মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাহাওয়ালপুর, কোটলি, মুজাফ্‌ফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। এদিকে পাকিস্তান ও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ভারতের ৩টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান।  

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু যেভাবে

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বুধবার ভোরে জানান, কাশ্মীরের দখলকৃত অঞ্চলে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ভারত বাহাওয়ালপুর, কোটলি ও মুজাফ্‌ফরাবাদে “কাপুরুষোচিত হামলা” চালিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

বুধবার রাত ১:০৬টায় এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডি.জি চৌধুরী বলেন: “কিছুক্ষণ আগে কাপুরুষোচিত শত্রু ভারত বাহাওয়ালপুরের আহমেদ ইস্ট এলাকার সুভানুল্লাহ মসজিদ, কোটলি ও মুজাফ্‌ফরাবাদের তিনটি স্থানে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সব বিমানবাহিনীর জেট বর্তমানে আকাশে রয়েছে। এই কাপুরুষোচিত ও লজ্জাজনক হামলা ভারতের আকাশসীমা থেকেই চালানো হয়েছে। তাদের পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন: “আমি স্পষ্ট করে বলছি — পাকিস্তান এই হামলার জবাব দেবে, সময় ও স্থান নির্ধারণ করবে পাকিস্তান নিজেই। এই জঘন্য উসকানির জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।”

পাকিস্তানের হুশিয়ারী

সম্ভাব্য হতাহতের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডি.জি আইএসপিআর জানান, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন চলছে এবং পরে আরও তথ্য জানানো হবে।

তিনি বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলার মাধ্যমে ভারত যে সাময়িক আনন্দ পেয়েছে, তা অচিরেই চিরস্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে।”

রয়টার্সের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মধ্যরাতের পর আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদ শহরের পার্বত্য অঞ্চলের আশপাশে বেশ কয়েকটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের পর শহরের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানান তারা।

এর আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার ফলে “ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ যে কোনো সময় ঘটতে পারে।”

গত ২২ এপ্রিল পাহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এটি ২০০০ সালের পর অন্যতম ভয়াবহ হামলা। তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই ভারত হামলাকারীদের “সীমান্ত পারাপার সম্পর্ক” রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয়। পাকিস্তান এই দাবি কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

এই ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। পাকিস্তান আক্রমণের আশঙ্কায় তার বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার সামরিক বাহিনীকে “অপারেশনাল স্বাধীনতা” দিয়েছেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে কোনো ভারতীয় ‘অভিযান’-এর দ্রুত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তবে কূটনৈতিক যোগাযোগ চালু রয়েছে সংঘর্ষ প্রতিরোধে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দিনভর ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন, যেখানে তাকে একটি “প্রচলিত হুমকি” মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ পুনরায় বলেন, তিনি আগে থেকেই বলে আসছেন যে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ “অবশ্যই আসন্ন”।

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24 Senior Reporter

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.