পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি এখন থেকে পিতৃত্বকালীন ছুটিও (Paternity Leave) দেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন হয়েছে এই বিধান। এই বিধিতে প্রচলিত সব ছুটির পাশাপাশি ১৫ দিনের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রণীত হয়েছে।
এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদন হলো পিতৃত্বকালীন ছুটি। এই বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রচলিত সকল ছুটির সাথে ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ্ আলী।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জহুরুল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুব্রত ভৌমিক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এবং রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী।
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকগণ পাঠদান করছেন। পাশাপাশি তরুণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীও রয়েছেন। তাদের সন্তানদের দেখাশুনার জন্য আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধানটি আমলে নিয়েছি।
একজন সন্তানের কাছে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক বাবার ভুমিকাও তেমনি। এই দিক বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যারা নব্য বিবাহিত তাঁরা সর্বোচ্চ দুবার পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রফেসর শাহ্ আজম আরো বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান থাকার ফলে মায়ের পাশাপাশি পিতাও সন্তানকে দেখাশুনা করার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগটি তাদের উদ্বেগজনক অবস্থা মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণা হিসাবে কাজ করবে।
যার ফলে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অধিক মনোযোগী হবে, যা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক লক্ষ্য অর্জনে অগ্রসর হতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও উক্ত সিন্ডিকেট সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদিত হয়েছ। প্রণীত শৃংখলা বিধি শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ, শৃংখলা ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন রবীন্দ্র উপাচার্য।
পিতৃত্বকালীন ছুটি কি?
সন্তান জন্মের আগে নির্ধারিত সময়ের জন্য ছুটি নেওয়াই হলো পিতৃকালীন ছুটি। যাতে ওই সময়টাতে গর্ভবতী স্ত্রীকে ও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাদের সেবাযত্ন ও দেখাশোনার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।