তরুণ কলাম লেখক ফোরামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে মোফাজ্জল–সামিন

তরুণ কলাম লেখক ফোরামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে মোফাজ্জল–সামিন
তরুণ কলাম লেখক ফোরামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে মোফাজ্জল–সামিন

‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’এই স্লোগানকে ধারণ করে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের অনন্য সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম-এর। মাত্র সাত বছরের পথচলায় সংগঠনটি এখন দেশের ২১টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

লেখালেখিতে আগ্রহী তরুণদের পাশে থাকা, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করা, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজনের মাধ্যমে এটি আজ দেশের সবচেয়ে বড় তারুণ্যনির্ভর বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এই  যাত্রায় একটি ব্যতিক্রমী অধ্যায় যুক্ত করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই শাখা নিয়মিতভাবে দেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে লেখার ধারা বজায় রেখে তরুণ লেখকদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। লেখালেখি প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তারা গড়ে তুলেছে অসংখ্য নতুন কলমযোদ্ধা।

এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সজিব প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম-এর স্বাক্ষরে গঠিত হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি।

নতুন দায়িত্বে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফোরামের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোফাজ্জল হোসেন, এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসার।

দায়িত্ব পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “প্রতিযোগিতা নয়, সকলের সহযোগিতা, ভালোবাসা ও যৌথ পরামর্শে অগ্রসর হওয়ার প্রত্যয় নিয়েই আমাদের আগামীর পথচলা হোক।” 
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামিন ইয়াসার বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, কলমের শক্তিই সমাজ পরিবর্তনের প্রথম অনুপ্রেরণা। কলম দিয়ে যেমন যুদ্ধ করা যায়; ঠিক তেমনি কলমের সঠিক ব্যবহারে সমাজের পরিবর্তনও সম্ভব। এই দায়িত্বে থেকে তরুণ লেখকদের একত্রিত করে ইতিবাচক চিন্তা ও সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই চারদিকে। আমি কৃতজ্ঞ সেইসব মানুষদের প্রতি, যারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এখন সেই আস্থা বাস্তবায়নের সময় এসেছে—লেখার মাধ্যমে সত্য, ন্যায় ও মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে।”
তরুণ লেখকদের কলমে নতুন আলো ছড়ানোর এই নেতৃত্বের হাত ধরে ফোরামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শুরু করল এক নতুন অধ্যায়। যেখানে লেখনীই হবে পরিবর্তনের অস্ত্র, আর তরুণরাই হবে সেই বিপ্লবের সৈনিক।বাংলাদেশের চিন্তাশীল তারুণ্যের এ যাত্রা হয়তো আগামী দিনে বদলে দেবে সমাজের মানচিত্র।

Rate This Article

How would you rate this article?

ED Desk
ED Desk Staff Reporter

Experience in write about 5 years.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.