সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশ ২০২৩ [upension.gov.bd]
সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশ ২০২৩ (Pension scheme Bangladesh) সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। বয়স্কদের একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনার উদ্যোগ হিসেবে ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
সর্বজনীন পেনশন কাদের জন্য
উদ্বোধন করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম (Universal pension scheme of Bangladesh) ব্যবস্থায় ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক যুক্ত হতে পারবেন। ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। তবে ৫০ বছরের অধিক বয়সীরাও সর্বজনীন পেনশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে অন্যদের মতো ৬০ বছর বয়স থেকে নয়, তারা পেনশন সুবিধা পাবেন ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কি
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী—এই চার নামে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা : এসব স্কিমে যুক্ত হয়ে বেসরকারি খাতের কর্মচারী বা প্রবাসীরা তাদের মোট চাঁদার চেয়ে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩০ গুণ থেকে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩১ গুণ অর্থ পেনশন হিসেবে পাবেন।
সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন কিভাবে
যারা সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসতে চান, আগে তাদের নিবন্ধন করতে হবে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যোগ দিতে পারবেন।
- সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন / Universal pension scheme registration link : https://upension.gov.bd
সর্বজনীন পেনশন চাঁদা দেবেন যেভাবে
ঘরে বসেই পেনশন কর্মসূচির আওতায় চাঁদা দেওয়া যাবে। এ জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশির এনআইডি নেই, তারা বৈধ পাসপোর্টের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেল অনুমোদিত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। নিবন্ধনের পর একটি নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে সব সময় চাঁদা পরিশোধসহ সব কাজ করা যাবে। গ্রামীণ পর্যায়ে নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় নগদ টাকায় কোনো লেনদেন হবে না। সব কাজ হবে অনলাইনে। সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলবে। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে তার নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে মাসিক চাঁদা দিতে হবে। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে চাঁদা দিতে পারবেন। আর নিবাসীরা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিংবা নগদ, বিকাশসহ যে কোনো মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) দাতার মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্টে দিতে পারবেন চাঁদা।
বেসরকারি কর্মীদের জন্য প্রগতি স্কিম
বেসরকারি কর্মচারীরা মাসিক ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে প্রগতি স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মীরা এবং বাকি ৫০ শতাংশ কোম্পানি পরিশোধ করতে পারবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ না নিলে এর কর্মীরা স্ব-উদ্যোগে এতে অংশ নিতে পারবেন। বেসরকারি কর্মীরা ১৮ বছর বয়সে এ স্কিমে যোগ দিয়ে কোনো ব্যক্তি ৪২ বছরে মাসিক ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স থেকে তিনি মাসে ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা পেনশন পাবেন। একই মেয়াদে ৩ হাজার টাকা মাসিক চাঁদায় ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন। ৫ হাজার টাকা মাসিক চাঁদায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা মাসিক পেনশন আজীবনের জন্য পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এ স্কিমে ৪২ বছর ধরে ৫ হাজার টাকা করে মাসিক চাঁদা দেওয়া হলে ন্যূনতম ৭৫ বছর পর্যন্ত সময়ে পেনশন হিসাবে মোট পাওয়া যাবে ৩ কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা, যা মোট চাঁদার প্রায় ১২ দশমিক ৩১ গুণ। তবে এ স্কিমে ১০ বছরে ধরে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা করে দিলে ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৬০ টাকা। এ ক্ষেত্রেও মোট চাঁদার তুলনায় ২ দশমিক ৩০ গুণ বেশি পেনশন পাওয়া যাবে।
মাসিক চাঁদার হার | ২,০০০ টাকা | ৩,০০০ টাকা | ৫,০০০ টাকা |
---|---|---|---|
চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) | সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) | ||
৪২ | ৬৮,৯৩১ | ১,০৩,৩৯৬ | ১,৭২,৩২৭ |
৪০ | ৫৮,৪০০ | ৮৭,৬০১ | ১,৪৬,০০১ |
৩৫ | ৩৮,৩৭৪ | ৫৭,৫৬১ | ৯৫,৯৩৫ |
৩০ | ২৪,৯৩২ | ৩৭,৩৯৮ | ৬২,৩৩০ |
২৫ | ১৫,৯১০ | ২৩,৮৬৪ | ৩৯,৭৭৪ |
২০ | ৯,৮৫৪ | ১৪,৭৮০ | ২৪,৬৩৪ |
১৫ | ৫,৭৮৯ | ৮,৬৮৩ | ১৪,৪৭২ |
১০ | ৩,০৬০ | ৪,৫৯১ | ৭,৬৫১ |
অনানুষ্ঠানিক খাতের জন্য সুরক্ষা
অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’ নামে স্কিম থাকছে। কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এ স্কিমে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। সুরক্ষা স্কিমে ৪২ বছর ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসে ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। একই মেয়াদে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকার পেনশন পাওয়া যাবে। প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে আজীবন মাসিক ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা এবং প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে আজীবন মাসিক ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে পেনশন পাবেন।
মাসিক চাঁদার হার | ১,০০০ টাকা | ২,০০০ টাকা | ৩,০০০ টাকা | ৫,০০০ টাকা |
---|---|---|---|---|
চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) | সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) | |||
৪২ | ৩৪,৪৬৫ | ৬৮,৯৩১ | ১,০৩,৩৯৬ | ১,৭২,৩২৭ |
৪০ | ২৯,২০০ | ৫৮,৪০০ | ৮৭,৬০১ | ১,৪৬,০০১ |
৩৫ | ১৯,১৮৭ | ৩৮,৩৭৪ | ৫৭,৫৬১ | ৯৫,৯৩৫ |
৩০ | ১২,৪৬৬ | ২৪,৯৩২ | ৩৭,৩৯৮ | ৬২,৩৩০ |
২৫ | ৭,৯৫৫ | ১৫,৯১০ | ২৩,৮৬৪ | ৩৯,৭৭৪ |
২০ | ৪,৯২৭ | ৯,৮৫৪ | ১৪,৭৮০ | ২৪,৬৩৪ |
১৫ | ২,৮৯৪ | ৫,৭৮৯ | ৮,৬৮৩ | ১৪,৪৭২ |
১০ | ১,৫৩০ | ৩,০৬০ | ৪,৫৯১ | ৭,৬৫১ |
অতি দরিদ্রদের জন্য সমতা
সমতা স্কিমে চাঁদার পরিমাণ মাসে ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে গ্রাহক প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেবেন। বাকি ৫০০ টাকা সরকার পরিশোধ করবে। খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী অতিদরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে। এ স্কিমের আওতায় ১৮ বছর বয়সে অন্তর্ভুক্ত হয়ে মাসে ৫০০ টাকা চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। আর ৫০ বা তদূর্ধ্ব বয়সীরা অন্তত ১০ বছর ধরে মাসে ৫০০ টাকা চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ১ হাজার ৫৩০ টাকা করে পেনশন পাবেন।
মাসিক চাঁদার হার | ১,০০০ টাকা (চাঁদাদাতা ৫০০ টাকা + সরকারি অংশ ৫০০ টাকা) |
---|---|
চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) | সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) |
৪২ | ৩৪,৪৬৫ |
৪০ | ২৯,২০০ |
৩৫ | ১৯,১৮৭ |
৩০ | ১২,৪৬৬ |
২৫ | ৭,৯৫৫ |
২০ | ৪,৯২৭ |
১৫ | ২,৮৯৪ |
১০ | ১,৫৩০ |
প্রবাসীদের জন্য প্রবাস
প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিমে মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা। বিদেশ থেকে এ স্কিমে যোগদানের পর ৬০ বছর বয়সের আগেই কেউ দেশে ফিরলে তারা দেশীয় মুদ্রায় চাঁদা পরিশোধ করতে পারবেন অথবা স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদ শেষে স্থানীয় মুদ্রায় পেনশন দেওয়া হবে। একজন প্রবাসী ১৮ বছর বয়সে এ স্কিমে যুক্ত হয়ে ৪২ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স পর তিনি সরকারি তহবিলে মোট ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার চাঁদা দেবেন। এর পর ৬০ বছর থেকে ন্যূনতম ৭৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা করে পাবেন। ফলে তার মোট পাওয়া পেনশনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ কোটি ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা, যা মোট চাঁদার প্রায় ১২ দশমিক ৩১ গুণ। একই স্কিমে যোগ দিয়ে কেউ ৪২ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে তিনি ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা পেনশন পাবেন। আবার একই মেয়াদে প্রতি মাসে সাড়ে ৭ হাজার টাকা চাঁদা দিলে প্রবাসীরা মাসিক ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯১ টাকা করে আজীবন পেনশন পাবেন। তবে যদি কেউ এই স্কিমের আওতায় সর্বনিম্ন ১০ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দেন, তাহলে তিনি মোট জমা দেবেন ৬ লাখ টাকা। বিনিময়ে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে তিনি প্রতি মাসে ৭ হাজার ৬৫১ টাকা করে মোট ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ টাকার পেনশন পাবেন। এ ক্ষেত্রে মোট চাঁদার তুলনায় ২ দশমিক ৩০ গুণ বেশি পেনশন পাওয়া যাবে।
মাসিক চাঁদার হার | ৫,০০০ টাকা | ৭,৫০০ টাকা | ১০,০০০ টাকা |
---|---|---|---|
চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) | সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) | ||
৪২ | ১,৭২,৩২৭ | ২,৫৮,৪৯১ | ৩,৪৪,৬৫৫ |
৪০ | ১,৪৬,০০১ | ২,১৯,০০১ | ২,৯২,০০২ |
৩৫ | ৯৫,৯৩৫ | ১,৪৩,৯০২ | ১,৯১,৮৭০ |
৩০ | ৬২,৩৩০ | ৯৩,৪৯৫ | ১,২৪,৬৬০ |
২৫ | ৩৯,৭৭৪ | ৫৯,৬৬১ | ৭৯,৫৪৮ |
২০ | ২৪,৬৩৪ | ৩৬,৯৫১ | ৪৯,২৬৮ |
১৫ | ১৪,৪৭২ | ২১,৭০৮ | ২৮,৯৪৪ |
১০ | ৭,৬৫১ | ১১,৪৭৭ | ১৫,৩০২ |
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, উদ্বোধনের দিনেই অনলাইনে পেনশন কর্মসূচিতে চাঁদা দিয়ে অন্তর্ভুক্তি প্রদর্শনের আয়োজন করতে আট জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে তাঁদের মডেল পেনশনার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে– গোপালগঞ্জ, সিলেট, রংপুর, পাবনা, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, রাঙামাটি ও বরগুনা। পেনশন কর্তৃপক্ষ একই ধরনের চিঠি দিয়েছে কুয়ালালামপুর ও জেদ্দায় থাকা বাংলাদেশ মিশনে।
এসব জেলা ও দূতাবাসের মাধ্যমে নির্বাচিত মডেল পেনশনারদের দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। আর এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার। একই সঙ্গে উদ্বোধনের দিন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরে সব বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়।