২৭ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০ লাখ শিক্ষার্থীর ডিগ্রি অর্জন

Rate this post

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পূর্তি আজ (২১ অক্টোবর ২০১৯)। স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকার গঠিত ড. কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে ১৯৯২ সালে জাতীয় সংসদে একটি অ্যাক্টের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা ছিল ৬৫৭টি। আর শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার। বিগত ২৭ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা ২২৬০টি। শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ লাখ, আর শিক্ষক সংখ্যা ৬০ হাজার।

আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরে মূল ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসি প্রফেসর অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ।

সভাপতির ভাষণে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ২৭ বছরে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেছেন। এসব স্নাতকগণ দেশের জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। দুর্বিষহ সেশনজট নিরসনের পর আজ আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। ২০১৩ সালে বর্তমান প্রশাসনের দায়িত্বভার গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম প্রায় শতভাগ আইটিভিত্তিক পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহে ই-ফাইলিং এবং মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে সিইডিপি, কলেজ পারফরমেন্স র‌্যাংকিং, মডেল কলেজ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শতবর্ষী কলেজসমূহ নিয়ে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শীঘ্রই প্রবর্তন করা হবে ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিসিসি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ১০/২০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান উপাচার্যের দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’

আলোচনা সভার আগে প্রধান অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর উপলক্ষ্যে ২৭ পাউন্ড ওজনের কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নোমান উর রশীদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

Follow Us on Google News!

Stay updated with our latest news and articles directly from Google News.

Follow on Google News

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

© 2025 Edu Daily 24. All rights reserved.

Powered by Edu Daily 24.