VPN কি, ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা ও সুবিধা

VPN কি, ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা ও সুবিধা
VPN কি, ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা ও সুবিধা : ভিপিএন এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গোপনীয়তা রক্ষা করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে। এটি একটি প্রাইভেট নেটওয়ার্ক কাঠামো। প্রতিটি দেশের ইন্টারনেট সংযোগের নিজস্ব আইপি থাকে। কিন্তু ভিপিএন ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর পূর্বের ইন্টারনেট আইপি পরিবর্তন হয়ে অন্য বিভিন্ন দেশের আইপিতে রূপান্তর হয়। যেমন আপনি যে ইন্টারনেট সংযোগ বা ডাটা ব্যবহার করছেন, সেটি আপনার দেশের একটি নির্দিষ্ট আইপি। কিন্তু যখন আপনি ভিপিএন ব্যবহার করবেন, তখন আপনার আইপি পরিবর্তন হয়ে আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, সিঙ্গাপুর বা এমন বিভিন্ন দেশের আইপি হয়ে যাবে। ফলে আপনার দেশে যদি কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ ব্লক করা হয়, তাহলে সেটি ভিপিএন ব্যবহার করে চালু করা যাবে। কারণ ভিপিএন ব্যবহার করলে আপনার আইপি আর আপনার দেশের আইপি থাকছে না। ভিপিএন ফ্রি ব্যবহার করা যায়, আবার বিভিন্ন প্যাকেজে টাকা (ডলার) দিয়েও কিনতে পাওয়া যায়।  

ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা

  • ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া: ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ অসুবিধা হলো ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যাওয়া। যেহেতু ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে; সেহেতু ব্রাউজিংয়ের সময় কম গতি ও বিলম্বের মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে পারেন ব্যবহারকারী।
 
  • সাইবার নিরাপত্তা: ভিপিএনের প্রাথমিক কথাই হচ্ছে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। ফলে কোনো কারণে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল বা পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি–ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেলে সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে। সহজ ভাষায়, হ্যাকারের হাতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর তথ্য চলে গেলে হ্যাকিং অনেক সহজ হয়ে যায়।
 
  • জটিলতা ও কারিগরি চ্যালেঞ্জ: একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে, বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগে ‘ট্রাবলসশুটিং’, ‘ডিএনএস’ বা ‘ডোমেইন নেইম সিস্টেম’ ফাঁস বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন অথবা ডিভাইস সেটআপের বেলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা, এমন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তুলনামূলক কম প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে।
 
  • খরচ: অনেক ভিপিএন গ্রাহক সেবা বিনা মূল্যে বা কম খরচে ব্যবহার করা গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন সেবাগুলোয় বিভিন্ন উন্নত ফিচার ও উচ্চগতির সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা মেলে। তবে এ ক্ষেত্রে পয়সা গুনতে হয়।
 

ভিপিএন ব্যবহারের সুবিধা

  • গোপনীয়তা রক্ষা: অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এসব ডেটা বা তথ্য অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে ভিপিএন ব্যবহার করলে তথ্য চুরি করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের মাধ্যমেও ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, লগ-ইন ক্রেডেনশিয়ালস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণ, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যেতে পারে। ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে এসব ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়।
 
  • আইপি অ্যাড্রেস ও দেশ পরিবর্তন : ভিপিএন ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস ও ভৌগোলিক অবস্থান (দেশ/স্থান) গোপন রাখে। ফলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপনদাতা ও অনলাইন ট্র্যাকারের কাছে ভিপিএন ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন থাকে।
 
  • ব্লক সাইট ও অ্যাপ ব্যবহার: বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মদেশভিত্তিক বিশেষ টিভি সিরিজ, মুভির মতো কনটেন্ট থাকে। যেগুলো অন্য দেশ থেকে দেখা যায় না। ভিপিএন ব্যবহার করলে নিজের ডিভাইসের লোকেশন বা ভৌগোলিক অবস্থান পরিবর্তন করা যায়, ফলে সেই দেশের বিশেষ বিশেষ কনটেন্টগুলো উপভোগ করা যায়। এ ছাড়া কোনো দেশের সরকার বা আইএসপি কিছুনির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখতে পারে। ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে সেসব ওয়েবসাইটেও প্রবেশ করা যায়।

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.