চীনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সুফল পাচ্ছে বিশ্বের বাদবাকি দেশগুলোর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা। বিশেষ করে এ প্রযুক্তির গতি ও উৎপাদন সক্ষমতা কমাচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির খরচ। সম্প্রতি এমনটা জানলেন চীনের এক শীর্ষ জ্বালানি কর্মকর্তা। শুক্রবার চিয়াংসু প্রদেশের সুচৌতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অন এনার্জি ট্রানজিশন-এ এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
চীনের জাতীয় জ্বালানি প্রশাসনের প্রধান ওয়াং হোংচি জানান, গত দশকে চীনের উদ্ভাবন ও উৎপাদন দক্ষতার কারণে বিশ্বব্যাপী বায়ুশক্তি প্রকল্পের গড় খরচ ৬০ শতাংশ এবং সৌরশক্তি প্রকল্পের খরচ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এ সময়ে চীন ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের সবুজ জ্বালানি প্রকল্পে সহযোগিতা দিয়েছে। শুধু চীনে উৎপাদিত বায়ু ও সৌর ফটোভোল্টাইক পণ্যগুলো গত বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৬৫ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে।
আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থাও (আইআরইএনএ) এ ব্যাপারে একমত। তারা বলছে, চীন এখন সোলার প্যানেল, ব্যাটারি ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ উৎপাদনে বিশ্বের কেন্দ্রীয় সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করছে, এতেও উৎপাদনের খরচ ব্যাপকভাবে কমেছে এবং বিশ্বব্যাপী দ্রুত সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে।
হোংচি বলেন, এখন চীনের বায়ু ও সৌরবিদ্যুতের সম্মিলিত স্থাপনক্ষমতা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক। বিশ্বব্যাপী মোট নতুন সংযোজনের ৬০ শতাংশেরও বেশি অবদান চীনের।
এতে করে চীনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ এখন প্রায় ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশটিকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ও বৃহত্তম সবুজ শক্তি ব্যবস্থায় পরিণত করেছে।
চায়না রিনিউএবল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের উপপ্রধান ইয়ি ইয়োয়েছুন বলেন, চীন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর আওতায় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সহযোগিতা ও প্রশাসনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। বৈশ্বিক সবুজ ও নিম্ন-কার্বন উন্নয়নে যা নতুন গতি এনে দিচ্ছে।
ওয়াং জানান, বেইজিং এখন উন্নত শক্তি সঞ্চয় প্রযুক্তি ও ভার্চুয়াল পাওয়ার প্লান্টের মতো নতুন ব্যবসায়িক মডেলের উদ্ভাবনে জোর দিচ্ছে। কার্যকর বাজার ও দক্ষ প্রশাসনের সমন্বয়ে গোটা বিশ্বই এখন টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের নতুন যুগে প্রবেশ করছে।
সূত্র: সিএমজি বাংলা