বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে কিউবা মিচেল | কে এই তরুণ ফুটবলার
জাতীয় ফুটবল দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ ফুটবলার কিউবা মিচেল

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে যোগ দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন তরুণ ফুটবলার কিউবা মিচেল। হাতে সময় অল্প। ইতোমধ্যে বার্মিংহামে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের আবেদন করেছেন কিউবা, সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা আলিমা খাতুন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রস্তুতি।
পাসপোর্ট, ছাড়পত্র ও ফিফা ক্লিয়ারেন্স
ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইএফএ) এবং ক্লাব সান্ডারল্যান্ড এফসি থেকে অনাপত্তিপত্র পেয়ে গেছেন কিউবা মিচেল। এখন অপেক্ষা কেবল পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার। এরপরই ফিফার ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করা হবে।
১০ জুন বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুর ম্যাচ
এ ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সময়ের বিরুদ্ধে রীতিমতো রেসে নেমেছে। ৪ জুন ভোরে কানাডা থেকে ঢাকায় আসছেন সামিত সোম, ইংল্যান্ড থেকে তিনিও যোগ দেবেন। ইতালি থেকে আসবেন ফাহমিদুল ইসলাম। কিউবা মিচেল যুক্ত হলে এটি হবে বাংলাদেশ দলের জন্য বড় অর্জন।
কিউবা মিচেল : একজন সম্ভাবনাময় মিডফিল্ডার
মাত্র ১৯ বছর বয়সী কিউবার পিতৃসূত্রে রয়েছে ক্যারিবীয় দেশ জ্যামেইকার রক্ত, আর মাতৃসূত্রে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পরিচয়। তাঁর নানী ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক। ফলে তিনটি দেশের হয়ে খেলার সুযোগ ছিল—জ্যামেইকা, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ। তবে কিউবার হৃদয় টেনেছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।
সান্ডারল্যান্ড এফসিতে খেলা ও পজিশন
ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ড এফসির অনূর্ধ্ব ২১ দলে খেলেন কিউবা। স্বভাবজাত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে তাঁর রয়েছে দারুণ দক্ষতা। ড্রিবলিং, শর্ট পাসিং, দ্রুত ট্রাঞ্জিশন, ট্যাকলিং এবং ডায়াগনাল পাসে তিনি বেশ দক্ষ। চাইলে তাঁকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব।
বাফুফের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমানে বাফুফের লক্ষ্য কিউবাকে ১০ জুনের সিঙ্গাপুর ম্যাচে মাঠে দেখা। যদিও সময় সীমিত, তবে সবকিছু ঠিকঠাক হলে এই ম্যাচেই দেখা যেতে পারে কিউবাকে লাল-সবুজ জার্সিতে। তা সম্ভব না হলেও আগামী এক মাসের মধ্যে তাঁকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।