ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদের মান কত তা অনেকরই অজানা। তাদের মাঝে একটা সংকোচ আছে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদের মান এইচ. এস. সি সমমান না ডিগ্রীর সমম্যান। তবে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সরকারি ওয়েব সাইট ঘুরে দেখা যায় যে, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মান গ্রেড-14 যেখানে এইচ এস সি এর মান গ্রেড-12 এবং অনার্সের মান গ্রেড 16।
এছাড়া এইচ এস সি কে দেখানো হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে আর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কে দেখানো হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা স্তরের মাঝামাঝি স্থানে।
চাকরি ক্ষেত্রেঃ একজন এইচএসসি সনদ-ধারী তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন এবং তাকে সারাজীবন একই পদে চাকরি করে যেতে হয় অর্থাৎ তার কোন পদোন্নতি হয় না। আর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন এবং তারা ক্রমে ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হতে পারেন। যা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত কাউকে পেতে হলে অন্ততপক্ষে মাস্টার্স অথবা বি সি এস ডিগ্রী ধারী হতে হয়।
অনেকেই আবার বলছেনঃ আমরা যদি ডিপ্লোমা পড়ে আবার বিএসসি করি তবে জেনারেলদের চেয়ে আমাদেরকে দুই বছর বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। হ্যাঁ কথা সত্য। তবে এখানে আপনি দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী পাচ্ছেন।
(ক) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী।
(খ) বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী।
গ্রামে অনেকেই আছেন যারা, অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট করেও টু টু করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিজের সম্মানটুকু বাচানো যায় এমন একটা চাকরি পাচ্ছেন না। আর যিনি ডিপ্লোমা পড়েছেন তিনি পাশ করার দু-চার মাসের মাথায় একটা চাকরি পেয়ে যান। 3-4 বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বেতন পাচ্ছেন 20,000-22,000 টাকা। এরপরও কি বলবেন ডিপ্লোমা পড়ানো এবং পড়া উচিত না এবং ডিপ্লোমা কোর্স করা অনেক নিম্ন।
তাছাড়া এক জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্টার পাশের মান দিয়ে যেকোন অফিসে চাকরি করতে পারবে অথচ্য এক জন ইন্টার পাশ ব্যাক্তি কখনই ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি করতে পারবে না।