এক নজরে ২৭তম চায়না হাই-টেক ফেয়ার

এক নজরে ২৭তম চায়না হাই-টেক ফেয়ার
নভেম্বর ২২, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি শেনচেনে অনুষ্ঠিত ২৭তম চায়না হাই-টেক ফেয়ার শেষ হয়েছে রেকর্ড সাফল্যের মধ্য দিয়ে। তিন দিনেই স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৭০ বিলিয়ন ইউয়ানের বাণিজ্যচুক্তি, অংশ নিয়েছে বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদল। প্রদর্শনীতে উন্মোচিত হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন প্রযুক্তি—যার কেন্দ্রে ছিল এমবডিড-এআই রোবট, সাইন-ল্যাংগুয়েজ শিখতে সক্ষম হিউমানয়েড হাত, এবং ই-স্কিন ট্যাকটাইল গ্লাভসের মতো তাক লাগানো উদ্ভাবন। ভবিষ্যতের বুদ্ধিমান রোবটিক্সের ভিত্তি গড়বে এই প্রযুক্তি। শেনচেনের ২৭তম চায়না ইন্টারন্যাশনাল হাই-টেক ফেয়ারে ছিল ২২টি বিশেষায়িত প্রদর্শনী অঞ্চল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, ভোক্তা ইলেকট্রনিকস, লো-অ্যাল্টিটিউড ইকোনমি ও বাণিজ্যিক মহাকাশ প্রযুক্তি—সবই ছিল এক ছাদের নিচে। আর মেলায় এসেছিল সাড়ে চার লাখেরও বেশি দর্শক। শেনচেনের প্রযুক্তি দপ্তর জানিয়েছে, এ বছর তারা শিল্পচেইন ও ইনোভেশন চেইনকে একীভূত করে কাজ করছে, যাতে উন্নত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এবং তাদের সরবরাহকারীরা একই প্ল্যাটফর্মে সেবা ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করতে পারে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ব্যুরোর শেনচেন সিটি সায়েন্সের পরিচালক চাং লিন জানান, ‘আমরা শিল্পচেইনকে উদ্ভাবনের প্রাধান্যের সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করছি। পুরো শিল্পচেইনকে একত্রে প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা লেনদেন খরচ কমিয়ে দক্ষতা বাড়াতে পেরেছি।’ এদিকে মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রদর্শনীগুলোর একটি ছিল বড় পরিসরে অর্গানয়েডের উৎপাদন জন্য বিশেষ থ্রিডি বায়োপ্রিন্টার। শেনচেনে সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই প্রযুক্তি তুলে ধরেন। এই অর্গানয়েডগুলো ছোট অঙ্গ নয়, বরং ল্যাবে তৈরি ত্রিমাত্রিক কোষসমষ্টি—যেগুলো মানবদেহে কোষের আচরণের ঘনিষ্ঠ অনুকরণ করতে পারে। গবেষকদের দাবি, নতুন ওষুধ উদ্ভাবন ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে এসব অর্গানয়েড বিশাল অগ্রগতি তৈরি করবে। সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির বায়ো-ইনটেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড লাইভ প্রিন্টিং সেন্টারের পরিচালক সু থাও জানালেন, হৃদয়-আকৃতির একটি অর্গানয়েড তৈরি করা যায় মাত্র আট দিনে। এটি শুধু স্পন্দিত হয় না, ওষুধের নিরাপত্তা মূল্যায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে অর্গানয়েড ব্যবহারই নতুন ওষুধ উন্নয়নের বড় একটি ধারা তৈরি করবে বলে জানান তিনি। সু থাও আরও জানান, ‘মানুষ নানা ধরনের ওষুধ খায়। ওষুধগুলো আমাদের অঙ্গগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে, এর মধ্যে হৃদপিণ্ডও রয়েছে। হৃদযন্ত্রের অর্গানয়েড ব্যবহার করে, আমরা পরীক্ষা করতে পারি যে আমরা প্রতিদিন যেসব ওষুধ খাই তা হৃদপিণ্ডে নিরাপদ প্রভাব ফেলছে কিনা।’ তিনি আরও জানান, এই বায়োপ্রিন্টারই বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয়, উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র, যা দিনে এক লাখের বেশি অর্গানয়েড উৎপাদন করতে পারে। এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে ১২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের এক হাজারের বেশি প্রোকিউরমেন্ট ডেলিগেশন। তিন দিনে স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৭০ বিলিয়ন ইউয়ান মূল্যের বাণিজ্য চুক্তি। প্রদর্শিত হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন প্রযুক্তি, পণ্য ও গবেষণা–অর্জন। চীনে উচ্চ-প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃত এই মেলা আয়োজিত হয় স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায়। ফয়সল/শুভ তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি

Rate This Article

How would you rate this article?

ED Desk

ED Desk

Staff Reporter

Experience in write about 5 years.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.