জেনে রাখুন

ভর্তি পরীক্ষা : ক্যালকুলেটর ছাড়া ফিজিক্সের ম্যাথ (১ম পর্ব)

Rate this post

ভেক্টর:‬ ডট গুনন, ক্রস গুনন, সমান্তরাল একক ভেক্টর নির্নয়, কিংবা “m” এর মান কত হলে ভেক্টরদ্দ্বয় লম্ব হবে এই টাইপের ম্যাথগুলা করা যায়,মধ্যবর্তী কোণ নির্নয়, লম্ব অভিক্ষেপ নির্নয় ক্যালকুলেটর ছাড়া করা যাবেনা, বাদ।
‪‎রৈখিক গতি: চ্যাপ্টারের সামান্য কয়টা অঙ্ক করা যাবে, বেশিরভাগ ক্যালকুলেটর ছাড়া করা যাবেনা, ত্ব্বরন নির্নয়, বেগ নির্নয়, অতিক্রান্ত দুরত্ত, ব্রেক চেপে কত্ত দূর গিয়ে থামবে, নিক্ষিপ্ত বস্তুর সর্বোচ্চ উচ্চতা বা উঠতে যে সময় লাগে এই সোজা ম্যাথগুলা দেখা যায়। গুলি কতদুর প্রবেশ করবে এই টাইপের ম্যাথগুলা বাদ।
‪‎দ্বিমাত্রিক গতি:‬ এই চ্যাপ্টার একেবারেই ক্যালকুলেটর ছাড়া সম্ভব না। সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিলেও হবে।
‪‎গতিসুত্র: অনেক ম্যাথ ক্যালকুলেটর ছাড়া করা যায়।বল নির্নয়, মিলিত বস্তুর বেগের ক্ষেত্রে সহজ ম্যাথগুলা,ঘর্ষন সহগের কিছু সহজ অঙ্ক আছে।বন্দুকের পশ্চাত বেগের অঙ্কগুলা করা যেতে পারে। তবে গুলি কতদুর প্রবেশ করবে এগুলা করা লাগবে না।
কৌণিক গতিসূত্র: জড়তার ভ্রামক, টর্ক, কৌনিক বেগ ও অরবেগ নির্নয় ম্যাথগুলা করা যায়, তবে ব্যাংকিং কেন্দ্রমুখী বলের ম্যাথগুলা না করলেও চলবে।
সময় কমানো হয়েছে, তাই ম্যাথ এর চেয়ে থিউরী প্রশ্নের গুরুত্ব বেশি দেয়া উচিত। বিভিন্ন রাশির একক, মাত্রা, বিভিন্ন সুত্রের প্রকাশ কি দিয়ে করা হয়, ছোট ছোট রাশির সংজ্ঞাগুলি এবং তাদের সমীকরনিক প্রকাশ, কোন বিজ্ঞানী কোন সুত্র আবিস্কার করছেন এগুলার দিকে জোর দেয়া উচিত। সর্বোপরী বই এর লাইন গুলো ভা্ল করে দেখা শুরু কইরা দাও। বিশাল বিশাল সাইজের প্রমান না পড়লেও চলবে।
– নাজিরুল ইসলাম নাদিম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *