বাংলাদেশ নৌবাহিনী বেতন স্কেল ২০২৩ ও রেশন তালিকা [Navy salary scale]
বাংলাদেশ নৌবাহিনী বেতন স্কেল ২০২৩ (Bangladesh navy salary scale 2023), রেশন তালিকা ও অন্যান্য জরুরি তথ্য সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এসব তথ্য নৌবাহিনীতে চাকরিরত ও চাকরি প্রার্থী সবারই কাজে আসবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি কয়টি?
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি ১৫ টি এর মধ্যে ঢাকা ৩টি, চট্টগ্রাম ৬টি, মোংলা ১টি, খুলনা ২টি, রাঙামাটি ১টি, পটুয়াখালী ১টি এবং কক্সবাজার ১টি যথা:
- নৌসদর, (ঢাকা)
- বানৌজা শেখ মুজিব, (ঢাকা)
- বানৌজা হাজী মহসীন, (ঢাকা)
- বানৌজা তিতুমীর, (খুলনা)
- বানৌজা উপশম, (খুলনা)
- বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জেম, কাপ্তাই, (রাঙামাটি)
- বানৌজা শেরে বাংলা, (পটুয়াখালী)
- বানৌজা শেখ হাসিনা, (কক্সবাজার)
- বানৌজা মোংলা, (মোংলা)
- বানৌজা উল্কা, (চট্টগ্রাম)
- বানৌজা ঈসা খান, (চট্টগ্রাম)
- বানৌজা ভাটিয়ারী, (চট্টগ্রাম)
- বানৌজা পতেঙ্গা, (চট্টগ্রাম)
- বানৌজা নির্ভীক, (চট্টগ্রাম)
- বিএন ডকইয়ার্ড, পতেঙ্গা, (চট্টগ্রাম)
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কয়টি
২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে রয়েছে দুইটি টহল ফ্রিগেট, ৫টি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ফ্রিগেট, ৬টি কর্ভেট, ৩০টি সহায়ক যুদ্ধজাহাজ এবং ৩৮টি বিভিন্ন ধরনের ছোট যুদ্ধজাহাজ। নৌবাহিনীর উড্ডয়ন শাখার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থির ডানার বিমান ও হেলিকপ্টার, এবং সাবমেরিন শাখায় রয়েছে দুইটি ডিজেল ইলেক্ট্রিক আক্রমণকারী সাবমেরিন। ডুবোজাহাজ দুইটি ৮টি টর্পেডো এবং ৫৭ জন নাবিক বহন করে, পাশাপাশি ৩২টি সামুদ্রিক মাইনও বহন করতে পারে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ (সোয়াডস) নামেও একটি বিশেষ বাহিনী রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন কয়টি
অনেকেই জানেন না সাবমেরিন কি? তাদের জন্য বলছি; সাবমেরিন হচ্ছ ইংরেজী শব্দ যার বাংলা অর্থ ডুবেজাহাজ। বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে ‘নবযাত্রা’ এবং ‘জয়যাত্রা’ নামের দুটি সাবমেরিন রয়েছে।১২ মার্চ ২০১৭ সালে চীনের কাছ থেকে কেনা এই দুটি সাবমেরিন । সাবমেরিন দুটি মাইন এবং টর্পেডো দ্বারা সুসজ্জিত, যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিনকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী বেতন স্কেল ২০২৩ / Bangladesh navy salary scale
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বেতন স্কেল এখানে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
- ১. নৌবাহিনীর অফিসারদের বেতন স্কেল
- ২. নৌবাহিনীর নাবিকদের বেতন স্কেল
অফিসারদের বেতন কত টাকা
ক্রম. | বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বেতন স্কেল (অফিসার সেকশন) | বেতন স্কেল |
১. | CADET – ক্যাডেট | 10,000.00 |
২. | MIDSHIPMEN – মিডশিপম্যান | 10,500.00 |
৩. | ACTING SUB-LIEUTENANT – ভারপ্রাপ্ত সাব-লেফটেন্যান্ট | 23,100.00 |
৪. | SUB-LIEUTENANT – সাব-লেফটেন্যান্ট | 25,000.00 |
৫. | LIEUTENANT – লেফটেন্যান্ট | 29,000.00 |
৬. | LIEUTENANT COMMANDER – লেফটেন্যান্ট কমান্ডার | 43,000.00 |
৭. | COMMANDER – কমান্ডার | 50,000.00 |
৮. | CAPTAIN – ক্যাপ্টেন | 61,000.00 |
৯. | COMMODORE – কমোডোর | 63,570.00 |
১০. | REAR ADMIRAL – রিয়ার – অ্যাডমির্যাল | 78,000.00 |
১১. | VICE ADMIRAL – ভাইস এডমিরাল | 82,000.00 |
১২. | ADMIRAL – অ্যাডমিরাল | 86,000.00 |
অফিসার সেকশনের সবাই ১১টি ভাতা পান :
- ১. কিট আপ কিপ ভাতা
- ২. ব্যাটম্যান ভাতা
- ৩. ডাইভিং ভাতা
- ৪. ডিপ মানি ভাতা
- ৫. সার্ভে ভাতা
- ৬. বাড়ি ভাড়া ভাতা
- ৭. আউট ফিট ভাতা
- ৮. ঝামেলা ভাতা
- ৯. নির্দেশ ভাতা
- ১০. রেশন ভাতা
- ১১. কমান্ড/চার্জ ভাতা।
নাবিকদের বেতন স্কেল
নাবিকদের বেতন কত টাকা :
ক্রম | বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বেতন স্কেল (নাবিক) | বেতন স্কেল |
১. | Recruit – নিয়োগ | 9,000.00 |
২. | OD – ওডি | 9,000.00 |
৩. | AB – এবি | 10,200.00 |
৪. | LS – এলএস | 11,000.00 |
৫. | PETTY OFFICER – পেটটি অফিসার | 16,000.00 |
৬. | CHIEF PETTY OFFICER – চিফ পেটটি অফিসার | 22,250.00 |
৭. | SENIOR CHIEF PETTY OFFICER – সিনিয়র চিফ পেটটি অফিসার | 22,400.00 |
৮. | MASTER CHIEF PETTY OFFICER – মাস্টার চিফ পেটি অফিসার | 22,500.00 |
নাবিকদের অন্যান্য ভাতাসমূহ: ১. কিট আপ কিপ ভাতা, ২. বাড়ি ভাড়া ভাতা, ৩. ডাইভিং ভাতা, ৪. ডিপ মানি ভাতা ৫. সার্ভে ভাতা ৬. ভারপ্রাপ্ত ভাতা ৭. রেশন ভাতা ৮. ঝামেলা ভাতা এবং ৯. নির্দেশ ভাতা।
নাবিক থেকে লেফটেন্যান্ট পর্যন্ত পদবির বেতন স্কেল
নৌবাহিনী এমওডিসি এর বেতন কত টাকা?
নৌবাহিনী এমওডিসি এর প্রশিক্ষণ চলাকালীন ৯০০০- ৯৫০০ টাকা বেতন দেয়া হয়। স্থায়ীভাবে নিয়োগের পর মাসিক বেতন দেওয়া হয় ৯৫০০-২১,৫০০০ টাকা স্কেলে।
জাতীয় বেতন স্কেল ও সামরিক বাহিনীর বেতন স্কেলের মধ্যে পার্থক্য
এক নজরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু সংখ্যক নাবিক এবং কিছু সংখ্যক তরূণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাত্র ২টি গান বোট ‘পলাশ ও পদ্মা’ নিয়ে গড়ে তোলা হয় নৌবাহিনী। যুদ্ধকালীন অপারেশান পরিচালনা করা, সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, শান্তিকালীন সার্বক্ষণিক উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌম নিয়ন্ত্রণ করা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ এবং বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা, সমুদ্রে টহল প্রদান, চোরাচালান প্রতিরোধ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, জলদস্যুদের প্রতিরোধ / দমন করা এবং তেল ও গ্যাস সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইন শৃংখলা রক্ষা, সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান (রেসকিউ অপারেশান, এভাকুয়েশান) ইত্যাদি পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্বসমূহের অন্যতম। কালের পরিবর্তনে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও একাগ্র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী বর্তমানে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশ গঠন ও দেশের রক্ষায় গুরুক্তপূন্ন ভুমিকা পারন করে আসছেন। বিশেষ করে ভারত এবং মিয়ানমারের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতের ঐতিহাসিক রায়ে অর্জিত “সমুদ্র সম্পদ” ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা এবং সমুদ্রের সকল বন্দর ও স্থাপনার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী বিষেশ ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়া ও, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, বহুজাতিক প্রশিক্ষণ /মহড়া, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে অপারেশান ইত্যাদি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
নৌবাহিনীর স্লোগান কি?
“শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়’ বাংলাদেশ নৌবাহিনী এই স্লোগান নিয়ে দেশের সেবায় কাজ করে চলেছেন। “শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়’ স্লোগানের ওপর ভিত্তি করে ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দেশের নৌবন্দর ও সমুদ্রসীমার রক্ষার কাজে নিবেদিত থাকেন নৌবাহিনী। গৌরব, সম্মান, মর্যদাময়, আর্থিক সচ্ছলতা ও বিশ্ব ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা রয়েছে নৌবাহিনীতে।
নৌবাহিনীর প্রতীক কি?
বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রতীক “কাছিবেষ্টিত নোঙর”।
আরো দেখুন : অফিসার ক্যাডেট পদে নিয়োগের তথ্য ২০২৩-২০২৪