কিছুক্ষন আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আয়োজকরা জাহাজে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তারা গাজার কাছে (প্রায় ৯০-১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে) উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আছে এবং ফ্লোটিলা থেকে ৭-২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ২০+ ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ দেখেছে।
ইসরায়েলি জাহাজগুলো দ্রুত কাছে আসছে, যোগাযোগ জ্যাম করছে এবং ভয় দেখাচ্ছে। ফ্লোটিলা আশঙ্কা করছে আর এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের ফ্লোটিলার জাহাজগুলোকে ইসরায়েল নেভি আক্রমণ করবে বা আটকাবে। ক্রু সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় আছে এবং বিশ্বের নজরদারি চাইছে।
২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক জাহাজে ইসরায়েলি সেনারা উঠে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই৷ এ জাহাহটি গাজাগামী এ নৌবহরের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী জাহাজ ছিল৷
এছাড়া আদারা নামে আরেকটি জাহাজে ইসরায়েলি সেনারা ওঠার পর সেটিতে থাকা অধিকারকর্মীদের তাদের মোবাইল ফোন পানিতে ফেলে দিতে দেখা গেছে৷ তবে তারা ইচ্ছা করে মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছেন নাকি তাদের বাধ্য করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়৷
বিশ্বের ৪০টি দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী ৪৫টি ছোটবড় জাহাজে করে গাজার দিকে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। তারা শুধুমাত্র ত্রাণ নয় গাজা উপকূলে দখলদার ইসরায়েলের আরোপ করা অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙারও মিশন হাতে নিয়েছেন।
তবে ইসরায়েল সতর্কতা দিয়েছে ত্রাণবাহী এসব জাহাজ নিয়ে যেন তারা গাজা উপকূলের দিকে না আসেন৷ তা সত্ত্বেও অধিকারকর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এরমধ্যেই তাদের জাহাজ জব্দ করা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল৷
সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহর থেকে গ্রেটা থানবার্গ
‘‘আজ রাতে ইসরায়েল আমাদের আটক করবে। এর জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে।’’ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আলমা জাহাজের ক্রুদের ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে। নেতানিয়াহু বলেছে : ‘আমি আদেশ দিয়েছি কোন অবস্থায়ই একটি জাহাজ ও গাযায় যাতে পৌঁছুতে না পারে ‘’
.
এদিকে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে : ‘ইসরায়েলি সুমুদ ফ্লোটিলার সাথে কোন আক্রমণাত্মক আচরণ করবেনা বলে আমাদের আস্বস্ত করেছে।’’
আর সুমুদ কাফেলার পুরো ৪৭টি জাহাজই করায়ত্ব করতে চলেছে ইসরায়েল।