“দ্য টেল অব হারমনি –চেং হ্য’র সাথে স্থল ও জলপথে যাত্রা” চীন–বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও বিনিময় অনুষ্ঠান ঢাকায় অনুষ্ঠিত

“দ্য টেল অব হারমনি –চেং হ্য’র সাথে স্থল ও জলপথে যাত্রা” চীন–বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও বিনিময় অনুষ্ঠান ঢাকায় অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ও চীনের সৃষ্টিশীল তরুণদের অনুপ্রেরণা দিতে এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে “দ্য টেল অব হারমনি – চেং হ্য’র সাথে স্থল ও জলপথে যাত্রা” শীর্ষক চীন–বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও তৈরির ও যোগাযোগ বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও চীনের ইয়ুননান প্রদেশের রেডিও ও টেলিভিশন প্রশাসন।

অনুষ্ঠানে ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের আন্তঃসম্পর্ককে কেন্দ্র করে নির্মিত নির্বাচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজিম বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা অর্থবহ বার্তা তৈরি করতে পারি যা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। যখন আমরা বিশেষ ব্যক্তিদের এমন ধারণাগুলো ব্যবহার করি, তখন শান্তি ও ভালোবাসা ছড়ানো সম্ভব।

গ্লোবালাইজেশনের ধারণা প্রাচীন এবং এটি মানবজাতির শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে দেখানো এই ছোট ভিডিও গুলো মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে বলে জানান ইয়ুননান প্রদেশের রেডিও ও টেলিভিশন প্রশাসনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লোও ইয়ুংপিন। এসময় তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব প্রভাবশালী। ভিডিওতে কেবল চীনের কথা নয়, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ারও পরিচয় পাওয়া যায়। প্রায় ৬০০ বছর আগে চাং হ্য বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।

তিনি শুধু বাণিজ্যই করেননি, সংস্কৃতি ও জ্ঞানও ছড়িয়েছেন। তার সময় থেকেই শান্তি ও সহমর্মিতার ভাবনা প্রচারিত হয়েছিল।‘ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ চেং হ্য এর ভাবনা শেখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিশ্বে এখনো সংঘাত ও যুদ্ধ রয়েছে। সামাজিক ও প্রচলিত মিডিয়া মানুষকে একত্রিত করতে, একে অপরকে বোঝার সুযোগ দিতে সাহায্য করে। এর ফলে যুদ্ধ কমে যাবে এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।’

এই সাংস্কৃতিক বিনিময় আয়োজনে ইয়ুনননা প্রদেশ থেকে আসা গণমাধ্যমকর্মী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের চীনা পরিচালক ড. ইয়াং হুই, সিসিটিভির সাংবাদিক ওয়াং চিয়ানপিং এবং কুনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত দর্শকরা ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন দিক অন্বেষণ করার সুযোগ পান।

এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা শেয়ারের সুযোগ দেয়া হয়। চেং হ্য এর মতো বিশেষ ব্যক্তির আদর্শকে ধারণ করতে পারলে এবং তার ধারণা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে পৃথিবীতে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। আর এই ক্ষেত্রে মিডিয়া অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে- এমনটি উঠে আসে বক্তাদের আলোচনায়।

ঐশী/জেনিফার

Rate This Article

How would you rate this article?

ED Desk
ED Desk Staff Reporter

Experience in write about 5 years.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.