খবর

কাপাসিয়ায় রাতে নির্মাণাধীন মাদ্রাসার খুঁটি ভাঙচুর

১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার কাজাহাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

কাপাসিয়ায় রাতে নির্মাণাধীন মাদ্রাসার খুঁটি ভাঙচুর

এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পৈত্রিক ও ওয়াকফকৃত জমিতে নির্মাণাধীন আল-বারাকাত মসজিদ কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসায় রাতের আঁধারে খুঁটি তুলে ফেলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে৷ এ ঘটনায় থানায় মৌখিক অভিযোগ জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার কাজাহাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাজাহাজী গ্রামের ইসমাইল মোল্যার পৈত্রিক সম্পদ ও একজনের ওয়াকফকৃত মোট ১২ শতাংশ জমির উপর আল-বারাকাত মসজিদ কমপ্লেক্স করা হয়। যেখানে ইতিমধ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়। মসজিদের নির্মাণের সময়ে মাদ্রাসা করার পরিকল্পনা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। 

এ সময় স্থানীয় খোরশেদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তার কিছু লোকজন নিয়ে মসজিদের কাজে বাধা দেয়। ওই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তবে চলতি সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়৷ শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় আগের বিবাদীগণ মাদ্রাসার খুঁটি তুলে ফেলে এবং ভাঙচুর করে। 

অভিযোগকারী মো: ইসমাইল মোল্যা বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পদ ও ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে মসজিদ করেছি, এখন মাদ্রাসা করা হচ্ছে। বিষয়টি মীমাংসিত থানা ও এলাকার মুরুব্বী সবাই জানে। তবুও খোরশেদ ও তার লোকজন নির্মানাধীন মাদ্রাসার খুঁটিগুলো তুলে ফেলেছে এবং ভাঙচুর করেছে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম বলেন, আমি মাদ্রাসার খুঁটি তোলা বা ভাঙচুর করিনি। এর আগের বার আমি ভাঙচুর করেছিলাম। তবে এবার কারা ভাঙছে আমি বলতে পারবো না। 

কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই সোহাগ বলেন, সেখানে মসজিদ মাদ্রাসা হবে এটা আমরা জানি। আমরা গিয়ে বলে এসেছি মাদ্রাসা করার জন্য। বালি ফেলা হয়েছে খুঁটিও গাড়া হয়েছে। শুনেছি সেই খুঁটিগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।