বাজেটে বাড়ছে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতার টাকা ও টিসিবি কার্ড সংখ্যা
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃদ্ধির প্রস্তাব পাওয়া ভাতাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
বয়স্ক ভাতা: ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের ভাতা: ৫৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা
প্রতিবন্ধী ভাতা: ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা
মা ও শিশু সহায়তা ভাতা: ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মাসিক ভাতা: নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা
অর্থ উপদেষ্টা জানান, এই বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করে প্রান্তিক জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। এজন্য সুবিধাভোগীদের সংখ্যা এবং প্রতি মাথায় বরাদ্দ—উভয়ই বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
টিসিবি কার্ডধারীর সংখ্যা বাড়ছে ৫ লাখ
মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় ৫৭ লাখ পরিবারকে মসুর ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত করে আরও ৫ লাখ পরিবারকে কার্ডধারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ছে
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ আগামী অর্থবছরে ৬ মাসে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আরও দীর্ঘ সময় ধরে বিতরণ করা সম্ভব হবে।
সারাংশ:
এই প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রান্তিক, দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা আরও জোরদার করা। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ ব্যবস্থাও আরও বিস্তৃত হচ্ছে।