বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্মার্ট প্রযুক্তি

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্মার্ট প্রযুক্তি
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্মার্ট প্রযুক্তি

চীনের শায়ানসি প্রদেশের ফোপিং ন্যাশনাল নেচার রিজার্ভে বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যুক্ত হয়েছে স্মার্ট প্রযুক্তি। ৩০০-র বেশি ইনফ্রারেড ক্যামেরা, ড্রোন ও ইন্টেলিজেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পান্ডা ও অন্যান্য প্রাণীর কার্যকলাপ। 

পাহাড়জুড়ে ৪১টি গ্রিডে লাগানো আছে ৩০০টিরও বেশি ক্যামেরা। প্রতি বছরই ক্যামেরায় ধরা পড়ে লাখ লাখ ছবি। প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষায় যা কিনা প্রদান করছে একদম তরতাজা তথ্য।

ফোপিং ন্যাশনাল নেচার রিজার্ভের ইউয়েবা স্টেশনের উপপ্রধান চিয়া ছি জানালেন, ‘ইনফ্রারেড ক্যামেরায় বুনো জায়ান্ট পান্ডাদের গতিবিধির ওপর এখন নজরদারি আরও বেড়েছে। পান্ডাদের সঙ্গে তাদের শাবক, কালো ভালুকের প্রজনন ও চিতার পরিবারের ছবিও ধরা পড়ছে প্রতিনিয়ত।’

সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ড্রোন নজরদারি। জাতীয় এ প্রকৃতি সংরক্ষণাগারে চোখ রাখতে ড্রোনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া আছে হাই ডেফিনিশন ক্যামেরা ও থার্মাল ইমেজিং যন্ত্র। জঙ্গলে দাবানল প্রতিরোধ থেকে শুরু করে শীতের সময় প্রাণীদের অভিবাসনের মানচিত্রও দিতে পারে এগুলো। সেই সঙ্গে বনের গাছপালায় কোনো রোগ দেখা দিচ্ছে কিনা সেটাও বুঝতে পারে এগুলো। 

শায়ানসি ফোপিং ন্যাশনাল নেচার রিজার্ভের জ্যেষ্ঠ বন প্রকৌশলী চৌ কাং জানালেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি যে এলাকায় মানুষ যেতে পারে না, সেখানে নজরদারি চালায় ড্রোন। সম্প্রতি এ নজরদারিতে দেখা গেছে, বনের ভেতর বাঁশঝাড়ের পরিমাণ বাড়ছে, যা কিনা জায়ান্ট পান্ডার স্থিতিশীল বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।’

এ রিজার্ভে যে বুদ্ধিমান তথ্য ব্যবস্থাপনা প্লাটফর্মটি আছে, তা মূলত গোটা জঙ্গলের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের মতোই কাজ করে। বিভিন্ন প্রজাতির শুমারি ও গতিবিধির তথ্য প্রক্রিয়াকরণ হয় এতে। এক ক্লিকেই পাওয়া যায় সমস্ত তথ্য। প্লাটফর্মটি একইসঙ্গে আবহাওয়া, মাটি এবং প্রজাতির বহুমাত্রিক তথ্যও সমন্বিত করে এবং টহলরত কর্মীদেরও রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং করতে পারে।

অন্যদিকে, চীনের ১০টি প্রদেশ ও অঞ্চলে পরিযায়ী পাখির নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। উত্তর থেকে দক্ষিণে পরিযায়ী পাখির কয়েকটি বড় পথ রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যবর্তী পথটি চিলিন, চিয়াংসি, কুয়াংতোং ও কুয়াংসিসহ মোট ১০টি প্রদেশ ও অঞ্চলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। এর মধ্যে চিয়াংসির সুইছুয়ান অঞ্চলের পাখি অভিবাসন করিডরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর একটি। বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থার কারণে এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পরিযায়ী আসে। চীন বিশ্বের অন্যতম পাখি বৈচিত্র্যের দেশ। এখানে প্রায় দেড় হাজার প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮০০ প্রজাতি পরিযায়ী।

সূত্র: সিএমজি

Rate This Article

How would you rate this article?

ED Desk
ED Desk Staff Reporter

Experience in write about 5 years.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.