রোজা কত তারিখে শুরু হবে, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ [বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সময়]
রোজা কত তারিখে শুরু হবে, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ [বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সময়] সম্পর্কে বিস্তারিত ক্যালেন্ডার ও নির্দেশনা প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ। ১৪৪৪ হিজরি অর্থাৎ ২০২৩ সালের সালের রমজান মাসে এই ক্যালেন্ডার (সময়সূচি) অনুযায়ী ঢাকা ও ৬৪ জেলায় সেহেরির শেষ সময় ও ইফতার-এর সময় নির্ধারণ হবে।
রোজা ২০২৩
রমজান (Ramadan) | ১৪৪৪ হিজরি / ২০২৩ সাল |
শুরু হবে | ২৩ কিংবা ২৪ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে |
শেষ হবে | ২১ কিংবা ২২ এপ্রিল ২০২৩ |
সূত্র | ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
ওয়েবসাইট | http://www.islamicfoundation.gov.bd |
রোজা কত তারিখে শুরু হবে / রোজা ২০২৩ কবে থেকে
৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় চাঁদ দেখা কমিটি এই তারিখ ঘোষণা করে। এই হিসাব অনুযায়ী ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৩ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২৩ বা ২৪ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে। তবে রমজান শুরুর সময় ২৪ মার্চ ধরে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সেহরির দোয়া
- উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন্ শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস্ সামিউল আলিম।
- অর্থ : হে আল্লাহ! আমি পবিত্র মাহে রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। অতএব আপনি আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের নিয়ত
- উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।
- অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। [আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদিসে যথাসময় ইফতার করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ যতদিন ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করবে; ততদিন তারা কল্যাণ লাভ করবে।’
ইফতারের সময় করণীয়
- সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
- ইফতারের সময় অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতার করা।
- ইফতারের সময় বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- খেজুর, সাদা পানি কিংবা দুধ দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ জামাআতে পড়া।
- ইফতারে দেরি করে জামাআত তরক না করা।
- ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া। মাগরিব আদায় করে তৃপ্তিসহ পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া। আর তাতে শরীর
- থাকে সুস্থ ও সবল। ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খেলে জামাআত ও ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
ইফতারের পর বা ইফতারের সময় দোয়া
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করাকালীন সময়ে বলতেন-
- উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
- অর্থ : ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ [আবু দাউদ, মিশকাত]