ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার, কোন কোন গাড়ি চলবে, জানুন
বিমানবন্দর-যাত্রাবাড়ী (কুতুবখালী) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার, কোন কোন গাড়ি চলবে, জানুন বিস্তারিত তথ্য। ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে উদ্বোধন হচ্ছে এই Dhaka elevated expressway। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর-যাত্রাবাড়ী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল সর্বনিম্ন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা।
এক নজরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
যানজট কমিয়ে রাজধানীবাসীকে স্বস্তি দিতে দুয়ার খুলতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে সড়ক পথে চলাচলে সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে।
১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এক্সপ্রেসওয়ে শুরু হয়েছে বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে এর শেষ হবে। এরমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া তেজগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
- যান চলাচল শুরু : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে
- কাওলা-ফার্মগেইট অংশের দৈর্ঘ্য : ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার
- ওঠা-নামার র্যাম্প : ১৫টি
- সর্বোচ্চ গতিসীমা : ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
- টোল দিতে হবে : সর্বনিম্ন ৮০ টাকা, সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?
রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য Dhaka elevated expressway হচ্ছে সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সংযোগ সড়ক সহ এটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এবং প্রকল্প ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি ট্রাঞ্চে ভাগ করা হয়েছে। ট্রাঞ্চ-১. এয়ারপোর্ট-বনানী-রেলস্টেশন পর্যন্ত। ট্রাঞ্চ-২. বনানী রেলস্টেশন-মগবাজার পর্যন্ত। ট্রাঞ্চ-৩. মগবাজার-চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত। প্রথম ধাপের নির্মাণ কাজের ১ হাজার ৫০০টি পাইলের মধ্যে ১ হাজার ৩৪০টি পাইল, ৩৫০টি পাইলক্যাপের মধ্যে ৩২৪টি পাইলক্যাপ, ৩৫০টি কলামের ২৩৯টি কলাম, ৩৫০টি ক্রসবিমের মধ্যে ১২৮টি সম্পন্ন হয়েছে। ৩ হাজার ১৫৪টি আইগার্ডারের মধ্যে ২২৪টি সম্পন্ন হয়েছে যার বাস্তব অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসাবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কবে চালু হবে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। গাড়ি চলবে অন্তত ৮০ কিলোমিটার গতিতে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দিনে অন্তত ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে নির্বিঘ্নে। থাকবে না কোনো সিগন্যাল। প্রকল্প চালু হলে একদিকে যেমন যানজট কমবে, অন্যদিকে মূল্যবান কর্মঘণ্টাও সাশ্রয় হবে। পরিবহন খরচও কমে আসবে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। যার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে।
বর্তমান সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক)। এটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে মাত্র ২০ মিনিটে উত্তরা থেকে কুতুবখালী দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওঠা যাবে। প্রকল্পটি চালু হলে বদলে যাবে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা। রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিশ্চিতভাবেই আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কোন কোন গাড়ি চলতে পারবে
গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম), মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) , ৬ চাকার বেশি ট্রাক, সব ধরনের বাস ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে টোল দিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে বাই-সাইকেল, থ্রি-হুইলার (রিক্সা, সিএনজি, ৩ চাকার ভ্যান), মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রুট ও স্টেশন সমূহ
উড়াল সড়কের রুট হচ্ছে- কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। পুরো পথই রেললাইন ঘেঁষে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প শেষ হলে রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করবে এক্সপ্রেসওয়েটি।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ম্যাপ ও রুট / Dhaka elevated expressway map
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল কত টাকা ২০২৩
প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সির মতো হালকা যানবাহন থেকে ছয় চাকার বেশি গাড়ির জন্য এই টোল গুনতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এতে চলাচলের জন্য যানবাহনকে চার শ্রেণিতে বিভক্ত করে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন টোল ১০০ টাকা। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে বা আংশিক ব্যবহার করলেই এই অর্থ দিতে হবে। তবে এক্সপ্রেসওয়ের শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করলে হালকা যানবাহনকে গুনতে হবে ১২৫ টাকা।
বাসের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক ব্যবহার করলে ২০০ টাকা এবং পুরো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে ২৫০ টাকা টোল দিতে হবে।
মাঝারি (ছয় চাকা পর্যন্ত) আকারের ট্রাকের বেলায় এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক ব্যবহার করলে ৪০০ টাকা আর পুরোটা ব্যবহার করলে ৫০০ টাকা গুনতে হবে।
বড় ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আংশিক ব্যবহারে ৫০০ টাকা এবং পুরোটা ব্যবহার করলে ৬২৫ টাকা।
এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলতে পারবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের টোলহার আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চালুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলহার আগে নির্ধারণ করায় এটি চালুর সময় টাকার পরিমাণ কমতে-বাড়তে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
১৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, এক্সপ্রেসওয়েটির এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম অংশ আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে মোট ১৫টি র্যাম্প রয়েছে, যার ১৩টি উন্মুক্ত।
তিনি আরও জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। তবে পথচারী ও বাইসাইকেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর চলবে না। আপাতত মোটরসাইকেল চলাচল করবে না।
ওবায়দুল কাদের জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ১৯.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পটি আগামী বছরের ২ জুন শেষ হবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল ২০২৩ (চার্ট)
যানবাহনের শ্রেণি (Vehicles caregory) | টোল ফি (Toll fee) |
প্রাইভেট কার/ট্যাক্সি | ৮০ টাকা |
মাইক্রোবাস | ৮০ টাকা |
পিকআপ | ৮০ টাকা |
হালকা ট্রাক | ৮০ টাকা |
মাঝারি ট্রাক | ৩২০ টাকা |
ভারি ট্রাক | ৪০০ টাকা |
মিনি বাস | ১৬০ টাকা |
যাত্রীবাহী বাস | ১৬০ টাকা |
Dhaka elevated expressway toll rate 2023
1. Light Vehicles (Private Cars, Microbuses, Taxis, Jeeps)
– Tk 100 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 125 for full usage of the expressway.
2. Buses
– Tk 200 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 250 for full usage of the expressway.
3. Medium-Sized Trucks (Up to Six Wheels)
– Tk 400 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 500 for full usage of the expressway.
4. Large Trucks (More than Six Wheels)
- Tk 500 for entry or partial usage of the expressway.
- Tk 625 for full usage of the expressway.
ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড একপ্রেসওয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
এক ধরনের সেতু হলেও ফ্লাইওভার আর এলিভেটেড একপ্রেসওয়ে এক নয়। কোনো সড়ক বা রেললাইনের ওপর দিয়ে যে সেতু নির্মিত হয় তা ফ্লাইওভার। এর দৈর্ঘ্য কম হয়। অন্যদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হলো একটি শহর বা অঞ্চলের ওপর বয়ে যাওয়া দীর্ঘ উড়ালসড়ক। এর দৈর্ঘ্য অনেক বেশি হয়।
এক্সপ্রেসওয়ে ও এলিভেটেড একপ্রেসওয়ে কি এক জিনিস?
না। প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত বিশ্বমানসমৃদ্ধ মহাসড়ক এক্সপ্রেসওয়ে। সব মহাসড়কে বিরতিহীনভাবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হয় না। এর প্রধান কারণ, এসব মহাসড়কে রয়েছে প্রতিবন্ধকতা। আছে একের পর এক মোড়। এমন নানা জটিলতায় মহাসড়ক বা হাইওয়েতে চলাচলকারী যানবাহন নির্দিষ্ট গতিতে চলতে পারে না। ফলে গন্তব্যে পৌঁছানোর বিষয়টি থাকে অনিশ্চিত। এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতেই বিশেষ সুবিধাসহ যে হাইওয়ে নির্মিত হয় সেটি এক্সপ্রেসওয়ে। এতে প্রবেশের পথ একটি, বের হওয়ারও পথ একটি। হাইওয়ের তুলনায় এক্সপ্রেসওয়েতে যাতায়াত করতে কম সময় লাগে। বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’। অন্যদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংজ্ঞা আগেই বলা হয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প
প্রকল্পের নাম | ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প |
প্রকল্পের রুট | হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)। |
অর্থনৈতিক প্রভাব | প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমনের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। সার্বিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজিকরণ, আধুনিকায়ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। |
জিডিপি-তে ইতিবাচক প্রভাব | প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। |
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান | First Dhaka Elevated Expressway (FDEE) Company Ltd.Shareholders:Italian Thai Development Public Company Ltd. (Thailand)- 51%,China Shandong International Economic and Technical Co-operation Group (CSI)- 34%Sinohydro Corporation Ltd.- 15% |
চুক্তি স্বাক্ষর | ১৯ জানুয়ারী ২০১১ |
সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষর | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ |
প্রকল্পের মেয়াদ | জুলাই ২০১১- জুন ২০২৪ |
প্রাক্কলিত ব্যয় | ৮,৯৪০ কোটি টাকা |
Viability Gap Funding (VGF) | ২৪১৩ কোটি টাকা (প্রাক্কলিত ব্যয়ের ২৭%) যা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। |
বিনিয়োগকারীর আর্থিক সংস্থান | বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে China Exim Bank (EXIM) এর সাথে ৪৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও Industrial & Commercial Bank of China (ICBC) এর সাথে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ সর্বমোট ৮৬১ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে।ইতোমধ্যে মোট ৩৮২.৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে। |
প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা | মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কি.মি. প্রকল্পে উঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কি.মি দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্ম্পযাসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কি.মি.। |
প্রকল্পের ধাপ | ১ম ধাপ- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা হতে বনানি রেল স্টেশন পর্যন্ত (চে. ০+০০০ মি: হতে চে. ৭+৪৫০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে ৭.৪৫ কি:মি।২য় ধাপ- বনানি রেল স্টেশন হতে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত (চে. ৭+৪৫০মি: হতে চে. ১৩+৩০০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে ৫.৮৫ কি.মি।৩য় ধাপ- মগবাজার রেল ক্রসিং হতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত (চে. ১৩+৩০০মি: হতে চে. ১৯+৭৩০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে অবশিষ্টাংশ। |
কাজ শুরুর তারিখ | Formal Construction Commencement Date (CCD) ০১ জানুয়ারী ২০২০। |
কাজ সমাপ্তির তারিখ | ৩০ জুন ২০২৪ |
আরো পড়ুন : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল চার্ট ২০২৩