শিক্ষা বার্তা

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসার উত্তর

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার (২০২০) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আবেদন সংক্রান্ত সচরাচর যেসব প্রশ্ন সাধারণত প্রার্থীরা করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে সেগুলোর উত্তরগুলো এখানে দেওয়া হলো-

অনেকের প্রশ্ন থাকে—‘আমি ডিগ্রি/অনার্স পরীক্ষা দিয়েছি; কিন্তু এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। এ অবস্থায় কি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব?

—ফলাফলের জন্য অপেক্ষমাণ বা Appeared প্রার্থীরা নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তির ৪ থেকে ১৩ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত বিভিন্ন পদের নাম, পরীক্ষার বিষয় ও কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে, তা উল্লেখ করা হয়েছে।

কোন পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হয়, অর্থাৎ পাস করা তুলনামূলক সহজ?

—উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) পদে নিবন্ধন পরীক্ষায় মোট সাতটি বিষয়ে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন—অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ/সমাজকর্ম, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান।
আমার মতে, এসব বিষয়ের প্রার্থীদের সম্ভব হলে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধনের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ কলেজ পর্যায়ে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের পদের বিপরীতে যে সংখ্যক প্রার্থী থাকেন তার চেয়ে স্কুল পর্যায়ে একেকটি পদে তুলনামূলক অনেক বেশি প্রার্থী থাকেন। তাই স্কুলের চেয়ে কলেজের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত মনে করি।

এইচএসসি পাস করেছি, নিবন্ধন পরীক্ষায় কী অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে?

—হ্যাঁ পারবেন। আপনার পদের নাম হবে জুনিয়র শিক্ষক (সাধারণ) এবং পরীক্ষার বিষয় হবে ভাষা (বাংলা ও ইংরেজি)। সংযুক্ত এবতেদায়ি মাদরাসার জন্য এই পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি/সমমান চাওয়া হয়েছে।

স্কুল ও স্কুল-২ এই দুই পর্যায়ে একই সঙ্গে আবেদন করা যাবে?

—স্কুল ও স্কুল-২ এই দুই পর্যায়ের পরীক্ষা একই দিন এবং একই সময়ে। তাই আবেদনের সুযোগ থাকলেও লাভ নেই, যেকোনো একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

সূত্র : কালের কণ্ঠ । ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button