জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সম্প্রতি চীনের তাইওয়ান প্রদেশ সম্পর্কে ভুল মন্তব্য করেছেন। এর জেরে আন্তর্জাতিক সমাজ এবং জাপানের জনগণ তার তীব্র বিরোধিতা ও সমালোচনা করছে। সম্প্রতি তাকাইচি আবারও দাবি করেন, ‘জাপান শান্তি চুক্তি’ অনুযায়ী জাপান সব অধিকার ছেড়ে দিয়েছে, তাই তাইওয়ানের আইনি অবস্থান নির্ধারণের এখতিয়ার জাপানের নেই।
চীন এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ওই শান্তি চুক্তিটি রাশিয়া ও চীনকে বাদ দিয়ে অন্য দেশগুলোর সাথে জাপানের স্বাক্ষরিত একতরফা দলিল। এটি ১৯৪২ সালে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ২৬টি দেশের স্বাক্ষরিত ‘জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র’, জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়মের লঙ্ঘন।
তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বসহ চীনের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে জাপানের যেকোনো ঘোষণা অবৈধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাকাইচি বারবার ওই চুক্তির কথা উল্লেখ করে চীন-জাপান সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি নষ্ট করছেন। চীন ও জাপানের মধ্যকার চারটি রাজনৈতিক দলিলই হলো এই সম্পর্কের ভিত্তি। জাপানি জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, তাকাইচির মন্তব্য অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ভুল। আন্তর্জাতিক আইন, যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং চীন-জাপান সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি কোনোভাবেই ধ্বংস করা যাবে না।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)