শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে জামায়াতের আমীরের শুভেচ্ছা

বিবৃতিতে বলা হয়, সবার অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো পরিণত হয় সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায়।

শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে জামায়াতের আমীরের শুভেচ্ছা

শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে জামায়াতের আমীরের শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করা হয়েছে সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা এবং প্রশাসনের প্রতি নিরাপত্তা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৬ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন:

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও আমার নিজের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত এবং প্রশংসিত। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মসহ নানা আচার-অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে। এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নজির তামাম দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল।

তিনি বলেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির এমন অনন্য পরিবেশের জন্য নানা সময়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তারা বাংলাদেশকে একটি ‘মডারেট মুসলিম কান্ট্রি’ এবং সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির ‘রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতিতে মুগ্ধ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার এইচ ই গ্রে উইল কুক বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পূজা ও ঈদ একই সময়ে পালনে এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে যেভাবে সহযোগিতা করে, তা দেখে আমরা মুগ্ধ।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান উইলিয়াম হানা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির উন্নত মডেল। এদেশে সব বিশ্বাস ও ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে পাশাপাশি বসবাস করছে এবং নিজ নিজ ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে।’ সবার অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো পরিণত হয় সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায়, যা সারা দুনিয়ায় জাতি হিসেবে আমাদের নিয়ে গেছে উচ্চমাত্রায়।

তিনি আরও বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের জাতীয় জীবনে সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করুক। আমি হিন্দু সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের সকল জাতিগোষ্ঠীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। পারস্পরিক ভালোবাসা, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।

অতীতের মতো এবারো যেন হিন্দু সম্প্রদায় তাদের শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শারদীয় ধর্মীয় উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি এবং শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.