চীনের দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের প্রত্যন্ত গ্রামে সেপ্টেম্বরে পৌঁছেছিল এক অভিনব বিজ্ঞান কারাভান। সঙ্গে ছিল বিজ্ঞান, রোবট, আর শিশুদের চোখভরা উচ্ছ্বাস।
কাশগর প্রিফেকচারের ছোট্ট শহরটির মাঠে কারাভান থামতেই গ্রামবাসী ও শিশুরা নেচে-গেয়ে স্বাগত জানায় অতিথিদের। তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা ট্রাক থেকে নামিয়ে আনতে থাকে নানা বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম।
তারপরই শুরু হয় আনন্দমেলা। কারও হাতে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি থেকে আগুনের ছোট্ট ঝলক, কারও সামনে হাঁটছে এক রোবোটিক কুকুর! শিশুরা বিস্ময়ে হেসে উঠছে, হাততালি দিচ্ছে। এক পোস্টারে প্রশ্ন— কোন আকৃতি বেশি ভার বহন করতে পারে: ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ না সিলিন্ডার? শিশুরা নিজেরাই পরীক্ষা করে দেখল সেটা। পানির বোতল সাজিয়ে বুঝে নিচ্ছে কোন আকৃতি শক্তিশালী।
বেইজিংয়ের চায়না সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়াম মে মাসে এই ‘সাউদার্ন সিনচিয়াং সায়েন্স কারাভান ট্যুর’ চালু করেছে, যাতে চীনের গ্রামীণ স্কুলগুলোতেও বিজ্ঞানের আলো পৌঁছে যায়। এ পর্যন্ত কারাভানটি ৯টি শহর ও জেলায় ১৪টি প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে প্রায় ২০ হাজার স্কুলশিক্ষার্থী হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিখেছে।
বিজ্ঞানের এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী যেন হয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের শিখা।
ফয়সল আবদুল্লাহ
সূত্র: সিএমজি